নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ৩০ ডিসেম্বর ॥ শীত মৌসুমে জমে উঠেছে কেরানীগঞ্জে পুরনো কাপড়ের দোকানগুলো। ফুটপাথে ভিড় করছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা। ক্রেতাদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এ বছর শীত বেশি পড়বে। পুরনো কাপড়ের ব্যবসাও ভাল হবে। ফুটপাথের শীতবস্ত্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর অন্য বছরের তুলনায় দাম দ্বিগুণ। আমদানিকারকদের অধিকাংশ চট্টগ্রামের।
সেখান থেকে ঢাকাসহ সারাদেশের পাইকাররা খরিদ করে থাকেন। কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন বাজার ও সুপার মার্কেটের সামনে ফুটপাথগুলোতে ভ্যানে করে বিক্রি হচ্ছে শীতবস্ত্র। বিশেষ করে জিনজিরা, কদমতলী গোলচত্বর, চনকুটিয়া, কালীগঞ্জ, হাসনাবাদ, কলাতিয়াসহ কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ক্রেতারা ভিড় করছে। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছাড়াও বিভিন্ন গ্রামে ভ্যানগাড়িতে ও কাঁধে ঝুলিয়ে ফেরি করে শীতবস্ত্র বিক্রি করছে হকাররা। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই খুশি।
কম দামে খরিদ করতে পারছে জাপান, কোরিয়া, চায়না, ইস্পেন, লন্ডন, তাইওয়ান ও ইন্দোনেশিয়ার শীতবস্ত্র। এ ব্যাপারে জিনজিরা বাজারের পুরনো কাপড় ব্যবসায়ী জলিল শেখ বলেন, শীত মৌসুমের এক মাস আগ থেকেই পুরনো শীতবস্ত্রের বেচা-কেনা শুরু হয়। মহাজনরাও পুরনো কাপড়ের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আগানগর এলাকার পুরনো কাপড় ব্যবসায়ী হেলাল মিয়া বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন শীতপ্রধান দেশ থেকে শীতের পোশাক আমদানি করা হয়ে থাকে। এগুলো বিভিন্ন নামে আসে, দামও বিভিন্ন। মুনস্টার, কিংস্টার, ডাবলসেভেন, কে-টু, ইয়ংস্টার ও ফুটবল এই সমস্ত নামে পুরনো কাপড়ের বেল্টগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।