ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অধ্যাপক হাসান আবদুল কাইয়ূম

কাদিরিয়া তরিকা

প্রকাশিত: ০৩:১৯, ৬ জানুয়ারি ২০১৭

কাদিরিয়া তরিকা

ইসলাম বিদ্যা অর্জনকে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য অবশ্য কর্তব্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। বিদ্যা বা বিজ্ঞানের নানা শাখা-প্রশাখা রয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান বা ‘ইল্ম সম্পর্কে বলা হয়েছে : ‘ইল্ম হচ্ছে মহাশক্তি, বড় সম্পদ এবং আল্লাহ্র নিয়ামত। ইসলামে জ্ঞান-বিজ্ঞানকে সমষ্টিগতভাবে দুইভাবে ভাগ করা হয়েছে আর তা হচ্ছে : ‘ইল্মে জাহির অর্থাৎ প্রকাশ্য বিদ্যা এবং ‘ইল্মে বাতিন অর্থাৎ গুপ্তবিদ্যা। এর বহু বিষয়ভিত্তিক শাখা প্রশাখা রয়েছে। সমস্ত জ্ঞান-বিজ্ঞানের আকর হচ্ছে ‘ইল্মে তাসাওউফ। এই তাসাওউফ বিজ্ঞান মূলত শরিয়াত, তরিকত, হকিকত ও মারুফতের সমন্বয়ে একটি অনন্য বিজ্ঞান। ‘ইল্মে তাসাওউফ এমন এক বিজ্ঞান যা শরিয়াতকে সুসংহত করে এবং ইন্সানে কামিল বা পূর্ণমানব হওয়ার কার্যকর দিশা প্রদান করে। এ জন্য রয়েছে তরিকত বা পন্থা। সেই পন্থা অনুযায়ী যিক্র-আয্কার, গভীর অনুধ্যান তথা মুরাকাবা-মুশাহাদার মাধ্যমে হকিকত বা প্রকৃত দশায় উপনীত হয়ে অতি সহজে সত্যকে অবলোকন করে মারুফাত হাসিল করা সম্ভব হয়। সাধারণ বিদ্যা অর্জনের জন্য যেমন শিক্ষকের প্রয়োজন হয়, তেমনি ‘ইল্মে তাসাওউফ অর্জনের জন্যও পীর মুরশিদের প্রয়োজন হয়। তাসাউফকে বাদ দিয়ে সত্যের প্রকৃত সন্ধান পাওয়া যায় না। তাসাওউফবিহীন বিদ্বান হচ্ছে মূলত খুশবুহীন ফুলের মতোন কিংবা সাগরতলায় পড়ে থাকা নুড়ির মতোন। হযরত ইমাম মালিক রহ্মাতুল্লাহি ‘আলায়হি বলেছেন : মান তাফাক্কাহা ওয়ালাম ইয়া তাসাওউফ ফাকাদ তাফাস্সাকা, ওয়া মান তাসাওউফা ওয়ালাম ইয়া তাফাক্কাহ্ ফাকাদ্ তাযান্দাকা, ওয়া মান জামা’আ বায়নাহুমা ফাকাদ্ তাহাক্কা-কেউ ফিক্হ আমল করল অথচ তাসাওউফ বাদ দিল সে ফাসিক আর কেউ তাসাওউফ আমল করল অথচ ফিক্হ বাদ দিল সে যিন্দিক, আর যে দুটোই একত্রে আমল করল সে মুহাক্কিক্- প্রকৃত সত্যনিষ্ঠ। ইসলামে যেমন সুষ্ঠুভাবে বিধি-বিধান পালন করার জন্য বিভিন্ন মাযহাব রয়েছে তেমনি ‘ইল্মে তাসাওউফ সুষ্ঠুভাবে ও সুশৃঙ্খলপন্থায় অর্জনের জন্য বিভিন্ন তরিকা রয়েছে। এই তরিকাগুলোর মধ্যে প্রধান তরিকা হিসেবে গণ্য করা হয় কাদিরিয়া তরিকাকে। এই তরিকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, এই তরিকায় আল্লাহ্র রিদা বা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আল্লাহ্র নাম মুবারক বেশি বেশি যিক্র করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এই যিক্র কিভাবে করতে হবে, কিভাবে মুরাকাবা-মুশাহাদা করতে হবে তার নিয়ম-পদ্ধতি এতে রয়েছে। আল্লাহ্ আল্লাহ্ যিক্র নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী কল্বের দিকে গভীরভাবে মনোনিবেশ করে খেয়ালের সঙ্গে মনে মনে যে যিক্র করা হয় তাকে খফি বা শব্দবিহীন বা অনুচ্চস্বরে যিক্র বলা হয়। আবার সশব্দ উচ্চারণে যে যিক্র করা হয় তাকে জলী যিক্র বলে। জলী যিক্র এতটুকু উচ্চস্বরে করার পদ্ধতি রয়েছে যাতে তা চিৎকারে পর্যবসিত না হয়। