ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হামলাকারীকে ধরতে ইস্তানবুুলে চিরুনি অভিযান

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৪ জানুয়ারি ২০১৭

হামলাকারীকে ধরতে ইস্তানবুুলে চিরুনি অভিযান

ইস্তানবুলের একটি নাইটক্লাবে গুলি চালিয়ে ৩৯ জনকে হত্যার ঘটনায় হামলাকারীর খোঁজে অভিযান আরও জোরদার করেছে তুরস্কের পুলিশ। ইস্তানবুলের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে তারা এ পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। খবর বিবিসির। তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী নুমান কুরতুলমাস জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের কাছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও প্রাথমিক বর্ণনা রয়েছে। সন্দেহভাজনকে দ্রুত শনাক্ত করে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। গত রবিবার খ্রিস্টীয় নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ইস্তানবুলের জনপ্রিয় রেইনা নাইটক্লাবে হামলাটি চালানো হয়। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ক্লাবটিতে জড়ো হওয়া প্রায় ৬০০ লোকের ওপর বন্দুক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ওই বন্দুকধারী। জঙ্গীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করেছে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে কুরতুলমাস বলেছেন, ওই সন্ত্রাসীর হাতের ছাপ এবং দেখতে কেমন এসব তথ্য পাওয়া গেছে। পরবর্তী পদক্ষেপ হবে, যত দ্রুত সম্ভব তাকে শনাক্ত করার চেষ্টা করা। আমাদের আশা, ওই সন্ত্রাসীকে খুঁজে পাওয়ার পাশাপাশি তার সঙ্গে যাদের যোগাযোগ আছে এবং ক্লাবের ভেতরে ও বাইরে থেকে যারা তাকে সহযোগিতা করেছে তাদের সবাইকে খুঁজে পাওয়া যাবে। এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। ওইদিন সন্ধ্যার পর ইস্তানবুলের জেইতিনবুরনু এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশের বিশেষ বাহিনী। অভিযানে হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হয়, কিন্তু হামলাকারীকে পাওয়া যায়নি। ইস্তানবুলের অন্যান্য এলাকায় চালানো অভিযানে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তুর্কী পুলিশ এরমধ্যে একটি ছবি প্রকাশ করে তা সন্দেহভাজন হামলাকারীর হতে পারে বলে জানিয়েছে। তবে ছবিটি করে এবং কোথা থেকে নেয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। একটি ট্যাক্সিযোগে রেইনা নাইটক্লাবে এসেছিল হামলাকারী। ট্যাক্সির বুট থেকে লম্বা ব্যারেলের একটি বন্দুক নিয়ে প্রবেশ পথ থেকেই গুলি শুরু করে। তার গুলিতে প্রবেশ পথে ক্লাবের এক নিরাপত্তা রক্ষী ও এক ট্র্যাভেল এজেন্ট নিহত হন। এরপর সাত মিনিট ধরে নির্বিচার গুলিবর্ষণে সে আরও ৩৭ জনকে হত্যা করে। প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটিরত মানুষের হুল্লোড়ের সুযোগে বন্দুকধারী তার পোশাক পরিবর্তন করে পালিয়ে যায়।
×