ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চীনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা জোরদার করা লক্ষ্য

রাফায়েল ফাইটারের প্রথম ঘাঁটি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৮ জানুয়ারি ২০১৭

রাফায়েল ফাইটারের প্রথম ঘাঁটি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে

ভারতীয় বিমানবাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় সেক্টরে পরমাণু অস্ত্র বহনক্ষম রাফায়েল ফাইটার জেটের প্রথম স্কোয়াড্রন ঘাঁটিটি গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। চীনকে বিবেচনায় রেখেই ভারত এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে ধারণা পাওয়া যায়, প্রচলিত সমরাস্ত্রের পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্রকেও চীনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় ব্যবহার করতে চায় ভারত। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের। পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অসমের তেজপুর ও চাবুয়াতে অবস্থিত ভারতীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে ইতোমধ্যেই সুখয়-৩০এমকেআই জঙ্গী বিমান অবস্থান করছে। ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স (আইএএফ) এখন পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা বিমানঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো ১৮টি রাফায়েল ফাইটার জেটের ঘাঁটি গড়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ এই ঘাঁটি (স্কোয়াড্রন) তৈরির কাজ শেষ হবে। আইএএফ এই পরিকল্পনা এমন এক সময় গ্রহণ করল যখন তার মাত্র কিছুদিন আগে ভারত পরমাণু অস্ত্র বহনক্ষম অগ্নি-৪ ও অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। ইতোমধ্যে স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডে (এসএফসি বা পরমাণু অস্ত্র কমান্ড) অগ্নি-৩ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের সঙ্গে করা ৫৯ হাজার রুপী (৭৮৭ কোটি ইউরো) চুক্তি অনুযায়ী আইএএফ ২০২২ সালের মধ্যে ৩৬টি রাফায়েল জঙ্গী বিমান পাবে। ভারতের অনুরোধক্রমে ১৪টি বিমান অধিক উচ্চতায় ওড়াসহ পরমাণু অস্ত্র বহনক্ষম হবে। এতে ৯.৩ টন অস্ত্র বহন করা যাবে। ভূমি অথবা আকাশ যে কোন অভিযানে বিমানগুলো অংশ নিতে পারবে। আইএএফের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা বিমানঘাঁটিতে বর্তমানে কিছু মিগ-২৭ মোতায়েন রয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যেই এগুলোর মেয়াদ ফুরিয়ে আসবে। রাফায়েল জঙ্গী বিমানের মাধ্যমে সেগুলো প্রতিস্থাপন করা হবে। ঘাঁটিটি ওই কাজের জন্য প্রস্তুত কিনা তার সম্ভাব্যতা যাচাই করতে ফ্রান্সের প্লেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডাসল্ট এভিয়েশনের একটি বিশেষজ্ঞ দল ইতোমধ্যেই ঘাঁটিটি পরিদর্শন করেছেন বলে তিনি জানান। চুক্তি অনুযায়ী ডাসল্ট ৭ বছর বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করবে। প্রয়োজনে এর মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানো যাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব জঙ্গী বিমান দিয়ে তিন বছর পর ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তান ও চীনের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারবে। রাফায়েল জঙ্গী বিমানের অধিকারী হওয়া তাই আইএএফের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাতে বর্তমানে ৩৩ ফাইটার স্কোয়াড্রন রয়েছে। এগুলোর প্রত্যেকটিতে ১৮টি করে জঙ্গী বিমান আছে। চীন ও পাকিস্তানের যৌথ হুমকি মোকাবেলায় দেশটির ৪৫টি যুদ্ধ ইউনিট প্রয়োজন হবে। গ্লোবাল টাইমস বলেছে, প্রতিবেশী চীনের হুমকির ধোয়া তুলে ভারত পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে অস্ত্র ক্রয় করছে। এর ফলে এশিয়ায় অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়তে পারে।
×