ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জার পঞ্চম সভা

আরও চার বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৬ জানুয়ারি ২০১৭

আরও চার বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) পরিচালনা পরিষদ আরও ৪টি বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদন দেয়া নয়া বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে মাদারীপুর, ফরিদপুর, নোয়াখালী ও কিশোরগঞ্জ। প্রধানমন্ত্রী ও বেজার পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিষদের ৫ম সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বিক উন্নয়নে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান। খবর বাসসর। তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য বেসরকারী খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। কিন্তু সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেসরকারী বিনিয়োগকারীরা কৃষিজমিতে যথেচ্ছা শিল্প স্থাপন করছে। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন থেকে কৃষিজমি রক্ষা করতে শিল্প স্থাপনা একটি নির্ধারিত অঞ্চলে স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অপরিকল্পিত শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিবেশেরও ক্ষতি করছে। এ জন্য এখন থেকে বিনিয়োগকারীদের নির্ধারিত অঞ্চলেই স্থাপন করতে হবে। এসব অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক চুন্ন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ফজলে কবির এবং বেসরকারী শিল্পের মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও সচিবগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সভায় নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বেজার কর্মকা- ও পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, অনুমোদিত বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চল মাদারীপুর, ফরিদপুর, নোয়াখালী ও কিশোরগঞ্জে গড়ে তোলা হবে। বৈঠকে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সেবার ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন প্রণয়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। ইহসানুল করিম বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের (অর্থনৈতিক অঞ্চলের কল্যাণ তহবিল গঠনের ও পরিচালনা) খসড়া নীতি, শুল্ক ব্যবস্থা ও বর্তমান বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিনিয়োগকারীদের যথাযথ মূল্যে জমি প্রদানের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়।
×