ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পরিচালকদের জরিমানা কমেছে

আরএন স্পিনিংয়ের এজিএমে আর কোন বাধা নেই

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৫ জানুয়ারি ২০১৭

আরএন স্পিনিংয়ের এজিএমে আর কোন বাধা নেই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে দেয়ায় অবশেষে জট খুলছে লভ্যাংশ ঘোষণা এবং বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজনের। জরিমানা কমে যাওয়ায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আরএন স্পিনিংয়ের মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয় আরএন কর্তৃপক্ষ। উচ্চ আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নিলে কোম্পানিটিকে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করার কোন জটিলতা থাকবে না। কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এখন আর এজিএম আয়োজনের ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবে না। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মামলা প্রত্যাহার সম্পর্কিত একটি চিঠি দিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে। আরএন স্পিনিং মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে গত বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয় বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (আইন) মোঃ মাহবুবের রহমান চৌধুরী। চিঠিতে পরিচালদের জরিমানা পরিশোধ এবং মামলা প্রত্যাহারে আদেশপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। আরএন স্পিনিং মিলসের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, দু’একদিনের মধ্যে সার্টিফাইড কপি বিএসইসি কার্যালয়ে জমা দেবে। সার্টিফাইড কপি জমা দেয়ার পর তারা এজিএম আহ্বান করার জন্য বিএসইসির অনুমতি চাইবে। রাইট শেয়ার নিয়ে জালিয়াতি করার অভিযোগে ২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আরএন স্পিনিংয়ের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি, হস্তান্তর, বন্ধক ও উপহার দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এ নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করে কোম্পানির পরিচালকরা। মামলার রায় কোম্পানির পক্ষে এলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বিরুদ্ধে আপীল করে। বিএসইসির আপীলের পরিপ্রেক্ষিতে রায় স্থগিত করা হলে এ স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপীল করে কোম্পানি পরিচালকরা। সর্বশেষ চলতি বছরের ৮ মে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ কিছু পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে এ মামলার নিষ্পত্তি করে দেয়। বস্ত্র খাতের এই কোম্পানিটি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এ বছর কোম্পানিটি শেয়ার হোল্ডারদের ৩০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করে। এর পরের বছর প্রতিষ্ঠানটি লভ্যাংশ দেয় ৩৫ শতাংশ। এর পরই রাইট শেয়ার সংক্রান্ত ঝামেলায় জড়িয়ে যায়। ফলে তাদের বার্ষিক সাধারণ সভা স্থগিত হয়ে যায়। এর পর থেকে জেড ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ গত চার বছর কোম্পানিটি শেয়ার হোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে পারছে না। শেয়ার হোল্ডাররা তাকিয়ে রয়েছেন কোম্পানিটির মামলার দিকে। এর ফয়সালা হয়ে গেলে তারা ৪ বছরের লভ্যাংশ পাবেন। এদিকে বুধবার দিনশেষে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ার সমাপনী মূল্য ছিল ৩০ টাকা ৫০ পয়সা। আর দিনজুড়ে এর দর ওঠানামা করে ৩০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৩২.৬০ টাকার মধ্যে। ১৯৮৭ হাওলার মাধ্যমে সারাদিনে মোট শেয়ার লেনদেন হয় ৩১ লাখ ৭২ হাজার ৫৮৪টি। গত এক বছরের মধ্যে এ শেয়ার সর্বোচ্চ ৩২ টাকা ৬০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ১৬ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৬ দশমিক ৭০ শতাংশ। এছাড়া সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৮ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার। বাকি ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে।
×