ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ওষুধ নীতিমালার খসড়ায় কোম্পানির স্বার্থ বেশি রক্ষা করা হয়েছে

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ৮ জানুয়ারি ২০১৭

ওষুধ নীতিমালার খসড়ায় কোম্পানির স্বার্থ বেশি রক্ষা করা হয়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ ১১ বছর পর ওষুধের খসড়া হালনাগাদ হলেও তা বাস্তবায়নের পন্থা সুস্পষ্ট নয় বলে অভিযোগ ওষুধ বিশেষজ্ঞদের। মূল্যায়নসহ সব কমিটিতে ওষুধ কোম্পানি সংশ্লিষ্টদের প্রাধান্য জনকল্যাণের ক্ষেত্রে অন্তরায়। নীতি বাস্তবায়নে সবার আগে অবকাঠামো জনবল দিয়ে ওষুধ প্রশাসনকে শক্তিশালী করা আহ্বান তাদের। ওষুধ শিল্পের প্রসার ও নিয়ন্ত্রণে ২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর নতুন জাতীয় ওষুধ নীতির খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। নীতিমালায় কার্যকর ও মানসম্পন্ন ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন, নিবন্ধন, সহজলভ্যতা, যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণসহ নানা বিষয় উঠে আসে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফার্মেসিতে মজুদ ও মোড়কের ওপর নির্দেশিত মেয়াদ পরিবর্তন বা অস্পষ্ট করে বিক্রয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। তবে খসড়া অনুমোদনকে স্বাগত জানিয়ে তা বাস্তবায়নের দিকে বেশি জোর দেন বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ‘প্রথমবারের মতো ইউনানী, আয়ুর্বেদী, হোমিওপ্যাথি, হারবাল এই ওষুধগুলোকেও ওষুধ নীতির আওতায় আনা হয়েছে।’ নতুন খসড়ার ভাল দিকগুলো বাস্তবায়নের কার্যকরী পন্থা সুস্পষ্ট নয় বলে অভিযোগ করেছে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। বছর বছর নয় বরং প্রতি বছর সরকারকেই সব ওষুধের দাম কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ তাদের। সর্বোপরি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে লোকবল নিয়োগসহ সার্বিকভাবে কার্যকরী প্রশাসনে রূপান্তরিত করা না গেলে এ ওষুধ নীতি জনগণের কল্যাণে আসবে না বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘প্যারাসিটামলের দাম ৬০ থেকে ৭০ পয়সা। ক্যাফিনের দাম পড়ে ১ থেকে ২ পয়সা কিন্তু সেটা বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে ২ টাকা। যে তালিকাটা তারা দিয়েছেন সেটি ডব্লিউএইচও তালিকা থেকেও বেশি ওষুধ আছে। তারা কমিয়েছেন কেন? কমিটিতে অধিকাংশই ফার্মসিস্ট ছিল। কারণ ওষুধ কোম্পানির দয়া আর ধাক্কায় নিয়ে চলতে হয় তাদের।’ ইউনানী মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন সম্পন্ন সম্প্রতি দেশের ইউনানী চিকিৎসকদের প্রাচীনতম পেশাজীবী সংগঠন ‘বাংলাদেশ ইউনানী মেডিক্যালএ্যাসোসিয়েশন’-এর জাতীয় সম্মেলন এবং সাধারণ পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশনে বিভিন্ন জেলা সংগঠনের ৩৬৫ জন কাউন্সিলর এবং প্রায় ২০০ জন ডেলিগেট উপস্থিত ছিলেন। অধিবেশন শেষে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের যুগ্ম-সচিব ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী অধিবেশন পরিচালনা করেন। নির্বাচনে কাউন্সিলরদের ভোটে চেয়ারম্যান পদে ড. হাকীম মোঃ ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া এবং মহাসচিব পদে হাকীম ফেরদৌস ওয়াহিদ বুদু পুনরায় নির্বাচিত হন। এ্যাসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ৮ জন ভাইস-চেয়ারম্যানসহ সর্বমোট ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি আগামী ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
×