ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও অবৈধ দখল উচ্ছেদের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৩ জানুয়ারি ২০১৭

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও অবৈধ দখল উচ্ছেদের উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসন, অবৈধ দখল উচ্ছেদ এবং পয়ঃনিষ্কাশনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সঙ্গে একযোগে কাজ করবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা ওয়াসা এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ (এনএইচএ)। সোমবার ডিএনসিসির নতুন কার্যালয় গুলশান সেন্টার পয়েন্টে চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত বছর ২৪ আগস্ট ডিএনসিসির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রথম আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় সভার সিদ্ধান্তের আলোকে অপরাপর ২৫টি সংস্থা থেকে পৃথকভাবে রাজউক, ঢাকা ওয়াসা এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এ তিনটি সংস্থার সঙ্গে একত্রে ডিএনসিসি এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সূত্র জানায়, রাজধানীর খাল ও জলাশয় পুনঃখনন এবং অবৈধ দখলমুক্তকরা, ডিএনসিসির সীমানায় অবস্থিত ১৭টি পার্ক ও খেলার মাঠ ডিএনসিসির কাছে হস্তান্তর, বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বিভিন্ন সংস্থার কাজের প্রয়োজনে রাস্তাখননে সমন্বয় সাধন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ডিএনসিসির নর্দমার মধ্যে দিয়ে স্থাপিত ওয়াসার পানির লাইন স্থানান্তর এবং বর্জ্য অপসারণে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) স্থাপনে ডিএনসিসিকে জমি বরাদ্দ প্রদান বিষয়ে আলোচনা হয়। সমন্বয় সভায় ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হকের সভাপতিত্বে রাজউক চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান খন্দকার আখতারুজ্জামান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জেনারেল সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল এসএমএম সালেহ্্ ভূঁইয়া, ঢাকা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাঃ আতিকুর রহমানসহ ডিএনসিসির সব বিভাগীয় প্রধান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জান্নাতবাগ, বিজলি মহল্লা, জহুরী মহল্লা এবং শ্যামলী রিংরোড সংলগ্ন বাদশাহ্্ ফয়সাল ইনস্টিটিউটের সামনের অবৈধ বস্তির প্রায় এক শ’ ঘর উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার সংস্থাটির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম অজিয়র রহমান ও ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত দীর্ঘ বছর ধরে অবৈধভাবে দখলে রাখা সরকারী জমি উদ্ধার করতে দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করেন। ডিএনসিসির মেগা প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জমি উদ্ধারে পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে প্রায় এক শ’ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। স্থানীয়ভাবে প্রসিদ্ধ ৪০ বস্তি উচ্ছেদকালে আদালত বাধার সম্মুখীন হয়। অভিযানকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর অধীনে একটি রেস্তরাঁকে ১৫ হাজার টাকা এবং স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯-এর অধীনে একজন স্যানিটারি সামগ্রী বিক্রেতাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নুরুল ইসলাম রতন উপস্থিত ছিলেন।
×