স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ টেকনাফে বিজিবির দায়েরকৃত মামলার অভিযোগপত্র থেকে আরএসও জঙ্গীদের রক্ষায় মোটা অঙ্কের ফান্ড এসেছে বলে জানা গেছে। নতুনভাবে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের সেবা ও ১১ আরএসও জঙ্গীর নাম বাদ দেয়ার তদ্বিরের জন্য মালয়েশিয়া প্রবাসী রোহিঙ্গা নেতা নুরুল ইসলাম হুন্ডির মাধ্যমে এ ফান্ড পাঠিয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, ২০১৬ সালের ৩১জুলাই শাপলাপুরে গোপন বৈঠক থেকে আরএসও নেতা হাফেজ ছলাহুল ইসলাম, মৌলভী ছৈয়দ করিম ও ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ ও ওরা ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, বিজিবির অভিযানে আটক ও পরে জামিনে মুক্ত হয়ে মামলার চার্জশীট থেকে রেহাই পেতে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে আরএসও জঙ্গীরা। দেশে ঘাপটি মেরে থাকা ওসব আরএসও জঙ্গী মোটা অঙ্কের ফান্ড নিয়ে জনৈক নেতার হাত ধরে অপরাধ থেকে পার পেতে তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছে।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এইচকে আনোয়ার বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে গোপনে হাফেজ ছলাহুলের নেতৃত্বে জঙ্গী সংগঠনের কার্যক্রম চলছে।
জানা যায়, হাফেজ ছলাহুল ইসলাম হচ্ছে আরএসওর প্রথমসারির নেতা। পলাতক আসামি মাস্টার আইয়ুব ঐ জঙ্গীগোষ্ঠীর অন্যতম প্রাণশক্তি।
কথিত মাস্টার রোহিঙ্গা জঙ্গী আয়ুব আত্মগোপনে থাকলেও তার সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন এই ছলাহুল। মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে লোকজন এনে গোপন জায়গায় পাঠিয়ে দেয়া, অর্থ তহবিল সংগ্রহ ও যোগান এবং ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের সব কাজটুকুনই জঙ্গী ছলাহুল করে থাকে বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: