ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কৃষি জমি ও বাঁধের মাটি যাচ্ছে ইটভাঁটিতে

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ৬ জানুয়ারি ২০১৭

কৃষি জমি ও বাঁধের মাটি যাচ্ছে ইটভাঁটিতে

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ৫ জানুয়ারি ॥ আমতলী ও তালতলী উপজেলার কৃষি জমির উর্বর মাটি ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশের মাটি ইটভাঁটির গ্রাসে। কৃষকরা ইটভাঁটির মালিকদের প্রলোভনে পড়ে দেদার বিক্রি করছে কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি। এতে হুমকিতে ফসল আবাদ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। কৃষিবিদরা বলেছেন এভাবে মাটি কাটায় জমি উর্বরতা হারাচ্ছে। অবিলম্বে মাটি কাটা বন্ধ না হলে বড় ধরনের ফলন বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। আমতলী উপজেলার আমতলী সদর, হলদিয়া, চাওড়া, কুকুয়া, গুলিশাখালী, আঠারগাছিয়া ও তালতলীর ছোটবগী, সোনাকাটা, নিশানবাড়ীয়া, কড়ইবাড়ীয়া ইউনিয়নে জিকজাক, ড্রাম চিমনি এবং পাজা পদ্ধতির ২৫ ইটভাঁটি রয়েছে। এ ইটভাঁটিগুলোতে বছরে কয়েক কোটি ইট পোড়ানো হয়। ইট পোড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় মাটি ভাঁটির মালিকরা জমির মালিকের কাছ থেকে ১ হাজার ঘনফুট এক হাজার টাকা দামে ক্রয় করছে। জমির মালিকরা না বুঝে ভাঁটির মালিকদের প্রলোভনে পরে দেদারসে জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। এদিকে, উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশের মাটি ভাঁটি মালিকরা কেটে নিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের বাদুরা, সোনাখালী, চাউলা, আমতলী সদর ইউনিয়নের সেকান্দারখালী, বান্দ্রা ও খলিয়ান এলাকার বাঁধের চরের মাটি ভাঁটির মালিকরা কেটে নিচ্ছে। আবার অনেকে মাটি বিক্রির জন্য কৃষি জমি কেটে পুকুর খনন করেছে। এর ফলে হাজার হাজার একর কৃষি জমির উর্বরতা হারাচ্ছে এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মারাত্মক হুমকির মধ্যে রয়েছে। বৃহম্পতিবার আমতলী উপজেলার ফকিরবাড়ী, বান্দ্রা, ছোট নীলগঞ্জ খলিয়ান, ঘটখালী, কালীবাড়ি, হলদিয়া, তালুকদার বাজার, চাউলা, সোনাখালী ও বাদুরা ঘুরে দেখা গেছে, ট্রলার ও ট্রলি বোঝাই করে শ্রমিকরা দেদারসে মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাঁটিয় নিয়ে যাচ্ছে। আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম বদরুল আলম বলেন কৃষি জমির উপরের ৬ ইঞ্চি থেকে দেড়ফুট পর্যন্ত মাটির উপরিভাগে রাসায়নিক উপাদান থাকে। এ মাটি কেটে নেয়া হলে যেমন জমি উর্বরতা হারাবে তেমনি ফসল আবাদ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
×