ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আর্সেনিকমুক্ত ধান

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৩ জানুয়ারি ২০১৭

আর্সেনিকমুক্ত ধান

বাংলাদেশ ও ভারতে এখন আর্সেনিকযুক্ত পানি দুশ্চিন্তার কারণ। সেই দুশ্চিন্তা কিছুটা হলেও লাঘব করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ধান গবেষণাকেন্দ্র। রাজ্য কৃষি দফতর জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের ওই গবেষণাকেন্দ্র এমন এক প্রজাতির ধান উদ্ভাবন করেছে যা পানির সঙ্গে আসা আর্সেনিক বর্জন করে। অর্থাৎ ওই ধানের মধ্যে আর্সেনিক ঢুকতেই পারে না। এই ধানের নাম দেয়া হয়েছে ‘মুক্তশ্রী’। পশ্চিমবঙ্গের সাত জেলা এবং বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলায় ভূগর্ভস্থ পানিতে বিপজ্জনক মাত্রার আর্সেনিক পাওয়ার পরে সেই আর্সেনিক পানির সঙ্গে মিশে ফসলের মধ্যে পৌঁছাচ্ছে কি না, তা নিয়ে গবেষণা শুরু করে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। ওই গবেষণায় তারা দেখে, আর্সেনিক প্রভাবিত এলাকার ধান বা অন্য ফসলে বিপজ্জনক মাত্রার আর্সেনিক সঞ্চিত থাকছে। ওই আর্সেনিক চালের সঙ্গে ঢুকে যাচ্ছে মানুষের শরীরে। আর্সেনিক-প্রভাবিত এলাকার চাল আর্সেনিকমুক্ত এলাকার মানুষ খেলে তাদের শরীরেও আর্সেনিক ঢুকে যাচ্ছে বলে অনেক দিন ধরেই জানিয়ে আসছেন গবেষকেরা। চালের মাধ্যমে বিপজ্জনক মাত্রার আর্সেনিক যাতে না ছড়ায় তার জন্য এফএও বিভিন্ন গবেষণা সংস্থাকে নতুন প্রজাতির ধান উৎপাদনে নজর দিতে বলেছিল। সেই কাজ শুরু হয়েছিল রাজ্য সরকারের ধান গবেষণা কেন্দ্রেও। ‘মুক্তশ্রী’ ধান সেই গবেষণারই ফসল। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু জানিয়েছেন, আর্সেনিক প্রভাবিত এলাকায় ওই বিশেষ প্রজাতির ধানের বীজ দেয়া শুরু করেছে কৃষি দফতর। কৃষি বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই বীজ থেকে ধান হতে সময় লাগবে ১২৫ থেকে ১৩০ দিন। শুধু তা-ই নয়, প্রতিটি গাছে অনেক বেশি ধান হবে। -ইয়াহু নিউজ
×