ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যে হার আফ্রিদিকে কষ্ট দেয়...

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ৪ জানুয়ারি ২০১৭

যে হার আফ্রিদিকে কষ্ট দেয়...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পাকিস্তান ক্রিকেটের উত্থান-পতন, ভাল-মন্দ অনেক কিছুর সাক্ষী হয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। সেখানে তুখোড় অলরাউন্ডারের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনার মধ্যে ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিতে ভারতের কাছে হার, সেই দুঃখ তিনি কিছুতেই ভুলতে পারেন না। সেবার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মোহালিতে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। আগে ব্যাট করে ভারত ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৬০ রান। জবাবে ৪৯.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে পাকিস্তান করে ২৩১ রান। আফ্রিদির নেতৃত্বে খেলা আলোচিত ম্যাচটি পাকিস্তান হেরে বসে ২৯ রানের ব্যবধানে। হতাশা বাড়িয়ে দেয়া সেই ম্যাচটাই ক্যারিয়ারের সবচেয়ে অনুতাপের ঘটনা বলে জানিয়েছেন আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপের সেই আসরে শিরোপার খুব কাছে চলে গিয়েছিলাম। অধিনায়ক হিসেবে তা জিততে না পারাটা আমার কাছে খুবই পরিতাপের ছিল। তবে অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জিততে না পারার জন্য নয়, দলগতভাবে আমরা ভাল খেলেও শিরোপার স্বাদ নিতে পারিনি, এটা আমাকে এতো বছর পরও পীড়া দেয়। আমার মতে এটাই ছিল পাকিস্তানের দীর্ঘ সময়ের সেরা পারফর্মেন্স।’ পাকিস্তানের বর্তমান ক্রিকেট প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমার এবং পাকিস্তানের সব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদেরই উচিত পাকিস্তানকে আরও ভালভাবে বিশ্বক্রিকেট অঙ্গনে উপস্থাপন করা। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরামের মতো কিংবদন্তিদের বিশ্ব ক্রিকেটে কথা বলা জরুরী। বাইরের দেশগুলোকে পাকিস্তানে খেলতে আসার আহ্বান জানাতে হবে। প্রয়োজনে বোর্ডের সঙ্গে সব ক্রিকেটারদের আলোচনায় বসতে হবে।’ আম্পায়ারিংয়ে আলিম দারের রেকর্ড স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের নতুন রেকর্ড গড়লেন পাকিস্তানের আলিম দার। কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সিরিজে চলমান দ্বিতীয় ম্যাচটা তার ৩৩২তম। ভেঙ্গেছেন ডি কোয়ের্টজনের রেকর্ড। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার মোট ৩৩১টি ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন। আলিম দার এর আগে টেস্ট (১০৯) ও ওয়ানডে (১৮২) দুই ভার্সনেই আম্পারিংয়ের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। পাশাপাশি মাঠে ছিলেন ৪১ টি২০তে। এমন অর্জনের অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এলক্ষ্যে আসতে পারব তা কখনও ভাবিনি। আম্পায়ারিংয়ে মাঠে দাঁড়িয়ে শচীন টেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, ইনজামাম-উল-হক, জ্যাক ক্যালিস ও ওয়াসিম আকরামের মতো গ্রেটদের দেখতে পারাটা ছিল সৌভাগ্যের।’ ১৯৬৮ সালে জন্ম নেয়া আলিম দারের বর্তমান বয়স ৪৮ বছর। আলিম ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালে আইসিসির সেরা আম্পায়ার নির্বাচিত হন। এছাড়া ২০০৭ ও ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কখনও পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ হয়নি। খেলেছেন ১৭টি প্রথমশ্রেণীর ম্যাচ। ১৯৯৮ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটকে বিদায় জানানর পর মাত্র ৩২ বছর বয়সে আম্পায়ারিং শুরু করেন। দুই বছর পর আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নেন। ২০০০ সালে গুজরানওয়ালাতে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মধ্যকার ওয়ানডে ম্যাচের দায়িত্ব পালনের মধ্যদিয়ে পথচলা শুরু। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন বিশ্ব ক্রিকেটের প্রতিষ্ঠিত ও অত্যন্ত সম্মানিত আম্পায়ার তিনি।
×