১। ই, ঈ, উ, ঊ
সকল অতৎসম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশী, বিদেশী, মিশ্র শব্দে কে ই এবং উ এবং এদের কার চিহ্ন ি ু ব্যবহৃত হয়। যেমন :
আরবি, আসামি, ইংরেজি, ইরানি, উনিশ, ওকালতি, কাহিনী, সোনালি, হাতি, হিজরি, হেঁয়ালি, চুন, পুজো, পুব, বুড়ি, নানি, নিচু, পাগলি, ফরাসি, টুপি ইত্যাদি।
সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া- বিশেষণ ও যোজক পদরূপে কী শব্দটি ঈ-কার দিয়ে লেখা হবে। যেমন : কী বাংলা কী আরবি উভয় ভাষায় তিনি পারদর্শী। কী বই? কী করে যাব? কী দুরাশা ইত্যাদি।
কীভাবে, কীরকম, কীরূপে প্রভৃতি শব্দে ঈ-কার হবে।
হ্যাঁ বা না বাচক উত্তর হবে যে সব বাক্যের সে সব বাক্যে ব্যবহৃত ‘কি’ হ্রস্ব-ই-কার দিয়ে লিখবে।
যেমন : তুমি কি এখন যাবে? সে এসেছিল কি?
২। এ, অ্যা
বাংলায় এ বর্ণ বা -েকার দিয়ে এ এবং অ্যা এই উভয় ধ্বনি নির্দেশিত হয়। যেমন : কেন, জেনো, যেন, খেলা, খেলি ইত্যাদি।
তবে কিছু তদ্ভব এবং দেশী শব্দে ্যা-কার যুক্ত রূপ বহুল পরিচিত। যেমন : ব্যাঙ, ল্যাটা ইত্যাদি।
বিদেশী শব্দে ক্ষেত্র ভেদে অ্যা বা ্যা-কার ব্যবহৃত হবে। যেমন :
অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক, হ্যাট ইত্যাদি।
৩। ও
বাংলা অ-ধ্বনির উচ্চারণ বহুক্ষেত্রে ও-র মতো হয়। শব্দ শেষে এসব অ-ধ্বনি ও কার দিয়ে লেখা যায়। যেমন : কালো, ভালো, এগারো, বারো ইত্যাদি।
ভবিষ্যত অনুজ্ঞায় শব্দের আদিতেও ও-কার লেখা যায়। যেমন : বোলো, বোসো ইত্যাদি।
৪। ং, ঙ
শব্দের শেষে প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে সাধারণত অনুস্বার ব্যবহার হয়। যেমন : রং, ঢং, পালং, গাং ইত্যাদি।
তবে অনুস্বারের সঙ্গে স্বর যুক্ত হলে ঙ হবে। যেমন : বাঙালি, ভাঙ্গা ইত্যাদি।
বাংলা ও বাংলাদেশ শব্দে অনুস্বার হবে।
৫। অতৎসম শব্দ খিদে, খুদ, খুর ইত্যাদি লেখা হবে। -শিক্ষাসাগর ডেস্ক