ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৬ মাস নিখোঁজ হোমিও ডাক্তার ॥ উদ্ধারে বাবার আকুতি

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ৪ জানুয়ারি ২০১৭

৬ মাস নিখোঁজ হোমিও ডাক্তার ॥ উদ্ধারে বাবার আকুতি

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ ছয় মাস আগে পুলিশের হাতে আটক সাতক্ষীরার রনিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত আগস্টে পুলিশ সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেট চত্বর থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল রনিকে। পর পর তিনদিন তার সঙ্গে সদর থানায় দেখাও করেছিলেন তার বাবা ও স্ত্রী। এরপর থেকে পুলিশ বলছে, রনি কোথায় তা তাদের জানা নেই। ছেলের সন্ধানে পাগলপ্রায় পিতা ও রনির স্ত্রী মঙ্গলবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। নিখোঁজ শেখ মোকলেছুর রহমান রনির বাড়ি সাতক্ষীরা শহরের কুখরালি গ্রামে। সে শেখ আবদুর রাশেদ এর ছেলে। রনির স্ত্রী জেসমিন নাহার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৫ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টায় তার স্বামী ডাঃ শেখ মোকলেছুর রহমান জনি শহরের নিউমার্কেটে এসেছিলেন ওষুধ কিনতে। এ সময় তাকে সাতক্ষীরা থানার এসআই হিমেল গ্রেফতার করেন। আমরা বিষয়টি জানতে থানায় যাই। এস আই হিমেল বলেন, তার ব্যাপারে তদন্ত চলছে। নির্দোষ হলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। জেসমিন জানান, পরপর তিনদিন থানায় যেয়ে স্বামীর সঙ্গে দেখা করেছি। তিন বেলা তার খাবারও পৌঁছে দিয়েছি। এরপর ৮ আগস্ট সকাল থেকে পুলিশ বলতে শুরু করে জনি কোথায় তা আমরা জানি না। তিনি বলেন, এস আই হিমেল আমার এবং আমার শ্বশুর-শাশুড়ির জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি থানায় জমা দিতে বলার পর জমা দেয়া হয়। পরবর্তীতে স্বামীর কোন খোঁজ না পেয়ে থানায় একটি জিডি করতে গেলে পুলিশ জিডি এন্ট্রি করেনি। নিরুপায় হয়ে ২৪ আগস্ট পুলিশ সুপারের কাছে স্বামীর সন্ধান চেয়ে আবেদন করেন স্ত্রী। কিন্তু কোন সুরহা হয়নি। জেসমিনের স্বামী পেশায় একজন হোমিও ডাক্তার। তিনি সপ্তাহের চারদিন কলারোয়ার লাঙ্গলঝাড়ায় শ্বশুরবাড়ি থাকতেন। বাকি দিনগুলো কাটাতেন বাড়িতে। শ্বশুরের বিরোধীয় জমিজমা দেখাশুনা করতেন রনি। এতে প্রতিপক্ষ তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ষড়যন্ত্রে ফেলতে পারে তার শংকা। জনি কোন রজনীতি করেন না। তার বিরুদ্ধে কখনও কোথাও কোন মামলাও ছিল না। জনির খোঁজ জানতে যোগাযোগ করা হলে সাতক্ষীরা থানা থেকে বদলি হওয়া এসআই হিমেল বলেন, অনেক আগের বিষয়। এ সম্পর্কে এখন কিছু মনে নেই। একই কথা জানান, কলারোয়া থানায় বদলিকৃত সে সময়কার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক শেখ। তিনি বলেন, পাঁচ মাস আগের কথা, এখনই কিছু বলতে পারছি না।
×