ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সংবাদ সম্মেলন ১১ জানুয়ারি

বিল ও হিলারি ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৫ জানুয়ারি ২০১৭

বিল ও হিলারি ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে  উপস্থিত থাকবেন

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে থাকবেন হিলারি ক্লিনটন ও বিল ক্লিনটন। ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও সাবেক ফার্স্ট লেডি লরা বুশ শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন। খবর বিবিবির নির্বাচনী বাগযুদ্ধে ট্রাম্প ও হিলারি কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি। রাজনীতি থেকে পরিবার, এমনকি একান্ত বিষয়েও একে অপরকে আক্রমণ করেছেন। দুর্নীতি, যৌন কেলেঙ্কারির মতো অপ্রীতিকর বিষয়গুলো নির্বাচনে ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ৮ নবেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প বিজয়ী হলে পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান হিলারি। যে ট্রাম্প তাকে জেলে ঢোকাতে চেয়েছিলেন, সেই ট্রাম্পের কাছে হেরেও তার শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন হিলারি। কাদা ছোড়া ছুড়িতে ট্রাম্প ও হিলারি হয় তো আগের সব প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ছাড়িয়ে গেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে তারা এক জায়গায় হতে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার ক্লিনটন দম্পতির ঘোষণার আগ পর্যন্ত সাবেক প্রেসিডেন্টদের মধ্যে একমাত্র জিমি কার্টার নিশ্চিত করেছিলেন ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি আসবেন। তবে ৯২ বছর বয়সী সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ জানিয়েছেন, বার্ধক্যজনিত কারণে এ অনুষ্ঠানে তিনি থাকতে পারবেন না। নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয়ের পর নিজেকে অনেকটা আড়াল করে রেখেছেন হিলারি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার আগে প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার এক টুইটে ট্রাম্প নিজেই এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, ১১ জানুয়ারি আমি নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে আসব। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ১০ জানুয়ারি শিকাগোতে ‘বিদায়ী ভাষণ’ দেবেন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানোর পরই ট্রাম্পের সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা এলো। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের পথ ধরেই ওবামা তার বিদায়ী ভাষণের জন্য নিজের শহরকে বেছে নিয়েছেন। সোমবার এক বিবৃতিতে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ভাষণে তিনি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাবেন। পাশাপাশি হোয়াইট হাউসে থাকার দিনগুলোতে নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও ভাবনা নিয়ে কথা বলবেন। দুর্দান্ত এই যাত্রার আট বছরে আপনারা যেভাবে এই দেশকে বদলে দিয়েছেন, ভালর দিকে এগিয়ে নিয়েছেন সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানানোর চিন্তা করছি আমি। এখান থেকে আমরা কোথায় যেতে পারি তা নিয়ে আমার ভাবনা ভাগাভাগি করার একটা সুযোগও পেতে পারি সেদিন।
×