ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পায়রা বন্দর

পণ্য পরিবহন সহজ করতে তিন নদীতে ড্রেজিং শুরু

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ৩ জানুয়ারি ২০১৭

পণ্য পরিবহন সহজ করতে তিন নদীতে ড্রেজিং শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ২ জানুয়ারি ॥ দক্ষিণাঞ্চলসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষের স্বপ্নের পায়রা সমুদ্রবন্দরে প্রতিদিনই কোন না কোন অগ্রগতি হচ্ছে। বন্দরের উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ ও দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি যেমন চলমান রয়েছে, তেমনি বন্দরে বহিঃনোঙ্গরে নিয়মিত পণ্য খালাস কার্যক্রমও চলছে। ইতোমধ্যে বন্দর থেকে দেশের অভ্যন্তরে পণ্য পরিবহন সহজ করতে তেঁতুলিয়া, বুড়াগৌরাঙ্গ ও কাজল নদীতে ড্রেজিং কাজ শুরু করেছে বন্দর কৃর্তপক্ষ আর বন্দরের মূল অবকাঠামো নির্মাণ, তীর রক্ষা বাঁধ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে সরকার। ২০২৩ সাল নাগাদ বন্দরটি পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হবে বলে জানান বন্দর সংশ্লিষ্টরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৮ নবেম্বর দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর হিসেবে পায়রার উদ্বোধন করেন। আর ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পায়রা বন্দরের অপারেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর থেকে শুরু হয় বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে পণ্য খালাস কার্যক্রম। ইতোমধ্যে বন্দরে প্রায় ৮টি বিদেশী জাহাজ পণ্য খালাস করেছে। এদিকে বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে খালাস পণ্য নৌপথে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করছেন ব্যবসায়ীরা। এসব পণ্য পরিবহন করতে বিভিন্ন স্থানে ডুবোচরের কারণে নাব্য সঙ্কটে পড়তে হয় পণ্যবাহী এসব নৌযানকে। এ কারণে নৌবাহিনীর একটি দল সার্ভের মাধ্যমে পায়রা বন্দর টু ঢাকা নৌরুটে ৫ মিটারের কম গভীরতা রয়েছে এমন ৫টি স্পটকে চিহ্নিত করে তা খননের জন্য সরকারের কাছে ফান্ডের জন্য আবেদন করে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার ২৫৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয় একনেকে। পুরো নৌপথে যাতে পাঁচ মিটারের অধিক উচ্চতার জাহাজ চলাচল করতে পারে এ জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায়না হারবার নামে ড্রেজিং কোম্পানি গত ডিসেম্বরের প্রথম দিকে খনন কাজ শুরু করেছে। পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর সাইদুর রহমান জানান, খনন কাজ শেষ হলে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই এই রুটে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে। এর ফলে জোয়ার ভাটার কারণে নাব্য সঙ্কটে তাদের তেমন সমস্যায় পড়তে হবে না। আগামী নয় মাসের মধ্যেই এই ড্রেজিং কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে সম্প্রতি নৌপরিবহনমন্ত্রী মোঃ শাজাহান খান পটুয়াখালীর বুড়া গৌরাঙ্গ নদীর ড্রেজিং কাজ পরিদর্শনে এসে জানান, পায়রা বন্দরকে সচল রাখতে নিয়মিত ড্রেজিং করা হবে। ২০২৩ সাল নাগাদ বন্দরটি পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে ব্যবহার উপযোগী করতে সরকার বিশেষ অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করে যাবতীয় কাজ সম্পাদন করছে।
×