ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা দক্ষিণ সিটি ওয়ার্ড-২

নানা সমস্যা থাকলেও ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে উন্নয়নের ছোঁয়া

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২ জানুয়ারি ২০১৭

নানা সমস্যা থাকলেও ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে উন্নয়নের ছোঁয়া

মশিউর রহমান খান ॥ প্রকাশ্যে ও গোপনে মাদক বিক্রি, সন্ধ্যার পর স্থানীয় ও বহিরাগত বখাটে ছেলেদের আনাগোনা, অনিয়মের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা, খাবার পানির সমস্যা, নির্দিষ্ট ঘোষিত আবাসিক এলাকায় রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা, রাস্তার ওপর টেম্পোস্ট্যান্ড স্থাপন, যত্রতত্র রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, সরকারী কোন স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, এমনকি কোন কবরস্থান না থাকাসহ নানা সমস্যা আর উন্নয়ন কর্মকা- নিয়ে কাটাচ্ছে রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের গোড়ান, বনশ্রী এলাকার বাসিন্দাগণ। এলাকাটি ডিএসসিসির ২ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। প্রায় আট লাখ জনসংখ্যার বিশাল এ ওয়ার্ডটিতে সর্বশেষ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০ হাজার। তবে ভাসমান লোকের সংখ্যাও কম নয় এ এলাকাটিতে। সম্ভাবনা থাকলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সমন্বয় না থাকায় সিদ্ধান্তহীনতা আর সময়মতো পদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকার উন্নয়ন কর্মকা- ব্যাহত হয়। তবে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর ডিএসসিসির উদ্যোগে নানা উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়িত হচ্ছে। তাছাড়া কিছু কর্মকা- চলমান রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, নানা সমস্যা থাকলেও বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ঘোষণা বাস্তবায়নে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে এ ওয়ার্ডটিতে। নির্বাচনী ওয়াদার বাইরেও নানা কর্মকা- সম্পাদন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি ও ডিএসসিসির ২ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত কমিশনার আনিসুর রহমান আনিসের। সরেজমিনে এর প্রমাণ মিললেও কিছু ক্ষেত্রে তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলছেন। তবে বিভিন্ন সংস্থা ও এর প্রতিনিধিদের মধ্যে সমন্বয় না থাকা ও সিদ্ধান্তহীনতাকে দায়ী করছেন। তার মতে, ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর সহযোগিতায় নাগরিক সমস্যার সমাধানে উন্নয়ন কর্মকা-ের ধারা অব্যাহত থাকলে এ ওয়ার্ডটি রাজধানীর অন্য যে কোন ওয়ার্ডের চেয়ে নানা সুবিধা সম্পন্ন ব্যতিক্রমী ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। তবে এজন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। যার প্রক্রিয়া ও নানা উদ্যোগ ইতোমধ্যেই বাস্তবায়ন কাজ শুরু করা হয়েছে। কিছু কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল সিটি নির্বাচনের পর এ ওয়ার্ডটিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের প্রাথমিক অংশ হিসেবে পুরো ওয়ার্ডের মহল্লা ভিত্তিক কমপক্ষে ৩০টি স্থানে ফ্রি ওয়াইফাই জোন চালু করা হয়েছে। এসব জোনে রাস্তার উপর যেতে যেতে ও বাসায় বসেই বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন নাগরিকগণ। শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে, গোড়ান টেম্পোস্ট্যান্ড এলাকা, গোড়ান ৩১ নং রোডের মাথায়, ছাপড়া মসজিদ এলাকা, হাওয়াই গলি রোড, নবাবী মোড়, গোড়ান আদর্শ রোড এলাকায় ফ্রি ওয়াইফাইয়ের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। শামীম নামের এক যুবক জানান, শান্তিপুর স্কুলের পেছনে ওয়াইফাই জোন হওয়ায় আমরা বিনামূল্যে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারছি। তবে এর গতি বেশ ভাল থাকলেও মাঝে মাঝে ওয়াইফাইয়ের গতি অনেক কমে যায়। তাই গতি ঠিক রাখতে কাজ করা উচিত। সূত্র জানায়, পানি সমস্যার সমাধানে এলাকাতে মোট ৫টি পানির পাম্প তৈরি করা হচ্ছে। রাজধানীর কোন ওয়ার্ডেই এতো পানির পাম্প নেই। এর মধ্যে ৩টির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকি ২টি পানির পাম্প নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। স্যুয়ারেজ লাইনের জন্য বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগে প্রায় ১শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে এক বছর যাবত একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এটির কাজ শেষ করা হলে স্যুয়ারেজের সমস্যা থাকবে না বলে জানা