ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীতে গণতন্ত্রের বিজয় র‌্যালি ও সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ

নাশকতা-জঙ্গীবাদ রুখে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার অঙ্গীকার

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ৬ জানুয়ারি ২০১৭

নাশকতা-জঙ্গীবাদ রুখে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার অঙ্গীকার

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিন বৃহস্পতিবার রাজপথসহ সারাদেশের মাঠ ছিল আওয়ামী লীগের দখলে। গণতন্ত্রের বিজয় দিবসের এই দিনটিতে দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিজয় শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। শোভাযাত্রা ও সমাবেশ থেকে সন্ত্রাস-নাশকতা-জঙ্গীবাদ রুখে দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। রাজধানীতে অনুষ্ঠিত দুটি পৃথক বিশাল সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাস-নাশকতা-গুপ্তহত্যা ও জঙ্গীবাদের পথ ছেড়ে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ক্যান্টনমেন্ট থেকে ইউনিফর্ম পরা কেউ এসে খালেদা জিয়াকে আর ক্ষমতায় বসাবে না। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে দেশে শুধু গণতন্ত্রই রক্ষা পায়নি, সাংবিধানিক শাসনও সুরক্ষিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত ষড়যন্ত্র, আগুন, সন্ত্রাস ও নাশকতা মোকাবেলা করেই নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত করেছিলেন। এখন দেশকে তিনি উন্নয়ন-সমৃদ্ধির মহাসড়কে উত্তীর্ণ করেছেন। আর যদি বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে কোন ধরনের নাশকতা-সন্ত্রাস বা ষড়যন্ত্রের পথে পা বাড়ায় তবে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণ ব্যর্থ ও গণবিচ্ছিন্ন খালেদা জিয়াকে প্রত্যাখ্যান করে শেখ হাসিনার সমৃদ্ধির নৌকাকে আবারও বিজয়ী করে তাদের শেষ উচিত শিক্ষা দেবে। ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তৃতীয় বছর পূর্তির দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং ধানম-ির রাসেল স্কোয়ারে আয়োজিত পৃথক দুটি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আন্দোলনের নামে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার জন্য খালেদা জিয়াকে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানিয়ে নেতারা বলেন, সব দিক থেকে ব্যর্থ হয়েও ষড়যন্ত্রের পথ থেকে সরে আসেনি একাত্তরের পরাজিত শত্রুদের পেতাত্মা ও তাদের দোসর বিএনপি। কিন্তু দেশের জনগণ আর কোনদিন কাউকে গণহত্যা চালাতে দেবে না, উন্নয়ন-অগ্রগতির চাকা স্তব্ধ হতে দেবে না। খালেদা জিয়াকে দেশের মানুষ দুইবার উপযুক্ত শিক্ষা দিয়েছে। ষড়যন্ত্রের পথ না ছাড়লে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারও বিজয়ী করে খালেদা জিয়াকে চিরদিনের জন্য জনগণ চরম শিক্ষা দেবে। সংসদ নির্বাচনের তৃতীয় বর্ষের দিনটিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ আখ্যায়িত করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ পৃথকভাবে এ দুটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে। দুটি স্থানেই মানুষের ঢল নামিয়ে আওয়ামী লীগ রাজধানীতে বড় ধরনের সাংগঠনিক শক্তির মহড়া প্রদর্শন করে। শুধু রাজধানীতেই নয়, সারাদেশেই আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে সভা-সমাবেশ ও বিজয় শোভাযাত্রা করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীতে বিএনপির কোন কর্মসূচী না থাকায় কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে এ দুটি জনসভাকে ঘিরে রাজধানীতে বেশ যানজটেরও সৃষ্টি হয়। আর দুটি সমাবেশেই উপস্থিত থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করলেও কোনটাতেই বক্তব্য রাখেননি দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ তৈরি করা হলেও সমাবেশের পরিধি গোলাপ শাহ মাজার হয়ে জিরোপয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়। অন্যদিকে ধানম-ির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে মঞ্চ তৈরি করা হলেও সেখানকার সমাবেশটি রাসেল স্কোয়ার হয়ে পুরো শুক্রাবাদ লোকে-লোকারণ্য হয়ে পড়ে। আগামী নির্বাচনে দেশবাসী খালেদা জিয়াকে চরম শিক্ষা দেবে- আমু ॥ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত বিশাল সমাবেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে রক্ষা করেছেন। নির্বাচন বানচালের নামে অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে গণহত্যা চালিয়ে খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে দেশে সাংবিধানিক শূন্যতার সৃষ্টি হতো। সেটিই চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু দেশবাসী তাঁর সেই ষড়যন্ত্র নসাৎ করে দিয়েছে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দক্ষিণের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টাম-লীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, সভাপতিম-লীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এমপি, মহানগর দক্ষিণের আবু আহমেদ মান্নাফি, রুহুল আমিন রুহুল, কামাল চৌধুরী, হেদায়তুল ইসলাম স্বপন, আফতাব তালুকদার, মোর্শেদ কামাল, যুবলীগের ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও তিনি কোন বক্তব্য রাখেননি। মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সমাবেশে বলেন, ৭ জানুয়ারি ঢাকায় বিএনপি-জামায়াতকে রাজপথে নামতে দেয়া হবে না। