ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নানা বাধায় প্রতিনিয়ত ঝরে পড়ছে

শিক্ষাক্ষেত্রে এগোলেও কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে নারীরা

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৩ জানুয়ারি ২০১৭

শিক্ষাক্ষেত্রে এগোলেও কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে নারীরা

জান্নাতুল মাওয়া সুইটি ॥ বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের নারীরা শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে। নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক বাধা অতিক্রম করে বাংলাদেশের মেয়েরা তাদের অব্যাহত অগ্রযাত্রায় ছেলেদেরও ক্রমাগত পেছনে ফেলছে। তা আবার জানান দিল সর্বশেষ জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষায় মেয়েদের সর্বোচ্চ পাসের হার। শিক্ষাসহ সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এদেশের মেয়েরা। কিন্তু কর্মক্ষেত্র থেকে প্রতিনিয়ত ঝরে পড়ছে নারীরা। বাংলাদেশে নারীরা কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন। এটা অফিসিয়াল কিংবা অন্য যে কোন পেশাতেই বিদ্যমান। বর্তমানে সরকারী চাকরিতে কর্মরত আছেন মাত্র ২৪ শতাংশ নারী। তবে প্রাইমারি স্কুলের চাকরিতে এ হার ৬০ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষা জীবন শেষ করে চাকরিতে প্রবেশের সময় নারীর অংশগ্রহণ অনেক কমে যাচ্ছে। নারীদের পিছিয়ে থাকার বড় কারণ সামাজিক নিরাপত্তার অভাব ও বাল্যবিয়ে। দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের ‘বিশ্বের ১৭৩টি দেশে নারী ব্যবসা ও আইন-২০১৬’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় নারী কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ বৈষম্যের কারণে অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে পিছিয়ে পড়ছে। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়াতে নারীকে চাকরি উদ্যোক্তা হতে সবচেয়ে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। অথচ এ অঞ্চল সংস্কার কার্যক্রমে পিছিয়ে রয়েছে। এতে বলা হয়, এ অঞ্চলে নারীর প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে গত দুই বছরে মাত্র তিনটি সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়েছে।’ বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিক পর্যায়ে দেশে যত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে তার ৫০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী। মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রীর সংখ্যা ৫৩ শতাংশ ও কলেজ পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৭ শতাংশ নারী। দেখা যাচ্ছে, কলেজ পর্যন্ত নারী শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ বেশ ভাল। কিন্তু উচ্চশিক্ষা ও পেশাগত শিক্ষার ক্ষেত্রে গিয়ে নারীর সংখ্যা অনেক কমে যাচ্ছে। ব্যানবেইসের সর্বশেষ হিসাবে, চিকিৎসা, আইনসহ পেশাগত শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ এখন ৩৮ শতাংশ আর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৩৩ শতাংশ। তবে পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর এসব স্তরেও নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে।’ বাংলাদেশের নারীরা এগিয়ে গেছে অনেক ক্ষেত্রে। কিন্তু নারীরা সম্মানের প্রশ্নে, মর্যাদার প্রশ্নে, সমতার প্রশ্নে আজও অনেক পিছিয়ে। যার প্রতিফলন আমরা প্রতিনিয়তই দেখতে পাই পত্রিকার পাতায় সহিংসতার খবরের মাধ্যমে। নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূর করতে সর্বাগ্রে প্রয়োজন আমাদের ব্যক্তিকেন্দ্রিক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। গৃহস্থালি ও সেবা কাজের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পাশাপাশি প্রয়োজন নারীর কাজের বোঝা কমিয়ে আনা, যেখানে অত্যন্ত জরুরীভাবে প্রয়োজন গৃহস্থালি ও সেবা কাজ ভাগ করে নেয়া পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সঙ্গে। ফলে অনেক নারীর মানবাধিকার ও অধিকার সুরক্ষার পথ প্রশস্ত হবে। নারী তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় ও সিদ্ধান্তে বেছে নিতে পারবে সামাজিক বা অর্থনৈতিক কাজে তার অংশগ্রহণ। মেয়েরা এখন কাজ করছে সরকারী, বেসরকারী নানা প্রতিষ্ঠানে। যেসব কাজে পুরুষদের একাধিপত্য