ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৬ জানুয়ারি ২০১৭

উবাচ

কীসের ছাত্র স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশনের কাছে পত্র পাঠিয়েছেন। কিন্তু ওই পত্র পাঠ করেননি দলটির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল বা যুবদলের নেতাকর্মীরা। এহেন অপরাধে হেব্বি চটেছেন দলীয় প্রধান। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আজেবাজে ছেলেপেলে দিয়ে এতদিন ছাত্রদল চালানো হলেও এখন আর তা করা যাবে না। ছাত্রদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক সমাবেশে বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘আমি যে ইলেকশন কমিশনের প্রস্তাব দিয়েছি, তোমরা কি পড়েছ সবাই? সবাই পড় নাই, তাইলে তোমরা কীসের ছাত্র? কেন ছাত্রদল কর বা কেন তোমরা যুবদল করবে? আজেবাজে ছেলেপেলে এনে দল করতে যাবে না। সংখ্যা আমি দেখতে চাই না। আমি দেখতে চাই ভাল, উপযুক্ত ছেলেপেলে আসে কি-না।’ ছাত্রদলের কর্মকা-ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এখন তিনি যখন বিভিন্ন জায়গায় যান, দেখতে পান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ ইউনিটের নামে ‘উত্তর উত্তর, দক্ষিণ দক্ষিণ’- এভাবে সেøাগান দিতে থাকে। সংগঠনটির সাম্প্রতিক সেøাগান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা কী বোঝাতে চাও? উত্তর উত্তর, দক্ষিণ দক্ষিণ, এটা কোন সেøাগান হলো? তোমরা ছাত্র, নতুন নতুন সেøাগান তৈরি করবে। আগের দিনের ছাত্ররা নিজেরা সেøাগান তৈরি করত, পোস্টার করত। এখন তোমাদের পোস্টার করে দিতে হয়, করে দেয়ার পরও সে পোস্টারগুলো ঠিকমতো লাগে না। পড়ে থাকে।’ বাঁচতে চাই ক্ষমতা স্টাফ রিপোর্টার ॥ আর অনেকদিন বেঁচে থাকতে হলে এখন ক্ষমতায় যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় দেখছেন না জাতীয় পার্টির প্রেসিডেন্ট এইচএম এরশাদ। তিনি বলছেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছি। কতদিন আর বাঁচব। আমাকে বাঁচাতে হলে জাতীয় পার্টিকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। আমাকে নতুন জীবন দাও। আমার শেষ জীবনের চাওয়া- জাতীয় পার্টিকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চাই। দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য শক্তি প্রয়োজন, নির্ভর করছে তোমাদের ওপর। তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দলকে শক্তিশালী কর। সমাবেশে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে দেশের জন্য কী কী করবেন তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা বক্তব্যে তুলে ধরেন এরশাদ। তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে আমরা প্রাদেশিক সরকার করব। এ সরকার দিয়ে আমরা উপকৃত হইনি... নিষ্পেষিত হয়েছি। এভাবে দেশ চলতে পারে না। তাই প্রাদেশিক সরকার চাই। সংবিধানবিরোধী স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেষ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন। কিন্তু সবখানেই যখন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয় সেখানে এ সংলাপের বৈধতা কী? বিএনপির সাবেক নেতা আর তৃণমূল বিএনপির প্রধান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলছেন, রাষ্ট্রপতিকে এমন সংলাপে বসার অনুমতি দেয়নি সংবিধান। এ কারণেই রাষ্ট্রপতির এ সংলাপকে ‘সংবিধানবিরোধী’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল এ্যালায়েন্স বিএনএ চেয়ারম্যান। দেশের প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মতামত গ্রহণের এখতিয়ায় সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে দেয়নি। এমনকি নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি গঠনের এখতিয়ারও সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে দেয়নি। তার মতে, ‘তথাকথিত সংলাপ সম্পন্ন করার পর রাষ্ট্রপতি যদি কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী যদি সে সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত না হন- তাহলে রাষ্ট্রপতি কি সে নিয়োগ বাস্তবায়িত করতে পারবেন? বরং প্রধানমন্ত্রী তার সুবিবেচিত সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ প্রদানের আগে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সংবিধানসম্মতভাবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন।’ বিএনপির সাবেক এ নেতা বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার জন্য অনিবন্ধিত দলগুলোকে ডাকা হয়নি। অথচ আসন্ন নির্বাচনের আগেই অনেক অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পাবে, তাহলে এ খ-িত সংলাপের অর্থইবা কী?’
×