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু আরও বলেন, আন্দোলনের নামে শত শত মানুষকে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে খালেদা জিয়া দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই ষড়যন্ত্র দেশের জনগণ ব্যর্থ করে দিয়েছে। এখন তারা নতুন করে পানি ঘোলা করতে চাইছে, নানা ষড়যন্ত্র করছে। এরা আবার আন্দোলনের নামে গণহত্যা চালাতে চায়। কিন্তু দেশবাসী খালেদা জিয়াকে আর সেই সুযোগ দেবে না। ইতোমধ্যে জনগণ বিএনপি নেত্রীকে দুই দুইবার শিক্ষা দিয়েছে। তারপরও যদি শিক্ষা না পেয়ে থাকে ইনশাল্লাহ আগামী জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে রায় দিয়ে চিরদিনের মতো তাঁকে গণতন্ত্রের শিক্ষা দিয়ে দেবে। প্রায় এক দশক পর আওয়ামী লীগের সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সদ্য মনোনীত উপদেষ্টাম-লীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে দেশে গণতন্ত্রের বদলে অসাংবিধানিক শাসন কায়েম হতো। অগ্নিসন্ত্রাস করে খালেদা জিয়া সেটিই চেয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার মুখে আর গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। এদের সকল ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে। সভাপতিম-লীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াত যদি দেশে আবারও সন্ত্রাস-নাশকতার পথে যায় তবে তাদের বাংলার মাটিতেই চরম মূল্য দিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের ৮ বছর মেয়াদে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে, বিশ্ববাসী সরকারের উন্নয়ন-সফলতা দেখে বিস্মিত হচ্ছেন। এই উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে দেশের জনগণ আগামী নির্বাচনেও খালেদা জিয়াকে প্রত্যাখ্যান করবে। মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, সবক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়া এখন কার্যত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। গুপ্তহত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস, বিদেশী নাগরিক খুন, সংখ্যালঘু- মসজিদের ইমাম হত্যা করে সরকারের উৎখাতের তাঁর ষড়যন্ত্রও ব্যর্থ হয়েছে। বাগাড়ম্বর করলেও ৫ জানুয়ারি দেশের কোথাও রাজপথে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীরা নামার সাহস দেখাতে পারেনি। কোথাও যদি তারা সন্ত্রাস-নাশকতার চেষ্টা করে তবে তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। নাশকতার চেষ্টা করলে দেশবাসী সমুচিত জবাব দেবে- মতিয়া ॥ ধানম-ির রাসেল স্কোয়ারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছেন, দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেন, রেহাই দেন। জামায়াত-শিবিরকে সঙ্গে নিয়ে আর কোন নাশকতার চেষ্টা করলে দেশবাসী আপনাকে সমুচিত জবাব দেবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বানচাল করতে এমন কোন কাজ নেই যা করেননি। টানা ৯২ তিন পার্টি অফিসে থেকে হুকুম দিয়ে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে জনগণের ওপর নির্যাচন চালিয়েছেন। ঘোষণা দিয়েছিলেন সরকার পতন না ঘটানো পর্যন্ত ঘরে ফিরবেন না। কিন্তু শকুনের দোয়ায় গরু মরে না। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ এমপির সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা, আসলামুল হক আসলাম এমপি, কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। এখানেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত থাকলেও তিনি কোন বক্তব্য রাখেননি। হুংকার পরিহার করে গণতন্ত্রের ফিরে আসার জন্য খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়া ছাত্রদলকে মাঠে নামতে বলেছেন। নিজের ছেলেকে বিদেশে আয়েশে রেখে কোমলমতি বাচ্চাদের বিপথে পরিচালিত করছেন, বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ হচ্ছে। এ সেতু নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে তার কোন প্রমাণ দিতে পারেনি বিশ্বব্যাংক। কানাডার মাটিতে রায় হয়েছে পদ্মা সেতুতে কোন দুর্নীতি হয়নি। অতীতে দুর্নীতির অভিযোগ আনার জন্য বিশ্বব্যাংকের কান ধরে উঠবস করা উচিত। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ক্যান্টনমেন্ট থেকে ইউনিফর্ম পরা কেউ এসে খালেদা জিয়াকে আর ক্ষমতায় বসাবে না। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হয়েছিল বলেই দেশ আজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সকল সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকতে হলে নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। আশরাফ বলেন, যারা কথায় কথায় নির্বাচন বয়কট করে তারা গণতন্ত্র চায় না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নির্বাচনের বিকল্প নেই। খালেদা জিয়া নির্বাচনে আসেন নাই। না এসে তিনি কী পেয়েছেন? কী পুরস্কার পেলেন তিনি? খালেদা জিয়ার এ সিদ্ধান্ত ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আপনি (খালেদা জিয়া) কি ভেবেছেন ক্যান্টনমেন্ট থেকে ইউনিফর্ম পরা কেউ সাঁজোয়া যান নিয়ে এসে আপনাকে ক্ষমতার সিংহাসনে বসাবে? এটা কখনও হবে না, কোথাও হয়নি। নির্বাচনে না এসে মানুষ হত্যার রাজনীতি করে কোন লাভ নেই। নির্বাচনের মাঠে তাঁকে (খালেদা জিয়া) আসতেই হবে। জনগণের কাছে যেতেই হবে। সাহারা খাতুন বলেন, বাংলার মানুষ খালেদা জিয়া ও বিএনপি-জামায়াতকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ডাঃ দীপু মনি বলেন, আজ দেশে কেউ না খেয়ে মারা যায় না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির কোন ষড়যন্ত্র-নাশকতা জঙ্গীবাদকে আমরা সফল হতে দেব না। আসুন সবাই আমরা তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। জাহাঙ্গীর কবির নানক ব্যর্থতার দায় নিয়ে খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আজ আমাদের বিজয়ের দিন। হাজারো ষড়যন্ত্রের মাঝেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। খালেদা জিয়া দেশ ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিল। তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য চেষ্টা চালিয়েছে। তাই তাকে ধিক্কার জানাই।
×