গেছে। ২নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন মহল্লার প্রধান সড়কের পাশাপাশি অলিগলির বিভিন্ন সড়কে বিদ্যুত সাশ্রয়ী এলইডি বাতি লাগানো হয়েছে। সর্বশেষ তথ্যমতে, এ ওয়ার্ডটিতে মোট ১২শ’ এলইডি বাতি লাগানো হবে। এর মধ্যেই প্রায় ৫ শতাধিক এলইডি বাতি লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে অতি দ্রুত অলিগলিসহ সকল এলাকায়ই এসব বাতি লাগানোর কাজ শুরু করা হবে বলে জানা গেছে। পুরো এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় লাগানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। গোড়ান শান্তিপুর ছাপড়া মসজিদ, গোড়ান বাজার থেকে টেম্পোস্ট্যান্ড, নবাবী মোড় থেকে হাওয়াই গলিতে সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। দক্ষিণ বনশ্রীর সব এলাকায় ক্যামেরা লাগানোর কাজ চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিজেই এসব সিসিসি ক্যামেরা তত্ত্বাবধান করেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে ২নং ওয়ার্ডের মূল সড়কের প্রায় ৮০ ভাগ ও অলিগলির প্রায় ৭০ ভাগ এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে বলে ওয়ার্ড কমিশনারের দাবি। তবে বাস্তবেও অনেকাংশে তার সত্যতা মিলেছে। দক্ষিণ গোড়ানের সিদ্দিক বাজার ভুইয়ার বিল এলাকায় মাদক বিক্রি, মশা উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র ও ময়লা আবর্জনার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করা হতো। নাগরিকদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এ ডোবাটি এলাকাবাসী ও সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে বালি দিয়ে ভরাট করে খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছে। অবৈধ দখল করা সকল দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। মাদক গ্রহণ ও বিক্রি বন্ধ করতে মাঠের চারপাশে এলইডি বাতি লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া মাঠের চারদিকে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ওয়ার্ডবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে এ মাঠটিতে সর্বশেষ ঈদে ঈদগাহ মাঠ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। জানা গেছে, নাগরিকদের সুবিধার্থে এখানে একটি কমিউনিটি সেন্টার, ব্যায়ামাগার নির্মাণ, ক্রীড়া একাডেমি ভবন প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাতৃসদন কেন্দ্র নির্মাণ করা, ময়লা আবর্জনা ব্যবস্থাপনার জন্য সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণ করা হবে। তবে এসব উদ্যোগ এখনও পরিকল্পনাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর কাছে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উদ্যোগে এলাকাবাসীকে নিয়ে একটি প্রস্তাব জমা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি সংসদ সদস্য হিসেবে এ এলাকার ভূমি ব্যবহার বরাদ্দ কমিটির সভাপতি হিসেবে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এক সময় পুরো ২ নং ওয়ার্ডের কিছু নির্দিষ্ট স্থানে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি হতো। হাত বাড়ালেই পাওয়া যেত মাদক। এ নিয়ে ডিসএসিসি মেয়রের ‘জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি’ অনুষ্ঠানে এক ভুক্তভোগী মহিলা দাবি করেন এ ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ও সেবনের দায়ে তার স্বামী নেশাগ্রস্ত হয়ে তাকে ও তার সন্তানদের নিয়মিত মারধর করেন। শুধুমাত্র নিয়মিত মাদক সেবনের কারণে তার সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। একপর্যায়ে তিনি বলেন, এ এলাকায় অনেক নারীর সংসার ভেঙ্গে গেলেও মাদক শেষ হয় না। প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলছে না। এমতাবস্থায় মেয়র সাঈদ খোকন উক্ত এলাকায় এক মাসের মধ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে ওয়াদা করেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এরপরই পাল্টে যেতে থাকে ওয়ার্ডটির মাদক গ্রহণ ও বিক্রির চেহারা। বর্তমানে প্রকাশ্যে ডিসপেনসারি ও মুদির দোকানে মাদক বিক্রি না করলেও গোপনে মাদক বিক্রির কাজ চলমান রয়েছে। মাদক গ্রহণে কিছু এলাকাবাসী মাদকসেবীর পাশপাশি বহিরাগত নেশাখোরদের সন্ধ্যার পর বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। এদের রুখতে এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নিলেও তার কার্যকারিতা তেমন চোখে পড়ে না। সরেজমিনে দেখা গেছে, গোড়ান রাজধানীর এমন একটি এলাকা যেখানে বসবাসকারী নাগরিকগণ কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানের সেবা পান না। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একমাত্র ওয়ার্ড হচ্ছে এটি যেখানে নেই কোন সরকারী ছোট বড় হাসপাতাল। নাগরিকগণ অসুস্থ হলেও সরকারী হাসপাতাল না থাকায় বাধ্য হয়ে রাজধানীর অন্য এলাকায় সরকারী হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। জনসংখ্যা সমৃদ্ধ এ ওয়ার্ডটিতে নেই কোন সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। যেসব বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে তাতেও বিভিন্ন অনিয়ম আর গবর্নিং বডির কোন্দলের পাশাপাশি স্থানীয় বিদ্যোৎসাহীদের আগ্রহ না থাকায় ওয়ার্ডে বসবাসকারী নাগরিকদের সন্তানগণ শিক্ষায় তেমন একটা ভাল ফলাফল করতে পারছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কমিউনিটি সেন্টার তৈরি করে ভাড়া দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রায় ৮ লাখ লোকের বসবাসের এ বিশাল ওয়ার্ডটিতে অসংখ্য রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ির কারণে ধুলোবালি উড়তে দেখা গেছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিস জানান, ছায়াবিথী আবাসিক এলাকা থেকে হাওয়াই গলি রোডে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাস্তার কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হবে। এলাকাবাসীর দীর্ঘ বছরের দাবির প্রেক্ষিতে চান্দার বিল এলাকায় ২০০ ফুট দৈর্ঘের একটি ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। ব্রিজটি সম্পর্কে সোহেল নামের এক ব্যক্তি জনকণ্ঠকে জানান, এটি আমাদের অভিশাপ ছিল। বর্তমানে ব্রিজটি আশীর্বাদে পরিণত হয়েছে। এর ফলে গোড়ান এলাকা থেকে সায়েদাবাদ যেতে বর্তমানে অর্ধেক সময় লাগে। এটি নির্মাণের ফলে এলাকাবাসী বেজায় খুশি। এছাড়া দক্ষিণ বনশ্রীর সঙ্গে মাদারটেক উত্তরপাড়া ও পূর্ব গোড়ানের সঙ্গে সংযোগ সড়ক থাকলেও বিভিন্ন কারণে ২০ বছর সড়কটি বন্ধ করে রাখা হয়। সম্প্রতি কমিশনারের উদ্যোগে এলাকাবাসীর দফায় দফায় আলোচনা শেষে এ রাস্তাটি খুলে দেয়া সম্ভব হয়েছে। ফলে এ এলাকায় যানজট নেই বললেই চলে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ২নং ওয়ার্ড কমিশনার আনিসুর রহমান আনিস জনকণ্ঠকে বলেন, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আমি নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে নানা উন্নয়ন কর্মকা- চলমান রেখেছি। মোট ২২ কোটি টাকার নতুন রাস্তার করার কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে আর কোন ভাঙ্গা সড়ক পাওয়া যাবে না। আমরা এলাকাবাসীর সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় পুরো এলাকার মূল সড়কের প্রায় ৮০ ভাগ ও অলিগলির প্রায় ৭০ ভাগ এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে পেরেছি। বাকি এলাকাকে নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ চলমান রয়েছে। এলাকায় নাগরিকগণের রাতের চলাচল নির্বিঘœ করতে প্রায় ৫ শতাধিক এলইডি বাতি লাগানো হয়েছে। আরও ৭শ’ বাতি লাগানোর কাজ চলমান রয়েছে। অতি শীঘ্রই আমরা অলিগলিতেই বাতি লাগানোর কাজ শুরু করব। ডিএসসিসির সর্বকনিষ্ঠ কমিশনার বলেন, ভুইয়ার ঝিল এলাকার ডোবাটিকে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর কাছে বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়তে প্রস্তাব জমা দিয়েছি। ভূমি বরাদ্দ পেলে উন্নয়ন কাজ শুরু করা হবে। মাদক ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি স্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা পুরো এলাকার মাদক বন্ধে স্থানীয় নাগরিকগণসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। যার প্রভাবে বর্তমানে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ও সেবন অনেক কমে এসেছে। তবে আমরা মাদক নির্মূলে নিয়মিত কাজ করছি। পানি সমস্যার সমাধানে এলাকাতে মোট ৫টি পানির পাম্প তৈরি করা হয়েছে। যা রাজধানীর কোন ওয়ার্ডেই নেই। এর মধ্যে ৩টির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকি ২টি পানির পাম্প নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। স্যুয়ারেজ লাইনের জন্য বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগে প্রায় ১শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে এক বছর যাবত একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়ক আমরা পুনঃ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। এটির কাজ শেষ করা হলে স্যুয়ারেজের সমস্যা থাকবে না। আমরা দক্ষিণ বনশ্রী কে ও এল ব্লকে নতুন করে রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে এ ওয়ার্ডে সরকারী কোন স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, এমনকি কোন কবরস্থান নেই। যা আমাদের কষ্টের অন্যতম কারণ। এসব সমস্যার অতি দ্রুত সমাধানকল্পে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ঘোষণা বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
×