ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সৌম্য-সাব্বিরের আউট নিয়ে আক্ষেপ মাশরাফির

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৭ জানুয়ারি ২০১৭

সৌম্য-সাব্বিরের আউট নিয়ে আক্ষেপ মাশরাফির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অনেক বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু মাউন্ড মঙ্গানুইয়ে খেলা জমিয়ে তুলেছিলেন সাব্বির রহমান ও সৌম্য সরকার। তারা চতুর্থ উইকেটে ৪০ বলে ৬৮ রানের জুটি গড়ে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন বাংলাদেশকে। তবে টানা দুই ওভারে এ দু’জনের বিদায়ে আর নিউজিল্যান্ডের দেয়া ১৯৬ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি সফরকারীরা। সিরিজের দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে ৪৭ রানে হেরে যাওয়ার পেছনে তাই সৌম্য, সাব্বিরের আউট নিয়েই আক্ষেপ ঝরল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার। সৌম্যের রানে ফেরা নিয়েও সন্তোষ জানিয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ব্যাট হাতে একেবারেই খরা যাচ্ছিল সৌম্যের। টানা ব্যর্থতার কারণে তার কাছে প্রত্যাশিত নৈপুণ্য পায়নি বাংলাদেশ। কিন্তু শুক্রবার দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে স্বরূপে ফিরলেন এ টপঅর্ডার। যদিও ৫ নম্বরে ব্যাট হাতে নেমেছিলেন এদিনও। তবে ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় তার করা ৩৯ রানের দারুণ ইনিংসটা জয়ের স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছিল বাংলাদেশের। গত বছর মার্চের পর এটিই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সৌম্যের প্রথম ৩০ উর্ধ ইনিংস। তার এটাকে ইতিবাচক ইঙ্গিত মনে করছেন মাশরাফি। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন পর সে রানে ফিরেছে। এটা অবশ্যই তাকেও বেশ ভাল একটা অনুভূতি দেবে। তবে এদিনও সে বড় একটি স্কোর করার সুযোগ হাতছাড়া করেছে। তার ইনিংসটা আমাদের জন্য সহায়ক হতো কারণ সে কিউই পেস খুব ভাল খেলছিল।’ ১০ বলের ব্যবধানে সৌম্যের পর সাজঘরে ফেরেন টি২০ স্পেশালিস্ট হিসেবে খ্যাতি পাওয়া সাব্বিরও। দারুণ খেলা সাব্বির ৩২ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ রান করে ফিরে যান। এর আগে মাত্র ৩৬ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। সৌম্য-সাব্বিরের জুটি ভাঙ্গার পর মাত্র ৪৪ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘তারা ১৯৫ রান করার পরও আমরা আশাবাদী ছিলাম। দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পরও আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ব্যাটিং করেছি। আমরা টার্গেটের দিকে সঠিক পথেই ছিলাম। কিন্তু শেষ ৭টি উইকেট আমরা খুব দ্রুত হারিয়ে ফেলেছি।’ পরিকল্পনাটাও কাজে লাগেনি। চলতি নিউজিল্যান্ড সফরে ব্যাটিংয়ে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটা যেন চিরাচরিত নিয়ম হয়ে গেছে। ভাল একটা জুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ দল। বোলিংয়েও খুব বেশি ভাল করেছে কিউই বোলাররা সেটাও মনে করছেন না মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘তারা ১৫টা অতিরিক্ত রান দিয়েছে। এই মাঠে ১৮০ রান খুবই স্বাভাবিক। আমাদের দু’জন ব্যাটসম্যান সেট হয়ে গিয়েছিল এবং ভালভাবেই রান তাড়া করছিল। তারা যখন আউট হয়ে গেল, ম্যাচটাও আমাদের হাত ফসকে বেরিয়ে গেল। আমরা বোলিংয়ের সময়ও অনেক সুযোগ তৈরি করেছি দ্রুত তিন উইকেট তুলে নিয়ে। কিন্তু আমরা বাতাস কাজে লাগিয়ে আক্রমণটা ধারালো করতে পারিনি। ব্যাটসম্যানরা যখন মেরে যাচ্ছিল আমরা সেটাকে আটকাতে পরিনি।’ মাত্র ৫২ বলে শতক হাঁকিয়েছেন মুনরো। তার এই বিধ্বংসী ইনিংসটাই বাংলাদেশের সামনে বড় টার্গেট তৈরি করে দিয়েছে। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘প্রথমেই মুনরো এভাবে শট খেলতে পারেনি কারণ তারা দ্রুতই তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু পরে সে বড় শট খেলতে শুরু করে এবং আমরা সেটা থামাতে পারিনি। আমরা তার ব্যাটিং স্টাইলটা জানতাম। গত ম্যাচে দুই বল খেলেই আউট হয়ে গিয়ের্ছিল। কিন্তু এদিন আমরা যে সুযোগগুলো তৈরি করেছি সেসবের সুবিধা নিতে পারিনি। আমাদের সুযোগ তৈরির সামর্থ্য আছে কিন্তু সেটার দিকে আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে।’
×