ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

মাসুদা আনাম কল্পনার তিন এ্যালবামের প্রকাশনা

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ১ জানুয়ারি ২০১৭

মাসুদা আনাম কল্পনার তিন এ্যালবামের প্রকাশনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুরের ভুবনে সমর্পিত এক কণ্ঠশিল্পী মাসুদা আনাম কল্পনা। কণ্ঠের মাধুর্যে শ্রোতাদের মাঝে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এই নজরুলসঙ্গীত শিল্পী। নজরুল-সঙ্গীতের বাইরে আধুনিক গানেও রয়েছে এই শিল্পীর সমান বিচরণ। এবার একসঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে কল্পনার গাওয়া তিনটি অডিও এ্যালবাম। নজরুলের গান দিয়ে সাজানো হয়েছে ‘জানি পাবো না তোমায়’ ও ‘ঊষা এলো চুপি চুপি শিরোনামের এ্যালবাম দু’টি। আধুনিক মৌলিক গানে বিন্যাসিত হয়েছে ‘কৃষ্ণচূড়া’ নামের এ্যালবামটি। সঙ্গীত সঙ্কলনগুলো প্রকাশ করেছে প্রযোজনা সংস্থা লেজার ভিশন। শনিবার বিকেলে বিশ্বসাহিত্য মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ্যালবামগুলোর প্রকাশনা উৎসব। এ্যালবামগুলোর মোড়ক উন্মোচন করেন খ্যাতিমান নজরুলসঙ্গীত শিল্পী সাদিয়া আফরিন মল্লিক এবং সঙ্গীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী অনুপ ভট্টাচার্য। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী কাজী হাবলু, কণ্ঠশিল্পী শেলু বড়ুয়া ও লেজার ভিশনের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন প্রযোজনা সংস্থাটির চেয়ারম্যান একেএম আরিফুর রহমান। অনুষ্ঠানে শিল্পীর এ্যালবামগুলো থেকে কয়েকটি নির্বাচিত গানেরও ভিডিওচিত্র দেখানো হয়। অনুভূতি প্রকাশ করে মাসুদা আনাম কল্পনা বলেন, বরারের মতো আমার লক্ষ্য এদেশের সঙ্গীতের উজ্জ্বল ঐতিহ্যকে ধরে রাখা এবং এর শ্রীবৃদ্ধি করা। কারণ, গানই হচ্ছে আমাদর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও আত্মপরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১২টি গানে সাজানো কৃষ্ণচূড়া নামের সঙ্কলনটির মাধ্যমে দেশের গীতিকার ও সুরকারদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। জানি না তোমায় পাবো নামের এ্যালবামে ঠাঁই পেয়েছে দশটি নজরুলসঙ্গীত। উষা এলো চুপি চুপি শীর্ষক এ্যালবামে রয়েছে ১১টি নজরুলসঙ্গীত। তৌফিকুর রহমানের ‘গেরিলা ১৯৭১‘ বইয়ের প্রকাশনা ॥ একাত্তরের রণাঙ্গনের যোদ্ধা কর্নেল (অব.) তৌফিকুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের সময় তৌফিকুর ছিলেন ১৬ বছরের এক তরুণ। তিন নং সেক্টরের অধীনে লড়াই করা এই মুক্তিযোদ্ধা লিখেছেন যুদ্ধদিনের স্মৃতিকথা। তুলে এনেছেন রণাঙ্গনে নিজের এবং সহযোদ্ধাদের জীবন-মরণের ঝুঁকিপূর্ণ গল্প। দুর্ধর্ষ সব মুক্তিসেনার গল্প, রণাঙ্গনের নানা অপারেশন, সাফল্য-বিজয় আর বিপরীতে ব্যর্থতা, প্রতিকূলতার নানা ঘটনা নিয়ে এই বীরবিক্রম লিখেছেন ‘গেরিলা-৭১’ শিরোনামের গ্রন্থ। দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর সমাপ্তি ॥ শনিবার শেষ হলো ১৭তম দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা। শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৫৫টি দেশের শিল্পীরা। প্রদর্শনীতে ছিল ৫৩টি দেশের ১৫০ জন শিল্পীর ২৬০টি শিল্পকর্ম। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো থেকে শিল্পী, শিল্প সমালোচক, মিউজিয়াম কিউরেটরসহ মোট ১৪৫ জন বিদেশী এ প্রদর্শনীতে অংশ নেন। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার চারুপ্রাঙ্গণে শনিবার বিকেলে মাসব্যাপী এই আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিরণ চন্দ্র রায়ের সঙ্গীতসন্ধ্যা ॥ বিদায়ী বছরের শেষ দিন শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো নন্দিত লোকসঙ্গীত শিল্পী কিরণ চন্দ্র রায়ের সঙ্গীতসন্ধ্যা। জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সঙ্গীতসন্ধ্যার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। বরিশালে বিনয় কৃষ্ণ দাস স্মৃতি ট্রাস্টের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ॥ গুণীজন সম্মাননা, আলোচনা, প্রতিযোগিতা (তবলা, লহড়া, নজরুলসঙ্গীত ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত) এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শুক্রবার বরিশালে ওস্তাদ বিনয় কৃষ্ণ দাস স্মৃতি ট্রাস্টের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
×