ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উন্মুক্ত করে দেয়া ভোলার দৃষ্টি নন্দন মসজিদটি

প্রকাশিত: ০০:৪৭, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬

উন্মুক্ত করে দেয়া ভোলার দৃষ্টি নন্দন মসজিদটি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ ভোলায় আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা ‘নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন মসজিদ’ এ আজ শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। শহরের উকিল পাড়ায় প্রায় দেড় একর জমির উপর নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় এ মসজিদটি নির্মান করা হয়। জু’মার নামাজে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ভারপ্রাপ্ত খতিব ও পেশ ইমাম মুফতি এহসানুল হক জিলানী। এ সময় উপস্থিত থেকে নিয়মিত উদ্বোধনী নামাজ আদায়ের আগে বক্তব্য রাখেন, প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফালে আহমেদ এমপি,নিজাম হাসিনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন। এছাড়াও ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল,জেলা প্রশাসক মো: সেলিম উদ্দিন,জেলা পরিষদের বিনা প্রতিদন্দিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু,ভোলা পৌর মেয়র মো: মনিরুজ্জামানসহ প্রসাসনের কর্মকর্তাও গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী নামাজে জেলার বিভিন্ন উপজেলা জেলা থেকে আসা প্রায়৩/৪ হাজার মানুষ অংশ নেয়। ফাউন্ডেশন সুত্র জানায়, ২০১০ সালের জুন মাসে মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৫২ হাজার শ্রমিক মসজিদ নির্মাণ কাজে অংশ নিয়েছেন। আর্কিটেক্ট ফোরামের ডিজাইনার কামরুজ্জামান লিটন মসজিদটির ডিজাইন করেন। মারবেল পাথরসহ বিভিন্ন পাথরে কারুকার্জ দ্বারা নির্মিত দুই তলা বিশিষ্ট এ মসজিদে রয়েছে পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা অজুখানা এবং নামাজের স্থান। ১২০ ফুট উচ্চতার মিনার ও প্রায় ৬০ ফুট উচ্চতার গম্ভুজ রয়েছে। মসজিদের ভেতরে রয়েছে লাইব্রেরী, হিফ্জখানা, ক্যালগ্রাফী, আল্লাহু ডিজাইনের ফোয়ারাসহ আধুনিক স্থাপনা। এছাড়াও মসজিদের চারপাশে ফুলের বাগান তৈরি করা হয়েছে। মসজিদে একসাথে ২ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ ও পানির সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে নিজস্ব জেনারেটর ব্যবস্থাও। আধুনিক ওজুখানা, ফ্যান ছাড়াও রয়েছে শেত পাথরের টাইল্স ও কার্পেট বিছানো হয়েছে। এদিকে শহরের প্রানকেন্দ্র উকিল পাড়ায় দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদটিকে ঘিরে মানুষের আগ্রহের যেন শেষ নেই। বাহারী কারুকাজ আর সৌর্ন্দয্যমন্ডিত মসজিদটি দেখতে অনেকেই আসছেন। উল্লেখ্য, সমাজ সেবক নিজাম উদ্দিন উদ্দিন শহরে একটি চক্ষু হাসপাতাল, ১৫টি মসজিদ, এতিমখানা, একটি চক্ষু হাসপাতাল, একটি বৃদ্ধাশ্রম ও ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠাসহ অসংখ্য সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করেছেন।
×