ছিল বলে এক সময় মনে করা হতো সেসব জায়গাতেও এখন মেয়েরা কাজ করছে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের সমতার জায়গা কি তৈরি হয়েছে? একটি বেসরকারী কোম্পানিতে কাজ করছেন নুপুর। একটা বড় কাজের সুযোগ থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয় শুধু তিনি বিবাহিত এই কারণ দেখিয়ে। ‘আমাকে বলা হলো আপনি বিবাহিত এখন তো বেশি সময় দিতে পারবেন না। তাই কাজটি আমরা এক ছেলেকে দিয়েছি। আমি মনে করি সেই কাজটা করার সম্পূর্ণ যোগ্যতা আমার ছিল’। বৈষম্যের পাশাপাশি কাজের জায়গায় যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকেই। প্রতিবাদ করার পাশাপাশি অনেকে চাকরি বাঁচানোর জন্য এসব পরিস্থিতি সহ্য করে নেন। মোহাম্মদপুরের একটি ছোট বাসা নিজের মতো করে সাজিয়েছেন তাহমিদা। ঘরের এক কোণে লেখালেখি করার টেবিল। তার ওপর ঠাসা কাগজপত্র। সামনের চেয়ারটিতেই দিনের অধিকাংশ সময় কাটান তিনি। পাঁচ মাস হলো চাকরি ছেড়েছেন তাহমিদা। এখন ফ্রি ল্যান্সার হিসেবে কাজ করছেন। চাকরি ছাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বললেন, ‘আমি একটি আইটি ফার্মে কাজ করতাম। আমার বস প্রায়ই কম্পিউটারে কাজ দেখানোর বাহানায় তার রুমে ডাকতেন। তার কম্পিউটারে বসিয়ে কাজ শেখানোর জন্য আমার হাতের ওপর হাত রাখাসহ শরীরে স্পর্শ করার চেষ্টা করতেন। পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠলে আমি উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানালেও কোন লাভ না হওয়ায় আমি চাকরি ছেড়ে দেই।’ শ্রম বাজারে ৩৩ থেকে ৩৬ শতাংশ নারীর উপস্থিতি ও অবদান স্বীকার করা হলেও সেসব নারীর বেশিরভাগই পরিবার ও সমাজে অসম্মান এবং অমর্যাদাকর জীবনযাপন করছে। সুতরাং কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীর অবদান স্বীকার করা হলেও নারীর সম্মান ও মর্যাদার প্রশ্নে দ্বিধান্বিত। ফলে বৈষম্য, অন্যায্যতা, অসম্মান ও অমর্যাদা অব্যাহত থাকছে। লিঙ্গভিত্তিক শ্রম বিভাজন ও ভূমিকা যেখানে নারী-পুরুষের মধ্যে মর্যাদার প্রশ্নে বিভক্তি সৃষ্টি করে রেখেছে এবং শ্রম বিভাজনই নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ও অমর্যাদারকর অবস্থানকে দৃঢ় করে রেখেছে। যেখান থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রয়োজন পরিবারের গৃহস্থালি, সেবা কাজের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আর্থিক-সামাজিক মূল্য এবং গুরুত্ব তুলে ধরে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারাভিযান পরিচালনা। সবক্ষেত্রেই তারা এগোচ্ছেন কিন্তু সে তুলনায় সমাজে স্বীকৃতি মিলছে না। মহিলা সমিতির সভাপতি আয়শা খানম বলেন, ‘অচলায়তন ধীরে ধীরে ভাঙ্গছে। তবুও এখানে নারী অগ্রগতিকে খামচে ধরে আছে যৌন হয়রানি, যৌতুক প্রথা, বাল্যবিয়ের মতো সামাজিক ব্যাধিগুলো রয়েছে মারাত্মক আকারে। আছে নারীদের সমান কর্মঘণ্টায়ও পুরুষের তুলনায় প্রায় অর্ধেক মজুরির সমস্যা। সমাজে পুরুষদের মানসিকতা বদলানো শুরু হলেও এখনও আছে ব্যাপকভাবে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা! নারীর প্রতি সব বৈষম্যের অবসান, নারীর অবদান ও অর্জনের স্বীকৃতি এবং মূল্যায়ন সমগ্র মানব জাতির শক্তি-সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেবে কয়েক গুণ। নারীর মর্যাদাপূর্ণ ভয়হীন জীবনযাপনই নিশ্চিত করতে পারে, সুরক্ষা দিতে পারে নারীর সব অধিকার ও মানবাধিকারকে। নারীর প্রতি বিভিন্ন বৈষম্যের কারণেই কর্মক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছে। সুস্থ কর্মপরিবেশই পারে নারীদের কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে।’ ২০০০ সালেও প্রাথমিক স্তরে মেয়েদের অংশগ্রহণ ছিল ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। মেয়েদের জন্য উপবৃত্তিসহ নানা প্রণোদনা আর সর্বোপরি সচেতনতা বৃদ্ধিতে সেই পরিস্থিতি পাল্টে গেছে পুরোপুরি। আর ২০১৬ সালে এসে প্রাথমিক স্তরে মেয়েদের ভর্তির হার ৯৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এর হার ছাড়িয়ে গেছে ছেলেদের চেয়ে। প্রাথমিকে ছেলে শিশুর ভর্তির হার ৮৭ দশমিক ৮ শতাংশ। কেবল প্রাথমিকে নয়, গত কয়েক বছরের এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলে প্রতিবেদনটি বলছে, এক দশক আগে প্রতি ১০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়ের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ জনের মধ্যে। এখন তা ৫১ ছাড়িয়েছে। প্রাথমিকে ছেলেদের শতকরা হার এখন ৪৯ ভাগ। