স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলতি সপ্তাহে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘মুখোশ মানুষ’ চলচ্চিত্রটি আলোচনায় এসেছে। চলচ্চিত্রটি দেখার জন্য সিনেপ্লেক্সসহ অন্য হলগুলোতে দর্শকদের বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শুক্রবার চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর বেশ কয়েকটি হলে হাউসফুল যায়। মন্দাবস্থায় মুক্তির প্রথম দিনে হাউসফুল যাওয়ায় অনেকটাই উচ্ছ্বসিত ‘মুখোশ মানুষ’ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। সরেজমিন বেশ কয়েকটি হলে দেখা যায়, টিকিটের জন্য দর্শক লাইন ধরে আছে। এমনকি চলচ্চিত্রটি দেখে যারা বের হচ্ছেন, তারা বলছেন, এতে আমাদের বাস্তব জীবনের অব্যক্ত ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে, যা আমাদের সচেতন হতে সহযোগিতা করবে। চলচ্চিত্রের গল্প উপভোগ্য করে তুলে ধরা হয়েছে। এক দর্শকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সে চলচ্চিত্রটি দেখে তার বন্ধু-বান্ধবদেরও দেখতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তারাও সিনেমাটি দেখতে এসেছে। বলা বাহুল্য, এ সময় চলচ্চিত্রের দর্শকদের মধ্যে এ ধরনের প্রবণতা দেখা যায় না। সিনেমা দেখে আরও অনেককে বলার ঘটনা দীর্ঘদিন পর দেখা গেল। ‘মুখোশ মানুষ’ মূলত এক্সপেরিমেন্টাল চলচ্চিত্র হলেও, দর্শক বেশ ভালভাবে নিয়েছে। গল্পের সঙ্গে বাস্তব জীবনের মিল খুঁজে পাওয়ায় তারা এটি উপভোগ করছেন।
এদিকে দর্শকদের এমন উপস্থিতি হল মালিকদেরও উৎসাহী করে তুলেছে। তারা বলছেন, বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিল রয়েছে, এমন গল্পের চলচ্চিত্রই সাধারণত দেখতে চায় দর্শক। মুখোশ মানুষ সময়কে ধারণ করতে পেরেছে বলেই আশানুরূপ ব্যবসা করছে। এতে আমরা খুশি। চলচ্চিত্র শিল্পের দুর্দিনে এখন কোন শোই হাউসফুল হয় না। এদিক থেকে ‘মুখোশ মানুষ’ আমাদের হাউসফুল শো দিয়েছে। এটা চলচ্চিত্রের জন্য ইতিবাচক। জানা যায়, চলচ্চিত্রটি প্রাথমিকভাবে ২৩টি হলে মুক্তি পেলেও, দ্বিতীয় সপ্তাহে অনেক হল মালিকই এটি চালানোর জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে মফস্বল এলাকার হলগুলোর আগ্রহ বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে আগামী সপ্তাহে চলচ্চিত্রটি সারাদেশে ব্যাপক সংখ্যক হলে চলবে। চলচ্চিত্রের গল্প আবর্তিত হয়েছে, সাইবার ক্রাইমের শিকার এক মেয়ের জীবনের দুঃসহ ঘটনা নিয়ে। এর সঙ্গে থ্রিলার ও সাসপেন্সপূর্ণ ঘটনা যুক্ত হয়েছে। চলচ্চিত্রাটি নির্মাণ করেছেন তরুণ নির্মাতা ইয়াসির আরাফাত জুয়েল। বলা যায়, প্রথম কাজ দিয়েই জুয়েল অনেকটা বাজিমাত করেছেন। তার আধুনিকমনস্ক চিন্তাভাবনা দর্শকদের মধ্যে আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন নওশীন, হিল্লোল, কল্যাণ কোরাইয়া, প্রসূন আজাদ, লামিয়া মিমো প্রমুখ। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে ডিজি মোশন পিকচার্স।
