ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাজারের থলি ভরে উঠছে সবজিতে, বাম্পার ফলন

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৭ জানুয়ারি ২০১৭

বাজারের থলি ভরে উঠছে সবজিতে, বাম্পার  ফলন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শীতের বাহারি সব সবজিতে ঠাসা রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো। দামও কম, আর তাই নগরবাসীর বাজারের থলি ভরে উঠছে সবজিতে। ফুলকপি, শিম, গাজর, লাউ, শালগম, বরবটি, নতুন আলু, মটরশুটি, টমেটো, পেঁয়াজের কালি, ধনেপাতা, মরিচ সব কিছুর দাম নাগালের মধ্যে। স্বস্তি মিলছে মাছে, তবে বাড়তির দিকে মাংসের দাম। এই সপ্তায় আলু, পেঁয়াজের দাম কমলেও আদা ও সব ধরনের মুরগির দাম বেড়ে গেছে। এছাড়া চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, আটা ও ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার, মালিবাগ বাজার ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মালিবাগ বাজারের সবজি ক্রেতা নাহিদ জানান, এ বছরের মতো এতো সবজি রাজধানীতে আগের বছরগুলোতে দেখা যায়নি। সবজির মানও ভাল। টাটকা ও সতেজ সবজি আসছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। তিনি বলেন, সরবরাহ বাড়ায় এখন নাগালের মধ্যে রয়েছে দাম। ভোক্তারা সবজির দামে সন্তুষ্ট। খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, বাজারে কয়েক’শত ধরনের সবজি উঠেছে। কিছু সবজি আছে যা শুধুমাত্র শীতকালে দেখা যায়। সবজির পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, দেশে এ বছর সবজির আবাদ বেশি হওয়ার পাশাপাশি বাম্পার উৎপাদন হয়েছে। এ কারণে সবজির দাম কমে গেছে। এদিকে,পাইকারি বাজারে সবজি পানির দামে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে এখন অতিরিক্ত দাম নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়। অথচ এই আলু কৃষক পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৪-৫ টাকায়। খুচরা বাজারে বাঁধাকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, ফুলকপি প্রতিপিস ২০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ৩৫ টাকা, শিম প্রতিকেজি ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিপিস ৩০-৪০ টাকা, দেশি টমেটো ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে প্রতিকেজি ২৫ টাকা ও বেগুন প্রতিকেজি ৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। চাল, ডালসহ প্রায় সব ধরনের মুদি পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৩৮ টাকা এবং মাঝারি মানের চাল ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। এছাড়া ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়রার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬৫ টাকা। কেজিপ্রতি খাসি, গরু ও মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে স্বাভাবিক দামের তুলনায় ১০০-১৫০ টাকা বেশি। মাংসের দামে এই উর্ধগতির কারণে ক্রেতারা রয়েছেন অস্বস্তিতে। এদিকে, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে বিয়ে, পিকনিক, পার্টি ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে সরবরাহের কারণে মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। যেখানে গত এক মাস আগেও প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হতো ৫৫০-৬৫০ টাকায় আর এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছিল ৪২০-৪৩০ টাকায় কিন্তু এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকা পর্যন্ত। দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া মাছের দামও স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিকেজি ইলিশ মাছ ১২শ’ থেকে ১৪শ’ টাকায়। এছাড়া মাঝারি সাইজের এক জোড়া ইলিশ ৮০০-১০০০ টাকা দিয়ে কিনতে পারছেন ভোক্তারা। দেশী রুই ৫০০-৬০০ টাকা, প্রতিকেজি চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা। এছাড়া বোয়াল ৩৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, মাছের দাম গত সপ্তাহের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে।
×