ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিসেম্বরের মধ্যে সাভারে সরানো সম্ভব হচ্ছে না চামড়া শিল্প

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬

ডিসেম্বরের মধ্যে সাভারে সরানো সম্ভব হচ্ছে না চামড়া শিল্প

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ডিসেম্বরের পর হাজারীবাগে আর কোন কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে না দেয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে সরকার। যদিও মাঠের চিত্র বলছে এবারও সম্ভব হবে না বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে চামড়া শিল্পের শতভাগ স্থানান্তর। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোন সময়সীমা মেনে নয়, ব্যবসার স্বার্থে যতদ্রুত সম্ভব ট্যানারি স্থানান্তর করা হবে। সেই সঙ্গে তারা তাগিদ দিলেন সাভারের নতুন শিল্প নগরীতে শতভাগ বর্জ্য শোধন নিশ্চিত করার। হাজারীবাগ থেকে সাভার। সরকারের আল্টিমেটাম আর ব্যবসায়ীদের অজুহাতের মধ্যে এখনও আটকে আছে চামড়া শিল্পের স্থানান্তর। ট্যানারি স্থানান্তরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৭২ ঘণ্টার যে সময়সীমা বেঁধে দেয় সরকার, কয়েক দফা শিথিল করে তা বাড়ানো হয় বছরের শেষদিন পর্যন্ত। তবে ট্যানারি মালিকরা বলছেন, এই সময় ১৫৪ টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে ৫০ থেকে ৫৫টি সাভারে কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াকরণ শুরু করতে পারবে। বিটিএর সভাপতি শাহিন আহমেদ বলেন, ‘এক মাস দুই মাসের বিষয় না। লোক দেখানো স্থানান্তর আমরা চাই না। আমরা চাই এখান থেকে পুরোপুরি স্থানান্তর।’ নতুন শিল্প নগরীর সবচেয়ে আলোচিত যে স্থাপনা, সেই কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের দুটি মডিউল চালু হয়েছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে শতভাগ শোধন হচ্ছে না তরল বর্জ্য। সিইটিপির প্রকল্প পরামর্শক অধ্যাপক দেলওয়ার হোসাইন বলেন, ‘দুইটা মডিউল সম্পন্ন হয়েছে ঠিক আছে, কিন্তু সেখানে ট্রিটমেন্ট সঠিকভাবে হচ্ছে না। আমাদের চাহিদাও কিন্তু পূরণ হচ্ছে না। তাদের জরিমানা করা হোক। না হলে তারা শুদ্ধ হবে না।’ ট্যানারি স্থানান্তরে কঠোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করে শিল্প সচিব মোশাররফ হেসেন ভূঁইয়া জানান, সাভারে স্থানান্তর করা কারখানার জরিমানা বন্ধে অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঠানো হবে উচ্চ আদালতে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন কঠোর অবস্থানে আছি। কাঁচা চামড়া ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের পরে যেন সেখানে না যায়। যারা চলে গেছে তাদের যাতে আর জরিমানা দিতে না হয় সে রকম একটা সুপারিশ আমরা পাঠাব।’ সাভারের এ শিল্প নগরী পুরোপুরি চালু হলে অনেকটাই সহজ হবে চামড়ার আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ করা। ব্যবসায়ীরা এমন কথা বললেও তাদের শঙ্কা এই শিল্প নগরীর প্রাণ সিইটিপি শতভাগ কাজ না করলে আরেকটি বুড়িগঙ্গা হবে এর পাশ দিয়ে বয়ে চলা ধলেশ্বরী নদী। সেই সঙ্গে মুখ থুবড়ে পড়বে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের উত্থানের শুরু।
×