ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুত সংযোগের নামে অর্থ আত্মসাত

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ৩ জানুয়ারি ২০১৭

বিদ্যুত সংযোগের নামে অর্থ আত্মসাত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২ জানুয়ারি ॥ রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের রাউতনগর গুচ্ছগ্রামে বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার নামে ৩৬০ গ্রাহকের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা এমন অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগীরা বলেন, পল্লী বিদ্যুতের পরিচালক নাসিরুল ইসলাম নাসির, স্থানীয় মাতব্বর হুমায়ুন কবির ও আব্দুল হালিম গুচ্ছগ্রামে বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার কথা বলে ৩৬০ গ্রাহকের কাছ থেকে ৭ হাজার ১শ’ টাকা করে আদায় করেছেন। সে হিসাবে ২৭ থেকে ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। এদিকে টাকা দেয়ার এক বছর পেরিয়ে গেলেও আজও পর্যন্ত বিদ্যুত সংযোগ পায়নি ওই এলাকার বাসিন্দারা। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা। গুচ্ছগ্রামের কোথাও বিদ্যুতের কোন চিহ্নহ্ন নেই। এলাকার মানুষকে দেখানোর জন্য শুধু হাতেগোনা কয়েকটি পিলার মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে। তাও সেগুলো অনেক দিন আগে। রাউতনগর গুচ্ছগ্রামের তরিকুল ইসলাম বলেন, রাণীংশকৈল উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের পরিচালক আমাদের গ্রামে কয়েক দফায় বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি বলেছেন, বিদ্যুত সংযোগের জন্য প্রত্যেক গ্রাহককে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা দিতে হবে। আর এ টাকা তোলার দায়িত্ব দেয়া হয় স্থানীয় মাতব্বর হুমায়ুন ও হালিমকে। পরে তারা এ গ্রামের ৩৬০ পরিবারের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। রাণীশংকৈল পল্লী বিদ্যুতের পরিচালক নাসিরুল ইসলাম নাসির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন কিছু জানি না। আমার অজান্তে কেউ যদি টাকা তোলে সেটার দায়-দায়িত্ব আমার না। যারা টাকা দিচ্ছেন বা নিচ্ছেন তারা বোঝেন। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার খালেকুজ্জামান বলেন, গুচ্ছগ্রামে পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে শুনেছি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগও পেয়েছি। বিষয়টি যাচাই করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ ॥ আহত ১০ স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ পূর্ব বিরোধের জের ধরে সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্ব রোডে দু’দল গ্রামবাসী সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানায়, দুপুর সাড়ে ১১ টায় সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া ও মালিহাতা গ্রামের লোকজন গত ৩১ তারিখের সংঘর্ষের জের ধরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দেশী অস্ত্রশস্ত্রসহ অবস্থান নেয়। বিশ্ব রোড় এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। আতঙ্কে সড়কের পাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কে চলাচলকারী সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে।
×