ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সূচক ও লেনদেন বেড়ে বছর শেষ

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬

সূচক ও লেনদেন বেড়ে বছর শেষ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা পঞ্চম কার্যদিবস মূল্যসূচকে উত্থান ঘটেছে দেশের শেয়ারবাজারে। বছরের শেষ কার্যদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। দিন শেষে ডিএসইএক্স সূচক দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৬ পয়েন্টে, যা ২০১৪ সালের ৩ নবেম্বরের পর সর্বোচ্চ। সূচক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারটিতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। গত বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৯৩৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা। বছরের শেষ কার্যদিবসে তা বেড়ে ১ হাজার ৭০ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় উপনীত হয়েছে। অর্থাৎ আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। গতকাল ডিএসইতে হাজার কোটি টাকা লেনদেনের মধ্য দিয়ে শেষ ৪ কার্যদিবসের ৩ দিনই হাজার কোটি টাকার উপরে লেনদেন হলো। আর ডিসেম্বর মাসজুড়ে ১৯ কার্যদিবসের মধ্যে ৭ কার্যদিবস হাজার কোটি টাকার উপরে লেনদেন হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের ১৯ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৭ হাজার ৭৮০ কোটি ১১ লাখ টাকা। অর্থাৎ মাসটির প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ৯৩৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা করে, যা ২০১১ সালের জুলাই মাসের পর এক মাসের প্রতি কার্যদিবসের গড় লেনদেনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। ২০১১ সালের জুলাই মাসে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন ছিল হাজার কোটি টাকার উপরে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১৪৭টির দাম বেড়েছে। অপরদিকে ১৫৫টির দাম কমেছে এবং ২৪টি কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোসের শেয়ার। এদিন কোম্পানির ২৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ২২ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেনারেশন নেক্সট। লেনদেনে এরপর রয়েছেÑ বেক্সিমকো, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, এ্যাপোলো ইস্পাত, তিতাস গ্যাস, কেয়া কসমেটিকস, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট এবং ইউনাইটেড এয়ার। এদিন সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতের শেয়ার। মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৮৩ শতাংশই এ খাতের অবদান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বস্ত্র খাতের অবদান ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মোট লেনদেনে ১২ দশমিক শূন্য ৫৯ শতাংশ অবদান রেখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এছাড়া ব্যাংক খাতের ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ, আর্থিক খাতের ৭ দশমিক শূন্য ৬৯ শতাংশ এবং জ্বালানি খাতের ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ অবদান রয়েছে। বাকি সবকটি খাতের অবদান ৫ শতাংশের নিচে। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত বুধবার ডিএসইতে ‘জেড’ গ্রুপে থাকা ৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৩৪টিরই দাম আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে আর কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত আছে ২টির দাম। অপরদিকে ভাল কোম্পানি হিসেবে পরিচিত ‘এ’ গ্রুপের ২৬২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০০টির, কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।
×