ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘আমি গর্বিত, খুব খুশি’

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৭ জানুয়ারি ২০১৭

‘আমি গর্বিত, খুব খুশি’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রত্যাশিতভাবেই ২০১৬ সালের আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন রিয়াদ মাহরেজ। লিচেস্টার সিটির এই উইঙ্গার সদ্য বিদায়ী বছরটা কাটিয়েছেন দুর্দান্ত। যে কারণে জিতেছেন প্রিমিয়ার লীগের সেরা ফুটবলার ও বিবিসির আফ্রিকান ফুটবলার অব দ্য ইয়ার পুরস্কার। এবার জিতলেন আফ্রিকার সেরা ফুটবলারের খেতাব। বৃহস্পতিবার রাতে নাইজিরিয়ার রাজধানী আবুজায় সেরা হিসেবে মাহরেজের নাম ঘোষণা করা হয়। আফ্রিকান সেরা হওয়ার পর উচ্ছ্বসিত মাহরেজ বলেন, এটা অত্যন্ত সম্মানের ব্যাপার। আমি খুবই খুশি, গর্বিত। ধন্যবাদ জানাই আলজিরিয়া ও লিচেস্টার সিটির সতীর্থদের। আমি এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি আমার পরিবারের উদ্দেশে, যারা প্রতিদিন আমাকে অনেক সমর্থন দেন। উত্তর আফ্রিকা থেকে দীর্ঘদিন পর কেউ জিতলেন এই বর্ষসেরার পুরস্কার। এর আগে ১৯৯৮ সালে আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন মরক্কোর মুস্তফা হাজি। মূলত গত মৌসুমে লিচেস্টার সিটির হয়ে চোখ ধাঁধানো পারফর্মেন্স প্রদর্শন করায় আফ্রিকান সেরা হয়েছেন মাহরে অথচ চার বছর আগে লিচেস্টারের নামটাও জানতেন না তিনি! শুরুতে ভেবেছিলেন, এটা বুঝি ইংল্যান্ডের একটা রাগবি ক্লাব! কিন্তু গত বছর সেই লিচেস্টার সিটির জার্সি গায়েই ইতিহাস গড়েন আলজিরিয়ার এই তারকা। ফুটবল-দুনিয়াকে অবাক করে দিয়ে প্রথমবারের মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা জিতে নেয় নিচের সারির এই ক্লাব। যেখানে বড় অবদান ছিল মাহরেজের। ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা চারটি বছর আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছিল ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার ইয়াইয়া তোরের হাতে। ২০১৫ সালে তাকে পেছনে ফেলে পুরস্কার জিতেছিলেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের পিয়েরে-এমরিকে আবামেয়াং। কিন্তু ২০১৬ সালে এই দুজনকেই ছাড়িয়ে গেছেন মাহরেজ। ২০১৫-১৬ মৌসুমের ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন লিচেস্টার সিটির জিমি ভার্ডি। তার নামটাই বেশি উচ্চারিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলোতে। কিন্তু দলের অবিস্মরণীয় সাফল্যের পেছনে অনেকটা নীরবেই কাজ করে গেছেন মাহরেজ। ৩৭টি ম্যাচ খেলে নিজে করেছেন ১৭টি গোল। সহায়তা করেছেন দলের আরও ১০ গোলে। আলোচনা, গুঞ্জন, সবার ধারণা ছিল এবার আফ্রিকান বর্ষসেরা হচ্ছেন ২৫ বছর বয়সী রিয়াদ মাহরেজই। অবশেষে সেটাই হয়েছে। আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারের জন্য ৩০ জনকে মনোনয়ন দেয়া হয়। সেখান থেকে তালিকা তিনে নামিয়ে আনা হয়। মাহরেজ ছাড়াও লিচেস্টারের আরও এক আলজিরিয়ান ও এক নাইজিরিয়ান আফ্রিকান বর্ষসেরার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন। তারা হলেন মাহরেজের সতীর্থ স্ট্রাইকার ইসলাম সিলমানি ও নাইজিরিয়ার উইঙ্গার আহমেদ মুসা। ইপিএল ফুটবলাররা তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করেন। ইপিএল থেকে ১২, ইতালিয়ান সিরি এ থেকে ৩ জন, লা লিগা থেকে ২ জন, ফ্রেঞ্চ লীগ ও বুন্দেসলিগা থেকে মনোনীত হয়েছেন একজন করে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সিএএফ গণমাধ্যম, ডেভেলপমেন্ট ও এ্যান্ড টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য, সাংবাদিক ও টেলিভিশন পরামর্শক, জাতীয় কোচ ও জাতীয় টেকনিক্যাল পরিচালকরা জড়িত।
×