ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশী পাট ও পাট পণ্যে ভারতের শুল্ক আরোপ

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ৮ জানুয়ারি ২০১৭

বাংলাদেশী পাট ও পাট পণ্যে ভারতের শুল্ক আরোপ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। এখন থেকে প্রতি টন বাংলাদেশী পাটে ভারতীয় আমদানিকারকদের ৮ থেকে ৩৫০ ডলার পর্যন্ত শুল্ক গুনতে হবে। আগে এই পণ্য আমদারিকারকদের কোন শুল্ক দিতে হতো না। অর্থাৎ বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পেত। দীর্ঘদিন ধরে ভারতের জুট মিলস্ এ্যাসোসিয়েশন, স্থানীয় উদ্যোক্তারা তাদের বাজার সুরক্ষায় বাংলাদেশ থেকে পাটপণ্য আমদানির ওপর এন্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের দাবি জানিয়ে আসছিল। সেই দাবির প্রেক্ষাপটে দেশটি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়, নেপালী পাট আমদানিতেও একই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাটপণ্যের মানভেদে টনপ্রতি ৮ থেকে ৩৫০ ডলারের এই এন্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রযোজ্য হবে। এই টাকা অবশ্যই ভারতীয় রুপীতে গুনতে হবে। আগামী ৫ বছর এই শুল্ক কার্যকর থাকবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই এন্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ পাট জাত পণ্যকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কারণ শুল্ক দিয়ে যদি কোন পাট পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয় তাতে আলাদা মার্কিং থাকবে হবে। যাতে বাইরে থেকে বোঝা যায়, ওই পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। আর বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা ওই পাট পণ্য সরকারী কোন টেন্ডার কার্যক্রমে সরবরাহ করা যাবে না। কেবলমাত্র বেসরকারী কাজে ব্যবহার করা যাবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা কাচাপাট দিয়ে যে পাট পণ্য তৈরি হবে তাও স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা যাবে না, ওই পণ্য শুধু রফতানি করতে হবে। এতে অবশ্য বাংলাদেশ থেকে পাট রফতানি তেমন ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও পাট পণ্য রফতানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এন্টি ডাম্পিং শুল্ক হলো বাজার দখলে কম দামে পণ্য ছাড়ার শাস্তিস্বরূপ আরোপিত এক ধরনের বিশেষ শুল্ক। দেশটির এমন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত রফতানি কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষেশ করে পাটজাত পণ্য রফতানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
×