ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টি২০ সিরিজও হারল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৭ জানুয়ারি ২০১৭

টি২০ সিরিজও হারল বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সিরিজের দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচেও পরাজয়। শুক্রবার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৪৭ রানে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে গেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। এবার নিউজিল্যান্ড সফরের শুরুতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। এখন টি২০ সিরিজেও একই ভাগ্যবরণের পথে মাশরাফিরা। প্রথম ব্যাট করে কলিন মুনরোর সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ১৯৫ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে ১৮.১ ওভারে মাত্র ১৪৮ রানেই থমকে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। একই ভেন্যুতে রবিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি২০ অনুষ্ঠিত হবে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতলেন মাশরাফি। প্রথম ম্যাচে নিজেরা ব্যাটিংয়ে নামলেও এবার স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। শুরুটাও দারুণ করেছিলেন প্রথম বলেই আঘাত হেনে। লুক রনকি (০) ফিরে যাওয়ার পর দ্রুতই ফিরে গিয়েছিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (১২) ও কোরি এ্যান্ডারসন (৪)। কিন্তু শুরুর এই চাপটা নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের ওপর ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। দুই মূল স্ট্রাইক বোলার মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন একেবারেই বাজেভাবে শুরু করেছিলেন যথাক্রমে ১ ওভারে ১০ ও ১২ রান করে দিয়ে। আর চতুর্থ উইকেটে মুনরো ও টম ব্রুসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে বাংলাদেশী বোলারদের সব আক্রমণ। মাত্র ৬৭ বলে তারা ১২৩ রানের জুটি গড়ে বিশাল সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন তারা। বিশেষ করে ১৩তম ওভারে মাহমুদুল্লাহকে পিটিয়ে ২৮ রান তুলে নেন মুনরো। তিনি ৫৪ বলে ৭ চার ও ৭ ছক্কায় সাজঘরে ফেরেন ১৭তম ওভারে রুবেলের ফিরতি স্পেলে। রুবেল প্রথম ২ ওভারে ২৪ রান দিয়েছিলেন। একই ওভারের শেষ বলে তিনি গ্র্যান্ডহোমকেও (২) বোল্ড করেন। কিন্তু রুবেলের এই দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনেও ব্রুস থামেননি, তিনি ৩৯ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৭ উইকেটে ১৯৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় কিউইরা। ফিরতি স্পেলে রুবেল ২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন, সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে তিনিই সফলতম বোলার। এটি তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিংও। ম্লান মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেটশূন্য। ১৯৬ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩৬ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের মতোই ব্যর্থ হয়েছেন তামিম ইকবাল (১৩), ইমরুল কায়েস (০) ও সাকিব আল হাসান (১)। তবে চতুর্থ উইকেটে ৪০ বলে ৬৮ রানের দ্রুতগতির জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের আশা জিইয়ে রেখেছিলেন সাব্বির রহমান ও সৌম্য সরকার। দীর্ঘদিন পর ব্যাট হাতে রানে ফেরা সৌম্য এদিন দারুণ সাবলীল খেলে অবশ্য নিজের সংগ্রহকে আরও বড় করতে পারেননি। ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে তিনি বিদায় নেয়ার পরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। এর পেছনে মূল ভূমিকায় ছিলেন অনিয়মিত স্পিনার কেন উইলিয়ামসন ও স্পিনার ইস সোধি। সাব্বির ৩২ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ রানে ফিরে যান। শেষ ৭ উইকেট বাংলাদেশ হারায় মাত্র ৪৪ রানে। ১১ বল বাকি থাকতেই ১৪৮ রানে গুটিয়ে যায়। সোধি ৩৬ রানে ৩ ও উইলিয়ামসন ১৬ রানে ২ উইকেট নেন। আরেক স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করে চাপে রাখেন বাংলাদেশকে। কিউই স্পিন আক্রমণেই যেন ম্যাচটা হেরে বসল সফরকারীরা। ৪৭ রানে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করল এক ম্যাচ বাকি থাকতেই। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ।
×