ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাড়ছে রোগীর ঝুঁকি

চারঘাট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সিজারিয়ান বন্ধ ৯ বছর

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৮ জানুয়ারি ২০১৭

চারঘাট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সিজারিয়ান বন্ধ ৯ বছর

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ নিরাপদ মাতৃত্ব সেবায় তিনবার পুরস্কারপ্রাপ্ত চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ান অপরাশেন। ফলে রাজশাহী শহরের হাসপাতাল কিংবা বিভিন্ন ক্লিনিকে অপরাশেন করাতে হচ্ছে অনেককেই। এতে একদিকে অর্থের অপচয় অন্যদিকে বাড়ছে রোগীর ঝুঁকি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি আগামী মার্চের মধ্যে চালু হতে পারে সিজারিয়ান অপারেশন। জানা গেছে, ২০০৮ সালে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ সিপ্রা চৌধুরী চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বদলি হওয়ার পর থেকে সিজার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে গ্রামাঞ্চল থেকে আসা প্রসূতিদের আশ্রয় নিতে হচ্ছে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে। এতে গুনতে হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। অনেককেই আবার অর্থের অভাবে ঋণের জালে পা বাড়াতে হয়। পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাঘার মীরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন জানান, কয়েকদিন আগে তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত সিজার করার পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালে সিজারিয়ান বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে সিজার করাতে হয়েছে। এতে প্রায় ৭ হাজার টাকা অতিরিক্ত গুনতে হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে চারঘাট হাপাতালে সিজারিয়ান করাতে খরচ হতো ১৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকা। সেখানে এত টাকা খরচ করতে তাকে অন্যের কাছে টাকা ধার নিতে হয়েছে। এমন পরিস্থিতি অনেকের। চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান চিকিৎসক ডাঃ সাইফুল ফেরদৌস জানান, হাসপাতালে সিজার করতে মাত্র ১৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু বিভিন্ন ক্লিনিকে খরচ একটু বেশি। বিনামূল্যের টিউবওয়েলে ঘুষ! স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাববুনিয়া গ্রামের হাফিজিয়া মাদ্রাসায় রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ভালনারবিলিটি টু রেসিলিয়েন্স (ভিটুআর) প্রকল্পের বিনামূল্যের টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য মাদ্রাসার কাছ থেকে ঘুষ নেয়া হয়েছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকরা জানান, ভিটুআর প্রকল্পের বিনামূল্যের টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য পশ্চিম গাববুনিয়া হোসেনিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মনির খন্দকারের কাছ থেকে এক মাস আগে প্রকল্প সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মামুন গাজী ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। ঘুষ নেয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই মাদ্রাসায় টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ শুরু হয়। এ ঘটনায় শনিবার তারা মাদ্রাসার সামনে ঘুষ নেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে। মনির খন্দকার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান, তার কাছ থেকে খরচসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে মামুন গাজী ১৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। এ বিষয়ে মনির গাজী জানান, তিনি টাকা নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে দিয়েছেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, বোঝেন তো, টাকা ছাড়া এসব হয় না।
×