ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘দেশের উন্নয়নে ছেলেমেয়ে উভয়কে এগিয়ে আসতে হবে’

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৭ জানুয়ারি ২০১৭

‘দেশের উন্নয়নে ছেলেমেয়ে উভয়কে এগিয়ে আসতে হবে’

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ সময় বদলেছে। এতদিন বলা হতো, মেয়েদের এগিয়ে আসতে হবে। এখন বলা হচ্ছেÑ ছেলেদেরও এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে ফলের দিক থেকে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এখন অনেক বেশি এগিয়ে। তবে দেশের উন্নয়নের জন্য ছেলেমেয়ে উভয়কে সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল অডিটরিয়ামে শামসুন নাহার হল এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। শামসুন নাহার হল এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আভা দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাবি এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ, শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সুপ্রিয়া সাহা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে হলের ১০ জন প্রাক্তন ছাত্রী ও প্রাধ্যক্ষকে সম্মাননা দেয়া হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ছাত্রী যেন অর্থের অভাবে লেখাপড়া বন্ধ না করে। সবাইকে লেখাপড়া করার সুযোগ করে দিতে হবে। মানুষকে শ্রেষ্ঠ জীব বলা হয়। তবে এই শ্রেষ্ঠত্ব আমরা জন্ম থেকে পাই না। শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে হয়। আর এই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করার জন্য এই বিদ্যাপীঠ উপযুক্ত জায়গা। প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বাংলাদেশে নারীদের জন্য এখন অনেক সুযোগ সুবিধা আছে। আমরা নারীদের বড় বড় ব্যবসায়ী দেখতে চাই। একসময় ছেলেদের জন্য নানান জায়গায় কোটা তৈরি হতে পারে। আমরা নারী-পুরুষ সমানভাবে এগিয়ে যাব। সর্বত্র নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, স্মৃতি আমাদের বড় সম্পদ। স্মৃতিকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষাজীবন আমাদের জীবনের সবচেয়ে সুমধুর স্মৃতি। বিশ্ববিদ্যালয় মাতৃসম প্রতিষ্ঠান। আমরা যেমন বারবার মায়ের কাছে ফিরে যাই। তেমনি আমরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসি। আমরা এতদিন বলতাম মেয়েদের এগিয়ে আসতে হবে। আজকে বলতে হচ্ছে ছেলেদেরও এগিয়ে আসতে হবে। দেশের উনয়নের জন্য ছেলেমেয়ে উভয়কে এগিয়ে আসতে হবে। হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সুপ্রিয়া সাহা বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এই হলের ছাত্রীদের ছিল গৌরবময় সংগ্রামী ভূমিকা। হলের এই ঐতিহ্য ধরে রাখার দায়িত্ব এখন বর্তমান ছাত্রীদের। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য তাদের তৈরি করতে হবে। ছাত্রীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের আহ্বান জানান। দিনব্যাপী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
×