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : ওয়ায্কুরিস্মা রব্বিকা ওয়া তাবাত্তল ইলায়হি তাবতীলা- সুতরাং তুমি তোমার রবের নাম যিক্র কর এবং একনিষ্ঠভাবে তাতে মগ্ন হও (সুরা মুয্যাম্মিল : আয়াত ৮)। কাদিরিয়া তরিকার নিস্বত (সম্বন্ধ) একই উৎস থেকে তিন ধারায় বিকশিত হতে হতে গাওসুল আযম আবু মুহম্মদ মুহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানী রহ্মাতুল্লাহি ‘আলায়হি পর্যন্ত এসে কাদিরিয়া তরিকা নামে সমন্বিত ও বিন্যাসিত হয়েছে। তিনটি ধারার প্রথমটি সাইয়েদুল মুরসালিন খাতমুন্নাবীয়ীন নূরে মুজাস্সাম হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লাম থেকে হযরত আলী করমাল্লাহু ওয়াজহাহু লাভ করেন। তাঁর থেকে হযরত ইমাম হুসাইন রাদিআল্লাহু তা’আলা আন্হু প্রাপ্ত হন, তাঁর থেকে তা লাভ করেন হযরত ইমাম হাসান রাদিআল্লাহু তা’আলা আন্হুর সাহেবযাদা হযরত হাসান মুসান্না রাদিআল্লাহু তা’আলা আন্হু। এমনিভাবে পরম্পরাগতভাবে হযরত সৈয়দ আবু সালেহ মূসা জঙ্গী রহ্মাতুল্লাহি ‘আলায়হির সাহেবযাদা গাওসুল আযম আবু মুহম্মদ মুহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানী (র)-এর প্রাপ্তি ঘটে। কাদিরিয়া তরিকার দ্বিতীয় ধারা হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাদিআল্লাহু তাআলা আন্্হু থেকে পরম্পরাগতভাবে হযরত সালমান ফারসী রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুর হয়ে হযরত সররি সাকতি (র) পর্যন্ত পৌঁছে। এমনিভাবে তা এগোতে এগোতে হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র) পর্যন্ত এসে পৌঁছে। এখান থেকে হযরত শায়খ আবু বকর শিব্লী (র) লাভ করেন। তাঁর থেকে ক্রমধারায় শায়খ আবু ফযল আবদুল ওয়াহেদ ইয়ামনী লাভ করেন। এমনিভাবে এই সিদ্দিকী নিস্বত হযরত আবু সাঈদ মাখ্রুমী (র) থেকে প্রাপ্ত হন গাওসুল অযম আবু মুহম্মদ মুহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানী (র)। এই তরিকার তৃতীয় ধারা হযরত খিযির ‘আলায়হিস্ সাল্লামের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই তৃতীয় ধারার নিস্বতও লাভ করেন গাওসুল আযম আবু মুহম্মদ মুহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানী (র)। এই তিনটি নিস্বত একত্র হয়ে কাদিরিয়া তরিকার উন্মেষ ঘটে। এই তরিকার মাধ্যমে শরিয়াতের ওপর সামগ্রিকভাবে কায়েম থেকে মারুফাতে অতি সহজেই উত্তরণ করা যায়। যে কারণে মুসলিম জাহানের সর্বত্র এই তরিকা চর্চার বহু কেন্দ্র গড়ে উঠেছে, গড়ে উঠেছে বহু খান্কা শরীফ। যতদূর জানা যায়, বাংলাদেশে এই তরিকার ব্যাপক চর্চা শুরু হয় হযরত শাহ্ জালাল রহ্মাতুল্লাহি ‘আলায়হি ও তাঁর সঙ্গী পীর-দরবেশগণের দ্বারা। হযরত গাওসুল আযম (র)-এর বংশধর বলে পরিচিত শাহ্ মখদুম মুবারক (র)-এর প্রসার ঘটান। তাঁর মাজার শরীফ রাজশাহী শহরে রয়েছে। হযরত শাহ্ আলী বাগদাদী (র)-এর দরগাহ্ ঢাকার মিরপুরে রয়েছে। আমাদের নিকটকালে ফুরফুরা শরীফের পীর