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও তো আরও চমক। সেখানে বর্তমানে পাঠ গ্রহণকারী মেয়েদের সংখ্যা শতকরা ৫৩ ভাগ। আর ছেলে ৪৭ ভাগ। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, কৃষি কাজে দৈনিক মজুরি হিসেবে একজন পুরুষ শ্রমিক পান ২৯৯ টাকা আর একজন নারী পান ২২৬ টাকা। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের যৌথ গবেষণাপত্র অনুযায়ী শতকরা ৫৬ ভাগ পুরুষ শ্রমিক যেখানে দিনে গড়ে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা মজুরি পান, সেখানে শতকরা ৬১ ভাগ নারী পান ১০০ থেকে ২০০ টাকা। একই পরিস্থিতি ইটভাঁটি, পোশাকশিল্প, নির্মাণকাজসহ বিভিন্ন ধরনের শ্রমিক পর্যায়ে। একইভাবে বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারীরাও হচ্ছেন বেতনবৈষম্যের শিকার। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৫৭ শতাংশ কর্মজীবী নারীর মাসিক বেতন একই পদে ও সমান মর্যাদায় কর্মরত একজন পুরুষ কর্মীর বেতনের ৫২ শতাংশ। বিআইডিএসের ‘ক্যারিয়ার টু ফিমেল এমপ্লয়মেন্ট’ শীর্ষক অপর এক জরিপে উল্লেখ করা হয় ৩৩ শতাংশ নারী চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় শুধু কম বেতনের কারণে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘শ্রম আইনে নারী-পুরুষের সমান মজুরির কথা থাকলেও তা মানে না মালিকপক্ষ। শুধু তাই নয়, হয়রানি, নির্যাতনসহ কর্মক্ষেত্রে নারীদের বঞ্চিত করা হয় বিভিন্নভাবে। নারীদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এমন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’ বেতনবৈষম্যই নয়, পদোন্নতির ক্ষেত্রেও নারীরা বৈষম্যের শিকার। যোগ্যতায় এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও শুধু নারী হওয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রে নারীদের পদোন্নতি দেয়া হয় না। মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করার কারণেও অনেক নারী কর্মীকে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। সদ্য মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে আসা একটি বেসরকারী ব্যাংকে কর্মরত ফৌজিয়া ইসলাম বলেন, ‘ব্যাংকে ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটালে পদোন্নতিতে পিছিয়ে পড়াটা নারী কর্মীদের নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন ক্ষেত্রে পদোন্নতি পরীক্ষায় পাস করলেও মূল্যায়নপত্রে পদোন্নতির সুপারিশ থাকে না।’ তবে আশার কথা হচ্ছে, সম্প্রতি ব্যাংকে কর্মরত নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগের বছরে তাদের বার্ষিককর্ম মূল্যায়নের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বছর বা পূর্ববর্তী বছরের গড় বিবেচনায় নেয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য পেশায় এ বৈষম্য এখনও রয়েই গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত শ্রমশক্তি জরিপে দেখা গেছে, গৃহস্থালী কর্মকা- ছাড়া দেশে মোট এক কোটি ৬৮ লাখেরও বেশি নারী কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত রয়েছে। একজন নারী প্রতিদিন ১৬ থেকে ২০ ঘণ্টাও কাজ করেন। স্বামীর সেবা, সন্তান ধারণ, সন্তানের যতœ, সংসার সামলানো, রান্নাবান্না, ঘরদোর পরিষ্কার করা, সন্তানের শিক্ষায় শ্রম, বাজারঘাট করা, ধানভাঙ্গা এ ধরনের মোট ৪৫ রকম কাজে একজন নারী নিয়োজিত রয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদনে নারীর অবদান ২০ শতাংশ দেখানো হয়। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় দেখানো হয় যে, নারীর সামাজিক ও পারিবারিক কল্যাণমূলক শ্রমের মূল্য সঠিকভাবে নির্ধারণ করলে ও কর্মপরিবেশ সুস্থ হলে জিডিপিতে নারীর অবদান দাঁড়াবে ৪৮ শতাংশে, যা মোট জাতীয় উন্নয়নের প্রায় অর্ধেক বলা যায়। কর্মজীবী নারীরা তাদের চাকরির জন্য সপ্তাহে গড়ে ৪৪ ঘণ্টা ও গৃহস্থালি কাজে ৪৯.৮ ঘণ্টা ব্যয় করেন। যা একজন পুরুষের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যাকে পদদলিত করে নারীরা নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়ে যাচ্ছে। নারীর সঠিক কর্মপরিবেশ ও কাজের মূল্যায়নই পারে নারীদের কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে। এজন্য অবশ্যই পুরুষদের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরী।
×