ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নষ্ট হচ্ছে ভবন ও দরজা-জানালা

ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনাল পরিত্যক্ত

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৭ জানুয়ারি ২০১৭

ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনাল পরিত্যক্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ৬ জানুয়ারি ॥ প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়াই একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বাস টার্মিনালটি উদ্বোধনের পর ১৪ বছর থেকে অব্যবহৃত অবস্থায় থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দরজা-জানালাসহ আসবাবপত্র। একদিকে টার্মিনালের দোকানঘর ও বিভিন্ন অবকাঠামোসহ মূল ভবন নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে মহাসড়কের ওপর কয়েক জায়গায় বাস দাঁড়ানোর ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ২০০৩ সালে শহরের পূর্বদিকে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় সড়কের পাশে টার্মিনালটি নির্মিত হয়। জায়গাটি ছিল মালিক সমিতির। পৌরসভা ২.৪৯ একর জমি মূল্য দিয়ে অধিগ্রহণ করে ও এলজিইডির মাধ্যমে ৬৬.৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে টার্মিনাল নির্মাণ করে। আধুনিকমানের বাস টার্মিনাল নির্মিত হলেও তার মালিকানা নিয়ে পৌরসভা ও বাস মালিক সমিতির রশি টানাটানির কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর সেটি ব্যবহার হচ্ছে না। বাসের যাত্রী ধরার জন্য বাসগুলো রাস্তার ওপর দীর্ঘসময় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। দিনাজপুর-পঞ্চগড় গেটলক নামধারী বাস পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে ও উত্তরদিকে বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ডের কাছে স্থায়ী স্ট্যান্ড বানিয়েছে। টিকেট কাউন্টারও সেখানে। ফলে কোন যাত্রীকে টার্মিনালে যেতে হয় না এবং রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে যাত্রীদের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। ফলে টার্মিনালটি বন্ধ এবং বন্ধ সেখানকার দোকানপাট। অথচ দোকানের পজিশন নেয়ার জন্য দোকান মালিকদের দিতে হয়েছিল মোটা অঙ্কের জামানত। যা কোন কাজেই আসেনি। পৌরসভার সচিব রাশেদুর রহমান জানান, তারা প্রতিবছর টার্মিনাল ইজারা দেন। চলতি বাংলা ১৪২৩ বঙ্গাব্দে ২ লাখ ৩৭ হাজার ২শ’ টাকায় বাস মালিক সমিতির সেক্রেটারি বেলাল হোসেনের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়। বেলাল হোসেন জানান, তার নামেই মালিক সমিতি টার্মিনাল ইজারা নিয়েছে। টার্মিনাল ভবন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার ব্যাপারে তিনি জানান, সেখানকার দোকানগুলো চলে না, তাই তারা ভাড়াও দেয় না। তবে ঢাকাগামী কোচ দিনে ৭৫ টাকা হারে টোল দেয়। আর লোকাল মিনিবাস ১০ টাকা ও গেটলক বাস ২০ টাকা হারে টোল দেয়। এতে যে আয় হয় তা দিয়ে কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদি হয়ে যায়। তিনি জানান, ভবন রংচঙ করার দায়িত্ব পৌরসভার। কিন্তু বার বার বলা সত্ত্বেও তারা করছে না। তবে পৌরসভার সচিব জানান, টার্মিনাল ও সেখানকার জমির মালিক পৌরসভা। অথচ বাস মালিক সমিতি পৌরসভার অনুমতি না নিয়ে সেখানে পাকা কন্সট্রাকশন করে মসজিদ নির্মাণ করছে। তবে শীঘ্রই টার্মিনাল ভবনের সৌন্দর্য বর্ধনে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে।
×