অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল প্রতি ৫৭ দশমিক ১৭ ডলারে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়েছে, বিদায়ী ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর অর্থাৎ বছরের শেষদিনে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৫৬ দশমিক ৮২ ডলার। নতুন বছরের শুরুতেই সেই দাম শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে বাজারে ৫৭ দশমিক ১৭ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। ওপেক (তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা) এবং নন-ওপেক দেশের উৎপাদনে ভাটা থাকায় তেলের বাজার উর্র্ধমুখী হয়েছে বলে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৬ সালের শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কয়েকবার পরিবর্তন হয়েছে। বছরের শুরুতে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৫৫ দশমিক ০৫ মার্কিন ডলার। তবে গত শুক্রবার বছরের শেষদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম দেখানো হয়েছিল ৫৩ দশমিক ৭২ ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে বহুল ব্যবহৃত এ পণ্যের দাম প্রায় ২ দশমিক ৫২ শতাংশ কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও গত ৭ বছরে এ খাতে বিশ্ববাজারে সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে। এরপরও তেলের দাম বাড়াতে আগামীতে এর উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেক এবং তাদের সহযোগী দেশগুলো।
২০১৬ সালে তেল বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ৪৫ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যের ব্রেন্ট ৫২ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা করেছে। ২০০৯ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ।
এতে জানানো হয়েছে, ২০০৯ সালে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের ৭১ শতাংশ থেকে ৭৮ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা হয়েছিল। এরপর আন্তর্জাতিক তেল বাণিজ্যে মুনাফা কমতে থাকে। তবে ২০১৬ সালে সেই মুনাফা আবারও বেড়ে যায়।
ওয়াশিংটনের জ্বালানি পণ্যদ্রব্যের বিশেষায়িত ব্রোকার পাওয়ার হাউজের প্রেসিডেন্ট এলাইন লেভিন বলেন, ২০১৬ সালে অল্প বাণিজ্যে ভাল মুনাফা করেছে জ্বালানি তেল বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। এমনকি ২০১৭ সালের পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে তারা। তিনি বলেন, গত ৭ বছরের মধ্যে ২০১৬ সালেই বিশ্ববাজারে রেকর্ড পরিমাণ লাভ হয়েছে তেল বাণিজ্যে। তবু আগামী ২ বছরে তেলের উৎপাদন কমিয়ে এর দাম আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেকভুক্ত দেশগুলো।
এদিকে বছরের বেশিরভাগ সময়ে তেলের দাম নিম্নমুখী থাকার জন্য বাজারে ডলার শক্তিশালী হওয়াকেই দায়ী করেছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, তেলের অতিরিক্ত উৎপাদন কোনভাবেই এর দাম কমার জন্য দায়ী নয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: