ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে মেরিন ক্যাডেটদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১ জানুয়ারি ২০১৭

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে মেরিন ক্যাডেটদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার মেরিন ক্যাডেটদের উদ্দেশে বলেছেন, কর্মস্থলের অভিজ্ঞতাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগিয়ে মক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দেশপ্রেম হবে আপনাদের মূলমন্ত্র। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েদের উপর আমার আস্থা রয়েছে। দেশে-বিদেশে যেখানেই কাজ কর-‘দেশপ্রেম’ হবে আপনাদের মূলমন্ত্র।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর শিক্ষা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা বলতে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না, যখন কাজে নামবেন এবং বাস্তবধর্মী শিক্ষালাভ করবেন সে শিক্ষাটাই দেশের কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন এবং দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে চেষ্টা করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারে সেজন্য আমরা শিক্ষার বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিয়েছি। কাজেই আজকে আপনারা যে সব ক্যাডেটরা সনদ নিয়ে যাচ্ছেন তারাও দেশের মান-মর্যাদা রক্ষা করে স্ব-স্ব কর্মস্থলে এগিয়ে যাবেন মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সেটাই আমি কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী (চট্টগ্রাম) এর ৫১তম ব্যাচের গ্র্যাজুয়েশন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। খবর বাসসর। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রী মোঃ শাজাহান খান এবং মেরিন একাডেমীর কমান্ড্যান্ট সাজিদ হোসেন মেরিন একাডেমী প্রান্ত থেকে বক্তৃতা করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও ইকবাল সোবহান চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে মেরিন একাডেমীর বিদায়ী ক্যাডেটরা বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের মাধ্যমে সালাম জানায়। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে মেরিন একাডেমীর কর্মকা- নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব ক্যাডেট তাদের গ্র্যাজুয়েশন কোর্স সম্পন্ন করেছে তাদের আমি একটি কথাই বলব, দেশে হোক বিদেশেই হোক স্ব-স্ব কর্মস্থলে নিজ দেশের মান, সম্মান বজায় রেখে চলতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি মেধাবী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটু সুযোগ পেলে সেই যোগ্যতার স্বাক্ষর তারা জতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাখতে পারেন। কাজেই তাদের সেই সুযোগটা করে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী আন্তর্জাতিক সমুদ্রগামী জাহাজ পরিচালনার জন্য সুদক্ষ মেরিন ক্যাডেট ও অফিসার তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর মার্চেন্ট মেরিন অফিসার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার তৈরিতে এই প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৬২ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হলেও স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা এটিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আধুনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলেন। তিনি ‘ডেভেলপমেন্ট অব মেরিন একাডেমী’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই খাতে সম্ভাবনার কথা ভেবে ২০১১ সালে ৪৫তম ব্যাচের গ্র্যাজুয়েটদের প্যারেডে উপস্থিত হয়ে আমি ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম।
×