ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাফ মহিলা ফুটবল

অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১ জানুয়ারি ২০১৭

অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পরিসংখ্যান ছিল একেবারেই প্রতিকূলে। তারপরও সব প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে নতুন কাহিনী রচনা করল গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। শনিবার ভারতের শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ‘সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর চতুর্থ আসরে স্বাগতিক শক্তিশালী এবং এই আসরের হ্যাটট্রিক শিরোপাধারী ভারতকে রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দল। দুর্দান্ত এই ড্রতে ‘বি’ গ্রুপের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো সাবিনা-কৃষ্ণারা (সেমিতে খেলা নিশ্চিত হয়েছিল শুক্রবারেই, আফগানিস্তানকে ৬-০ গোলে হারিয়ে)। আগের পাঁচবারের মুখোমুখিতে ভারতের কাছে সবগুলোতে হেরেছিল। ষষ্ঠ ম্যাচে এসে পরিসংখ্যান পাল্টে দিল লাল-সবুজরা। আগামী সোমবার ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ মালদ্বীপের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। শনিবার রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়ে খেললেও স্বাগতিক ভারতের সঙ্গে শুরু থেকে সমানতলে লড়াই করে বাংলাদেশ। বলা যায় গোলরক্ষক সাবিনা আক্তার এবং ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় কোন গোল হজম করেনি বাংলাদেশ। যদিও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কৃষ্ণা একটি গোল করলেও তা বাতিল হয় অফসাইডের আইনে। আপ্রাণ চেষ্টা করেও ভারত আর কোন গোল করতে পারেনি। খেলা শেষের বাঁশি বাজলে গ্রুপসেরা হওয়ার চিত্তসুখ নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। জুনিয়র পর্যায়ে এ পর্যন্ত ভারতকে দু’বার হারালেও সিনিয়র পর্যায়ে এর আগে ভারতকে কখনও হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এর আগের পাঁচবারের মোকাবেলায় প্রতিটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। এবং সেটা বড় ব্যবধানেই। এই আসরে ২০১০ সালে ৬-০, ২০১২ সালে ৩-০, ২০১৪ আসরে ৫-১ গোলে। এসএ গেমস ফুটবলে ২০১০ আসরে ৭-০ এবং ২০১৬ আসরে ৫-১ গোলে হারে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে দুই বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। টানা তিন আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। মজার বিষয়- প্রতিবারই রানার্সআপ হয় নেপাল এবং নেপালের কাছে দুবারই সেমিফাইনালে হেরে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তৃতীয় হয় ২০১০ এবং ২০১৪ আসরে। এখন দেখার বিষয়, এবার তারা কেমন ফল করে।
×