ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১ জানুয়ারি ২০১৭

লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সাপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকে উর্ধমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। সূচকের পাশাপাশি গড় লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৪ কার্যদিবসই বেড়েছে সূচক। আর সূচক বাড়ার মাত্রাও খুব বেশি। গড় লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর গড় লেনদেন বেড়েছে ১৫.০৬ শতাংশ। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ধারাবাহিক উত্থানের কারণে দেশের শেয়ারবাজার অনেকটাই বিনিয়োগ উপযোগী হয়ে উঠেছে। ২০১৬ সাল দেশের পুঁজিবাজারের জন্য একটি ভাল বছরের সূচনা মাত্র। আগামী বছরগুলো আরও ভাল যাবে তারই পূর্ব প্রস্তুতির বছর ছিল ২০১৬ সাল। তবে এ বছরটিই চূড়ান্ত ভাল নয়, কারণ এ বছরটি ধসপরবর্তী একটি সফল বছর। এ বছরের শুরু থেকে ধীরে ধীরে সূচক ও লেনদেন বাড়তে থাকে। শেয়ারবাজার উন্নয়নে সম্প্রতি সরকারের নেয়া বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিবাচক ভূমিকায় পুঁজিবাজার স্বাভাবিক ধারায় ফিরেছে। এরমধ্যে রয়েছেÑ সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানো, ব্যাংক সুদের হার কমা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সরকারী শেয়ার অফলোডের খবর। সব মিলিয়ে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। এ ধারা বিদ্যমান থাকলে অচিরেই বাজার তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় বর্তমানে বাজার ভাল অবস্থায় রয়েছে। ক্ষুদ্র, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করছে। বর্তমানে মার্কেটে হাজার কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে শীঘ্রই এ মার্কেটে ১৫শ’ কোটি টাকার লেনদেন হবে। পাশাপাশি আসবে নতুন নতুন বিনিয়োগ। ফলে আরও গতিশীল হবে শেয়ারবাজার। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৯.৩২ পয়েন্ট বা ১.৬০ শতাংশ বেড়েছে। আর ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক বেড়েছে ১৬.০১ পয়েন্ট বা ১.৩৬ শতাংশ ও ডিএসই ৩০ সূচক বেড়েছে ১৪.২৭ পয়েন্ট বা ০.৭৯ শতাংশ। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৩১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২২১টির, কমেছে ১০২টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৬টির এবং লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির। এগুলোর ওপর ভর করে মোট ৪ হাজার ৩০১ কোটি ২ লাখ ৫৫ হাজার ৩২ টাকা লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় হিসাবে এ লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৫ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫৮ টাকা, যা আগের সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে মোট ৪ হাজার ৬৬৭২ কোটি ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩৭ টাকা লেনদেন হয়েছিল। সে হিসাবে আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ৭.৯৫ শতাংশ। মোট লেনদেনের ৯২.৫২ শতাংশ এ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২.৭১ শতাংশ বি ক্যাটাগরিভুক্ত, ২.৬৬ শতাংশ এন ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ২.০১ শতাংশ জেড ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে হয়েছে। এদিকে, দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসইএক্স বেড়েছে ১১৮.৯১ পয়েন্ট বা ১.২৬ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৮৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৮টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ৮২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬টির। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ২৮২ কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ১৮৪ টাকার শেয়ার।
×