ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ডানপন্থী বিশ্বের বিপদ!

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৪ জানুয়ারি ২০১৭

ডানপন্থী বিশ্বের বিপদ!

শতচ্ছিন্ন একটা বছর গেল। ২০১৬-এর কথা বলছি। সেই প্রেক্ষাপটে ২০১৭-ও যে ভাল যাবে, এমনটা ভাবা বাতুলতা। খ্রিস্টপূর্ব ৫৫১-৪৭৯ পর্বের সুখ্যাত আধ্যাত্মিক দার্শনিক কনফুশিয়াস বলে গেছেন, ভবিষ্যত জানতে পাঠ কর অতীত। চীনারা কম্যুনিজমের কঠিন নিগঢ়ের মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করলেও কনফুশিয়াস, তাও প্রমুখকে মান্যগন্য করে থাকে যথেষ্ট। কথা সেখানে নয়। প্রশ্ন হলো, মানুষের অতীত ইতিহাস কী কখনই সত্যি সত্যিই নিরবচ্ছিন্ন সুখ-শান্তি ও উন্নয়নে সমৃদ্ধ ছিল? এ নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। তবে বাস্তবতা হলো, পৃথিবীর আদি সভ্যতা ও সংস্কৃতি যদি এতই সমৃদ্ধ, উন্নত ও শান্তিপূর্ণ হবে, তবে তা ধ্বংস হলো কেন? মিসর কিংবা ইরাকের ইতিহাস? সিন্ধু সভ্যতা কিংবা রোমান সাম্রাজ্য? মায়া ও ইনকা সভ্যতা? কালের করাল গর্ভে অথবা মনুষ্যসৃষ্ট কৃষ্ণবিবরে একে একে ধ্বংস হয়ে গেছে সবই। আর রয়ে গেছে অতীতের কিছু স্মৃতিবিজড়িত হাহাকার ও দীর্ঘশ্বাস। মিসর কিংবা মেসোপটেমীয় সভ্যতার ইতিহাস কম বেশি চার-পাঁচ হাজার বছরের পুরনো, সমৃদ্ধ তো বটেই। তবু আজ পর্যন্ত মিসরে প্রতিষ্ঠিত হলো না গণতন্ত্র। রাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্রÑ কোন্টি ভাল কোন্টি মন্দ, সে বিতর্ক আমাদের অভিপ্রায় নয়। যে কোন একটি শাসন পদ্ধতিতে একটি দেশ ও জনগণ ভাল থাকতেই পারে। বাস্তবতা হলো, ভাল নেই কেউ বর্তমান বিশ্বে। না কোন দেশ, না কোন জনগণ। সিকিম কিংবা ভুটানে যখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা মানে পার্লামেন্ট নির্বাচন ও ভোটাভুটির ব্যবস্থা হলো, তখন সেখানকার সাধারণ মানুষ বললেন, আমাদের ভোটের দরকার নেই। আমরা এই ভাল আছি। সুখে আছি। জানি না, এই মনোভাব এখনও সে দেশের মানুষের আছে কিনা! গত বছরের শেষ এবং নতুন বছরের শুরুতে ঠিক হিসাব-নিকাশ কিংবা সালতামামি গোছের কিছু লেখা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। সেসব প্রায় সব পত্রপত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলগুলোই কম বেশি করে থাকে। কেউ কেউ করে মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা। তাতে কী পাওয়া যায়Ñ ভাল-মন্দ, পাওয়া না পাওয়া, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের বেদনা ও হাহাকার? তাতে কী জীবনের হিসাব এমনকি বৈশ্বিক হিসাবও সব মেলে? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেলে না; বরং সর্বত্রই দেখা যায় জোড়াতালি দেয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টা। যেমন, বিবিসির হিসাবে দেখতে পাচ্ছি, ২০১৭ সাল পশ্চিমাদের জন্য হবে বেকায়দার বছর। আর পশ্চিমাদের জন্য হলে সেটা যে অন্যদের জন্যও হবে সে কথা লেখাই বাহুল্য। পৃথিবীটাকে যদি আমরা একটি ক্যানভাসের মতো কল্পনা করি, তাহলে নিশ্চিত করে বলা যায় যে, এর একপ্রান্তে একখ- পাথর ছুড়ে মারলে অন্যপ্রান্তে এবং সর্বত্র তার কম বেশি তরঙ্গ অনুভূত হবেই। বিগত বছরের সেরা ও উল্লেখযোগ্য ঘটনা যে যাই বলুন না কেন, রাশিয়ায় পুতিনের উত্থান এবং আমেরিকায় ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সমতুল্য আর কিছু নয়। কেননা, ১৯৯১ সালে তৎকালীন পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন তাসের ঘরের মতো টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে যাওয়ার পর রাশিয়া একেবারে ডুবে গিয়েছিল অন্ধকারের অতলে। অর্থনৈতিক সংকট এতই তীব্র ও অসহনীয় হয়ে উঠেছিল যে, রাশিয়ার মেয়েরা পর্যন্ত পৃথিবীর আদিমতম পেশায় ছড়িয়ে পড়েছিল বহির্বিশ্বে। একদা যে অবস্থা ছিল থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়ার। তো সেই কঠিন দুরবস্থা থেকে রাশিয়াকে প্রায় একক ও অদ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বর্তমান প্রায় পরাশক্তির অবস্থায় টেনে তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। তিনি আবার বিশ্বের অন্যতম ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিও। ফোর্বসের বিবেচনায় গত কয়েক বছর ধরে প্রায় সর্বশীর্ষে তার অবস্থান। অবশ্য এর পেছনে ব্যাপক প্রভুত্ব, একনায়কসুলভ আচারআচরণসহ দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগও আছে বিস্তর। এত সবকিছু সত্ত্বেও এটা তো সত্যি যে, তিনিই বর্তমানে রাশিয়াকে টেনে তুলেছেন আমেরিকা ও ন্যাটোর সঙ্গে টেক্কা দেয়ার পর্যায়ে! অন্যদিকে আমেরিকার অন্যতম শীর্ষ ধনী ট্রাম্প টাওয়ারের মালিক বিলিয়নেয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজনীতিতে এবং রিপাবলিকান পার্টিতে নবাগত হয়েও জনমত এবং বিশেষ করে ইলেকটোরাল কলেজের বিপুল ব্যবধানে পরাজিত করেছেন ‘প্রায় বিজয়ী’ প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে। ‘প্রায় বিজয়ী’ বলছি এই কারণে যে, হিলারি ক্লিনটন ইতোপূর্বে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্ত্রী হওয়ার সুবাদে দু’দুবার হোয়াইট হাউস আলোকিত করার সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন ফার্স্টলেডি হিসেবে। অনতিপরেই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনেরও সুযোগ পেয়েছেন এক মেয়াদে। দেশীয় এবং বৈশ্বিক রাজনীতি ও হালচাল একেবারে নখদপর্ণে থাকায় তিনি নিঃসন্দেহে হেভিওয়েট ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন। অনেকেই ধরে নিয়েছিল যে, তিনিই আগামীতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে চলেছেন। তো সেই হিলারিকে পরাজিত করে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া নিঃসন্দেহে ২০১৬-এর সেরা অঘটন এবং হিলারির জন্য মহাবিপর্যয় বৈকি। সেই হিসাবে সার্বিক বিবেচনা ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার পুতিন এবং আমেরিকার ট্রাম্প ২০১৭ সালে হতে যাচ্ছেন নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা তথা বিশ্ব নিয়ন্তার নতুন নিয়ামক। পাঠক এখানে একটি প্রশ্ন রাখতে পারেন অবশ্যই। আর সেটি হচ্ছে, আমরা কেন জার্মানি, ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন, ভারত কিংবা চীনের কথা ভুলে যাচ্ছি? না, ভোলার প্রশ্নই ওঠে না। তবে কথা হলো, জার্মানির মেরকেল, ফ্রান্সের ওলাঁদ, ব্রিটেনের থেরেসা মে এবং ভারতের মোদি এখন নিজ নিজ দেশ সামলাতেই ব্যতিব্যস্ত। আর চীনের শি জিং পিং-এর নজর এখন দক্ষিণ চীনসহ নতুন নৌ-সিল্ক রুট বিনির্মাণে। বৈশ্বিক অবস্থা ও ব্যবস্থা প্রতিদিন এমনকি প্রতি মুহূর্তে এত দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে যে, বাঘা বাঘা বিশেষজ্ঞদের পক্ষেও নিশ্চিত করে বলা মুশকিল, আগামীকাল কোথায় কখন কি ঘটবে? মার্কিন নির্বাচনে সাইবার হামলার কথিত অভিযানের জের সেখানেই থেমে থাকেনি। বরং অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের দিন বুঝি ফিরে এলো! তবে এই যুদ্ধবিগ্রহ মার্কিন-সোভিয়েতের সাবেক পেট্রিয়ট বনাম স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের লড়াই নয়, বরং যাকে বলে সাইবার যুদ্ধ। কেউ কেউ বলছেন হাইব্রিড যুদ্ধ। বিদায়ের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট ওবামা তার ক্ষমতার দাপটের অংশ হিসেবে বিদায়ী কামড় দিয়ে প্রায় অর্ধশত রাশিয়ান কূটনীতিক বহিষ্কার এবং সে দেশের দুটি কার্যালয় বন্ধ করে দিয়েছেন। অবশ্য রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মার্কিন কূটনীতিক বহিষ্কার করে পাল্টা ব্যবস্থা নেননি। বরং মস্কো তাদের নতুন বছরের আনন্দ-উৎসব যথারীতি উদযাপন করতে বলেছে পরিবার-পরিজনসহ। প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুতিনের এই পদক্ষেপকে ‘স্মার্ট’ বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে রাশিয়া ওবামাকে অভিহিত করেছে ‘লেম ডাক’ বা খোঁড়া হাঁস হিসেবে। ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউস ত্যাগের প্রাক্কালের প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রায় স্বেচ্ছাবরণ করে এই ব্যঙ্গাত্মক অভিধায় ভূষিত না হলেও পারতেন! অন্যদিকে সিরিয়ায় আলেপ্পোর পতনের পর তথাকথিত বিদ্রোহী গ্রুপ কিংবা আইএসের তা-ব থেমে থাকেনি। তুরস্কের জনৈক পুলিশ কর্তৃক রুশ রাষ্ট্রদূতকে হত্যার পরপরই ৩১ ডিসেম্বর মধ্য রাতে নববর্ষ উদযাপনকালে আঙ্কারার নৈশক্লাবে জঙ্গী সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দেশী-বিদেশী বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। হামলার ঘটনা ঘটেছে বাগদাদেও। অন্যদিকে পশ্চিমাদের চাপে আপাতত আলেপ্পোতে চলছে সিজফায়ার তথা যুদ্ধবিরতি। আলেপ্পো পুরোপুরি দখলের পর সেখান থেকে আইএস, আলশামস, আল নুসরা ও কুর্দি বিদ্রোহীদের সরে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে এবং রাশিয়া, তুরস্ক, ইরান, সিরিয়া প্রস্তাব দিয়েছে শান্তি আলোচনার। অতঃপর দেখা যাক, আদৌ সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় কিনা! এ বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর, নির্বাচনের আগে যিনি অঙ্গীকার করেছিলেন, তিনি আর যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক নন। অন্যদিকে ইরাকের মসুলের অবস্থাও বেশ নাজুক ও নড়বড়ে। সেখানে যদি মার্কিন বাহিনী ও ন্যাটো জোট এখনই সর্বশক্তি নিয়োগ না করে তবে মসুল শেষ পর্যন্ত আইএস মুক্ত করা সহজ হবে না। তবে ফ্রান্স ও জার্মানিতে বারবার ভয়াবহ জঙ্গী সন্ত্রাসী হামলার পর এবং ব্রিটেনের ব্রেক্সিটের ফলে ন্যাটোর অবস্থাও এখন নাজুক। এর পাশাপাশি মার্কিন হুমকি তো আছেই ন্যাটো জোট পরিত্যাগের। তদপুরি ফ্রান্স ও জার্মানিতে দরজায় কড়া নাড়ছে নির্বাচন। এই অবস্থায় আইএস দমনে তারা কতটা আন্তরিক ও সক্ষম হবেন, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে বিস্তর। এই প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জঙ্গী সন্ত্রাসী ও পশ্চিমের উদীয়মান জনপ্রিয় ডানপন্থীরা ক্রমাগত যেন একই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। এমনও মনে হয় যে, তারা একে অপরকে সহায়তা করছে, এমনকি পরস্পর পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ সামনের দিনগুলোতে ইসলামের নাম করে জঙ্গী সন্ত্রাসীরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আরও হামলা চালাবে এবং পশ্চিমা ডানপন্থীরা এই হামলার পেছনে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে ক্রমাগত ইন্ধন জোগাবে। যেসব বামপন্থী ও লিবারেল বর্ণবাদের বিরোধিতাসহ শরণার্থী সমস্যার সমাধানের কথা বলছে, তাদের গণ্য করা হবে বিপক্ষ শক্তি হিসেবে। অর্থাৎ উদার গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না। তাহলে কি আমরা ধরে নেব যে, বর্তমান বিশ্ব ক্রমাগত হেলে যাচ্ছে ডানদিকে, যেখানে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি তথা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী সন্ত্রাসীদেরই জয়জয়কার! পপুলিজমের নামে ভারত, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্রে তো ইতোমধ্যেই ক্ষমতাসীন হয়েছে উগ্র জাতীয়তাবাদী ডানপন্থী সরকার। ২১ ডিসেম্বর প্রকাশিত এএফপির একটি ছবিতে দেখতে পাচ্ছি যে, সিরিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিতে তেল আবিবে রুশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচীতে একটি ইসরাইলি কন্যাশিশু দাঁড়িয়ে আছে প্ল্যাকার্ড হাতে। প্রশ্ন জাগে, এই শিশুটি কি আদৌ জানে, সে প্রকৃতপক্ষে কাকে সমর্থন করছেÑ মার্কিন মিত্র নাকি আইএসকে? তালেবান, আল কায়েদা, আলশামস, আল নুসরা সর্বশেষ আইএস জঙ্গী সন্ত্রাসীদের উত্থান ও মদদদাতার পেছনে মার্কিন ও ন্যাটো জোটের সব রকম সমর্থনদানের অভিযোগ দীর্ঘদিনের ও পুরনো। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল এর ফাইনাল ঘাঁটি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান, যিনি কিছুদিন আগেও ছিলেন মার্কিনপন্থী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানে প্রবল আগ্রহী, ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর বাধ্য হয়ে তিনি এখন সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে। তাদের সহযোগিতায় ক্ষমতা সংহতকরণের পর আনুষ্ঠানিকভাবে পশ্চিমাদের দিকে অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আইএসের সঙ্গে মার্কিন-ন্যাটো জোটের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের তথ্য-প্রমাণ ও ভিডিও ক্লিপিংস তাদের কাছে রয়েছে। এই অবস্থায় ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈশ্বিক দাবার বোর্ডে কি চাল চালেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
×