ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি

রোকনুজ্জামান ও সিদ্দিকুর ফের ৭ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৬ জানুয়ারি ২০১৭

রোকনুজ্জামান ও সিদ্দিকুর ফের ৭ দিনের রিমান্ডে

কোর্ট রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমানের আবারও ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২২ ডিসেম্বর আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়। এরপর ২৮ ডিসেম্বর আদালত তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের আদালতে হাজির করে পুনরায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। আবেদনে বলা হয়, আসামিগণ পরস্পর যোগসাজশে ষড়যন্ত্র করে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে যান্ত্রিক ত্রুটি করে বলে প্রতীয়মান হয়। এজন্য মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না তা জানার জন্য আসামিদের আবারও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এছাড়া গ্রেফতার অন্য সাতজনকে গত ২২ ডিসেম্বর প্রথম দফা এবং গত ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে নেয়া হয়। তারা হলেন, বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স এ্যান্ডসিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা সামিউল হক, লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস ও জাকির হোসাইন। গত ২৭ নবেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে (বোয়িং-৭৭৭) যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে তুর্কমেনিস্তানে জরুরী অবতরণ করে বিমানটি। অন্য একটি উড়োজাহাজ পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বুদাপেস্টে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেয়া হলেও পরবর্তী সময়ে ত্রুটি সারিয়ে ওই উড়োজাহাজেই হাঙ্গেরি যান প্রধানমন্ত্রী। ওই ঘটনায় দুই দফায় বর্তমান মামলার এই ৯ আসামিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ২০ ডিসেম্বর রাতে বিমানের ৯ কর্মকর্তাকে আসামি করে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলাও দায়ের হয়। দণ্ডবিধির ১০৯, ১১৮, ১২০ (খ), ২৮৭ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় মামলাটি রুজু হয়েছে।
×