মুজাদ্দিদে যামান আমীরুশ্ শরিয়াত হযরত মাওলানা শাহ্ সুফী আবু বকর সিদ্দিকী রহ্মাতুল্লাহি ‘আলায়হি অন্যান্য তরিকার মুবারকাপাশি কাদিরিয়া তরিকার সবক ও তালিম প্রদানে গুরুত্ব প্রদান করতেন। তার খলিফাগণও সেই নীতি গ্রহণ করেন। তাঁর প্রধান খলিফা দ্বারিয়াপুর শরীফের আলা হযরত পীর কুত্বুল আলম হযরত মাওলানা শাহ সুফী আল্হাজ তোয়াজউদ্দীন আহ্মদ রহ্মাতুল্লাহি ‘আলায়হি প্রাথমিকভাবে মুরিদদের কাদিরিয়া তরিকার নিস্বত অনুযায়ী সাধারণত তালিম-তালকীন দিতেন। সুফী সদরুদ্দীন (র), মাওলানা নিসারুদ্দীন আহ্মদ (র), যশোরের মাওলানা আহ্মদ আলী ইনায়েতপুরী (র), খুলনার মাওলানা ময়েজুদ্দীন হামিদী (র)সহ অনেক পীর কাদিরিয়া তরিকার সবক দিতেন। যশোরের সড়কী শরীফের পীর মাওলানা শাহ মোহাম্মদ আবদুল করীম (র) ঊনবিংশ শতাব্দীতে মূলত নক্শবন্দিয়া মুজাদ্দিদিয়া তরিকার সবক দিলেও কাদিরিয়া তরিকারও সবক দিতেন। তিনিই সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় তাসাওউফের ওপর মৌলিক ও বিস্তারিত গ্রন্থ রচনা করেন যার নাম এরশাদে খালেকিয়া বা খোদাপ্রাপ্ত তত্ত্ব (প্রথম প্রকাশ ১৮৯৯ খ্রিঃ)। হযরত মাওলানা আবদুল করীম (র)-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র মাওলানা শাহ্ আবু নঈম (র) কাদিরিয়া তরিকার তালিম দিতেন। তিনি হেলালে মারুফাত নামে একটি বই লেখেন। খড়কির পীর মাওলানা শাহ আবদুল মতিন (র) ও মুরিদকে এই তরিকার সবক দিতেন। কাদিরিয়া তরিকার ওপর বিভিন্ন ভাষায় বহু গ্রন্থ রচিত হয়েছে। হযরত আবদুল কাদির জিলানী রহ্মাতুল্লাহি ‘আলায়হির বেশ কয়েকখানি গ্রন্থ রয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : আল গুনিয়াতুত্ তালিবীন, আল ফহ্হুর রব্বানী, ফুত্হুলগায়ব, হিযবুল শাইরিল খায়রাত প্রভৃতি। তাঁর রচিত কাসিদাও (কাব্য) রয়েছে যা মুসলিম বিশ্বে বহুল পঠিত কাব্যকর্ম। কাদিরিয়া তরিকায় জরবী যিক্র করার ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। জরবী শব্দের অর্থ আঘাত করা। বিশেষ প্রক্রিয়ায় আল্লাহ্ নাম দ্বারা কল্বের ওপর আঘাত করা হয়, যে কারণে একে জরবী যিক্র বলে। এক জরবী, দুই জরবী, তিন জরবী ও চার জরবী যিক্র রয়েছে। হাদিস শরীফে আছে : প্রতিটা জিনিস পরিষ্কার করার শানযন্ত্র আছে। কল্ব পরিষ্কার করার শানযন্ত্র হচ্ছে আল্লাহ্র যিক্র। এই যিক্র বাদ ফজর ও বাদ মাগরিব পীরের নির্দেশ মুতাবিক করলে খুবই ফায়দা পাওয়া যায়। তিনি তাঁর কাসিদায় বলেন : সার্বিক কর্তৃত্ব সবার ওপরে আমার র্হ হালতে বলবত হয় হুকুম আমার আমি যে জিলানী মুহিউদ্দীন নামটি আমার সব মানব স্কন্ধে স্থাপিত কদম আমার। তিনি আরও বলেন : ওয়া আলামি আলা রাসিল জিবালিÑ প্রতি পর্বত শীর্ষে ওড়ে বিজয় কেতন আমার। কাদিরিয়া তরিকার দরুদ শরীফ বাদ ফজর খতম শরীফ পাঠ শেষে সওয়াব রিসানি করে কলবের দিকে মুতাওয়াজ্জাহ হয়ে কমপক্ষে এক শ’ বার গভীর মহব্বতের সঙ্গে মনে মনে পাঠ করতে হয়। দরুদ শরীফ : আল্লাহুম্মা সাল্লেআলা সাইয়্যেদিনা মুহম্মাদিন সাইয়েদিল মুরসালিন ওয়াআলা আরশাদি আওলাদিহিশ শায়েখ সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানী ইমামিত তরিকাতে ওয়াল আওলিয়ায়িল কামিলীন। এই দরুদ শরীফে তাঁকে তরিকতের এবং কামিল ওলীগণের ইমাম বলা হয়েছে। সত্যিকার অর্থে তিনি বিভিন্ন ধারার নিসবতকে এক মোহনায় এনে আল্লাহ প্রাপ্তির যে সহজ এবং প্রবল শক্তিসম্পন্ন তরিকা বা পদ্ধতি সফলভাবে বিন্যাসিত করেছেন তা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়েছিল তাঁর কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতার ফলেই। জানা যায়, তিনি আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে কোন কিছু চাননি। তিনি অধিকাংশ সময় উপোস থাকতেন। পয়সা কড়ির অভাবে অনেক সময় খাদ্য কিনতে পারতেন না। গাছের পাতা খেয়েও তিনি বহুকাল দিন গুজরান করেছেন। একবার তিনি উঁচু টিলার ওপর এক জীর্ণ কুঠিরে ১২ বছর ইবাদত-বন্দেগি, যিক্র-আযকার, মুরাকাবা-মুশাহাদার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেছেন। তিনি এক সময় সঙ্কল্প করলেন যে, লাগাতার ৪০ দিন পানাহার করবেন না। যদি আল্লাহ কারও মাধ্যমে তাঁর মুখে খাবার তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেন তাহলেই কেবল তিনি তা খাবেন, নইলে অনাহারেই কাটাবেন। এইভাবে ৪০ দিন এসে গেলে এক ব্যক্তি তাঁর সামনে কিছু খাবার রেখে দিলেন, তিনি তা খেলেন না কারণ তিনি মুখে তুলে না দিলে খাবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন। শেষমেশ ৪০ দিনের দিন বিখ্যাত সুফী হযরত মাখরুমী (র) তাঁর মুখে খাবার তুলে দিলে তিনি তা গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, দরস্তুল ইলমা হাত্তা সিরতু কুতবান। ওয়া নিলতুস সাদা মিন মওলাল মত্তআলীÑ তাবত ইলম হাসিল করে কুতব হলাম আমি মওলার দয়ায় খোশ নসিবে সফল হলাম আমি। জানা যায়, গরিবে নওয়াজ সুলতানুল হিন্দ খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (র) তাঁর খিদমতে বাগদাদ শরীফে ৫৭ দিন লাগাতার অতিবাহিত করেন, অতঃপর গাওসুল আযম (র) তাঁকে হিন্দুস্থানের বিলায়েত দান করেন, এতে বোঝা যায়, চিশ্তিয়া তরিকার ওপরও গাওসুল আযমের তাওয়াজ্জুহ্ ও ফয়েজ রয়েছে। আমাদের স্মরণ রাখতে হবে যে, তাসাওউফ শিক্ষা করার জন্য পীরের কাছে বায়াত হয়ে মুরিদ হতে হবে। তবে সাবধান থাকতে হবে ভ- পীরের খপ্পরে পড়ে যেন কেউ নিজের ইমান-আকিদা নষ্ট করে না দেয়। একসঙ্গে চার তরিকাতেই বায়াত হওয়া যায় যদি সেই হক্কানী পীরের কোন হক্কানী পীর থেকে চার তরিকার খিলাফতনামা থাকে। এই তরিকায় দশ লতিফার স্থান নির্ধারণ রয়েছে এই ভাবে : বাম স্তনের দুই আঙ্গুল নিচে কল্বের মকাম, ডান স্তনের দুই আঙ্গুল নিচে রুহের মকাম, বুকের মধ্যস্থলের নিচের শেষ প্রান্তে র্সির-এর মকাম, মাথার মধ্যস্থলে আখছার মকাম, নাভিতলমূলে লতিফা নফসের মকাম এবং সমগ্র দেহে আব (পানি), আতশ (আগুন), খাক (মাটি) ও বাদ (বাতাস) এর মকাম। কাদিরিয়া তরিকা রপ্ত করতে পারলে সহজে সুফী হওয়া যায়। লেখক : পীর সাহেব দ্বারিয়াপুর শরীফ উপদেষ্টা, ইনস্টিটিউট অব হযরত মুহম্মদ (সা) সাবেক পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
×