ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেটে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬

সিলেটে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন  করা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহজ এবং পরিবেশ দূষণ রোধ করতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সিলেট মহানগরীতে ৪টি ‘সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন’ নির্মাণ করা হচ্ছে। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তায় এ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘আরবান এনভায়রনমেন্ট হেলথ সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’র আওতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মহানগরীতে প্রতিদিন দুইশ’ থেকে আড়াইশ’ মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। এসব বর্জ্য ভ্যানগাড়ি দিয়ে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা ডাস্টবিনে এনে ফেলা হয়। পরে ট্রাকযোগে এসব ময়লা-আবর্জনা নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকের সিসিকের গার্বেজ গ্রাউন্ডে। তবে গার্বেজ গ্রাউন্ডে নেয়ার আগে দীর্ঘসময় খোলা ডাস্টবিনে পড়ে থাকা বর্জ্য ছড়ায় দুর্গন্ধ। দূষিত হয় পরিবেশ। ভোগান্তি পোহান নগরবাসী। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে সিলেট নগরীর টিলাগড়, শাহী ঈদগাহ, রিকাবিবাজার ও দক্ষিণ সুরমার স্বর্ণশিখা আবাসিক এলাকায় চারটি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণ করছে সিসিক। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘আরবান এনভায়রনমেন্ট হেলথ সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’র আওতায় প্রত্যেকটি ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৮০ লাখ টাকা। এ হিসাবে চারটি স্টেশন নির্মাণে ব্যয়ের পরিমাণ ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। ইতোমধ্যেই রিকাবিবাজার, টিলাগড় ও শাহী ঈদগাহের ট্রান্সফার স্টেশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। কিছুদিনের মধ্যে এ স্টেশনগুলো উদ্বোধন করে কাজে লাগানো হবে। ট্রান্সফার স্টেশনগুলো চালু হয়ে গেলে মহানগরীর ময়লা-আবর্জনা খোলা ডাস্টবিনে ফেলা হবে না। সিসিকের নিজস্ব ভ্যানগাড়ি দিয়ে বর্জ্য সরাসরি ট্রান্সফার স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে। ট্রান্সফার স্টেশনে বর্জ্য পরিশোধনের পর সেগুলো সিসিকের স্থায়ী গার্বেজ গ্রাউন্ড পারাইরচকে নিয়ে যাওয়া হবে। এতে একদিনে নগরীর পরিবেশ দূষণমুক্ত থাকবে, দুর্গন্ধের হাত থেকে বাঁচবেন নগরবাসী।
×