ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলা বানানের নিয়ম

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২ জানুয়ারি ২০১৭

বাংলা বানানের নিয়ম

সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, আমাদের অহঙ্কার। তোমরা’ত জানই ভাষার অধিকার আদায়ের জন্য রক্ত দিয়েছে একমাত্র বাঙালী জাতি। আর তোমাদের পাঠ্যসূচীতেও বাংলার গুরুত্ব কম নয়। কর্মক্ষেত্রে এখনও বাংলার ব্যবহার সর্বত্র। এই বাংলা লেখার প্রথম শর্তই হলো সঠিক বানান। একটু ভেবে দেখ তুমি উত্তর পত্রে যত ভালই লেখ ভুল বানান তোমাকে পিছিয়ে দেবে কিনা? আর নিজের ভাষায় ভুল বানানে লেখা তো নিজের জন্যই লজ্জাষ্কর। তাই না? যে কোন পর্যায়ের বাংলা শিক্ষায় আমরা সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি শুদ্ধ বানানের ওপর। বাংলা একাডেমি প্রমিত বানানের যে নিয়ম প্রণয়ন করেছে তা অনুসরণ করলে তোমরা নিখুঁতভাবে বাংলা লিখতে পারবে। নিয়মগুলো অনুসরণ করে একটু চর্চা করলেই তোমরা বানান ভুল এড়াতে পারবে। মনে রেখ চর্চার কোন বিকল্প নেই। নতুন বছরে তোমাদের জন্য আমরা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছিÑ বাংলা বানানের নিয়মগুলো। এসো দেখে নেয়া যাক- (১) তৎসম শব্দÑ এই নিয়ম বর্ণিত ব্যতিক্রম ছাড়া তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের নির্দিষ্ট বানান অপরিবর্তিত থাকবে। (ক) যেসব তৎসম শব্দে ই ঈ বা উ ঊ উভয় শুদ্ধ কেবল সেসব শব্দে ই বা উ এবং তার কারচিহ্ন ি ু হবে। যেমন- কিংবদন্তি, চিৎকার, যুবতি, চুল্লি, রচনাবলি, শ্রেণি, সরণি, সূচিপত্র। (খ) রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন : অর্জ্জন, কর্ম, কার্ত্তিক, কার্য্য এর পরিবর্তে অর্জন, কর্ম, কার্তিক, কার্য হবে। গ) সন্ধির ক্ষেত্রে ক খ গ ঘ পরে থাকলে পূর্ব পদের অন্তস্থিত ম্্ স্থানে অনুস্বার (ং) হবে। যেমন- অহম+কার= অহংকার। এভাবে ভয়ংকর, সংগীত, হৃদয়ংগম, কিন্তু সন্ধি বদ্ধ না হলে ঙ স্থানে ং হবে না। যেমন- অঙ্ক, শঙ্কা, শৃঙ্খলা, সঙ্গে, সঙ্গী। ঘ) সংস্কৃত ইন প্রত্যায়ন্ত শব্দের দীর্ঘ ঈ কারান্ত রূপ সমাসবদ্ধ হলে সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী সেগুলোতে হ্রস্ব ই-কার হয়। যেমন- গুণী-গুণিজন, প্রাণী-প্রাণিবিদ্যা, মন্ত্রী-মন্ত্রিপরিষদ, তবে এগুলোর সমাসবদ্ধ রূপে ঈ-কারের ব্যবহারও চলতে পারে। যেমন- গুণীÑগুণীজন, প্রাণী-প্রাণিবিদ্যা ইত্যাদি ইন-প্রত্যয়ান্ত শব্দের সঙ্গে ত্ব ও তা প্রত্যয় যুক্ত হলে ই-কার হবে। যেমন- কৃতীÑকৃতিত্ব দায়ী-দায়িত্ব,প্রতিযোগীÑপ্রতিযোগিতা ঙ) বিসর্গ (ঃ) শব্দের শেষে বিসর্গ (ঃ) থাকবে না। ইতস্তত, কার্যত, ক্রমশ, পুনঃপুন, প্রতমত, মূলত, শব্দ মধ্যস্থ বিসর্গ বর্জিত রূপ গৃহীত হবে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে। যেমন- দুস্থ, নিশ্বাস, নিস্পৃহ। -শিক্ষাসাগর ডেস্ক
×