ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিচারপতি বজলুর রহমান আর নেই

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২ জানুয়ারি ২০১৭

বিচারপতি বজলুর রহমান আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইল্লাহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও অসংখ্য আত্মীয়স্বজন এবং শুভাকাক্সক্ষী রেখে গেছেন। তার এক ছেলে সপ্তম এবং অপরজন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াশুনা করছে। বজলুর রহমান লিভার এবং ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী (জেলা জজ) আনিসুর রহমান জনকণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ সুপ্রীমকোর্টে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তার লাশ দাফনের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে। বিচারপতি বজলুর রহমানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বিচার বিভাগে তার অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি তার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। বিচারপতি বজলুর রহমানের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি রক্ষা পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম পৃথক পৃথক শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধান বিচারপতি তার আত্মার মাগফিরাত এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এদিকে এ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান ও মমতাজ বেগম তার শোক বাণীতে বলেন, বিচারপতি বজলুর রহমানের মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। আইন অঙ্গনে তার অকাল মৃত্যুতে যে ক্ষতি হলো সেটা সহজে পূরণ হবার নয় এটা মনে করছি। হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আপীল বিভাগে বিচারিক দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনিসহ আপীল বিভাগে বিচারক সংখ্যা ছিল ৯ জন। বিচারপতি বজলুর রহমান ২০০১ সালের ৩ জুলাই একই সঙ্গে হাইকোর্টে অস্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেলেও পরে বাদ পড়েন। উচ্চ আদালতের আদেশে ২০০৯ সালে তিনি ১০ মে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন। ১৯৫৫ সালের ১২ এপ্রিল বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
×