ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রামেকে দেড় বছর বন্ধ রেডিওথেরাপি ॥ রোগী দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৭ জানুয়ারি ২০১৭

রামেকে দেড় বছর বন্ধ রেডিওথেরাপি ॥ রোগী দুর্ভোগ চরমে

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের রেডিওথেরাপি মেশিন বন্ধ রয়েছে। ফলে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। এ কারণে বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়ও। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, মেশিনটি সারাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কয়েক দফা চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু ফল মেলেনি। জানা গেছে, প্রতিমাসেই ক্যান্সারের চিকিৎসা নিতে অর্ধশত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রতিদিন গড়ে চার-পাঁচ রোগী আসেন হাসপাতালে। ক্যান্সারাক্রান্ত ৭০ শতাংশ রোগীকে নিতে হয় রেডিওথেরাপি। কিন্তু মেশিন বিকল থাকায় চিকিৎসা সেবা বন্ধ। বিশেষ করে ক্যান্সারাক্রান্ত গরিব রোগীরা পড়েন বিপাকে। তাদের বেসরকারী ক্লিনিকে গিয়ে মোটা খরচে থেরাপি নেয়ার সামর্থ্য নেই। ফলে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন তারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঢাকার বাইর শুধু রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজেই এমফিল ও এমডি-রেডিওথেরাপি (অনকোলজি) ডিগ্রী দেয়া হয়। শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি প্রতিদিন এক থেকে দেড়শ’ রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয় এখানে। এ জন্য ১৯৯৬ সালে চীনের তৈরি ‘কোবাল্ট-৬০’ যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়। মেশিনটি চীনে তৈরি। তবে ক্যান্সার চিকিৎসার সোর্স (যে উৎস থেকে তেজস্ক্রিয় রশ্মির বিকিরণ ঘটে) আমদানি করা হয় রাশিয়া থেকে। প্রতি ৫ বছর অন্তর সোর্স পরিবর্তন করার কথা। সর্বশেষ নতুন করে সোর্স স্থাপন করা হয় ২০০৪ সালে। নিয়মানুযায়ী ২০০৯ সালে সোর্স পরিবর্তনের কথা থাকলেও সেটি আর হয়ে ওঠেনি। মেশিনগুলোর খুচরা যন্ত্রাংশও মিলছে না। এতে দিন কর্মক্ষমতা হারিয়ে এক পর্যায়ে বিকল হয়ে যায় মেশিনটি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম রফিকুল ইসলাম বলেন, মেশিনটি সচল করতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। তবে কবে নাগাদ এটি চালু হবে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি পরিচালক।
×