ফিটফাট
স্টাফ রিপোর্টার ॥ সেলিনা হায়াত আইভীর ব্যক্তিগত ইমেজ, দলীয় প্রভাব আর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন; এত কিছুর কাছে বেচারা সাখাওয়াত হোসেন খানের এক ধানের শীষ। ফলে যা হওয়ার তাই হলো। প্রায় লাখখানেক ভোটের ব্যবধানে ধানের শীষের পরাজয়। নিজের কেন্দ্রেও জিততে পারেননি তিনি। বিএনপি সারা দিন বলল ভোট সুষ্ঠু, কিন্তু দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা নামতেই বলল, না, গণনায় গ-গোল। দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অবশ্য একটু দেরিতে মুখ খুললেন বললেন বাইরে হলো সব ফিটফাট, ভেতরে হলো কী? বুঝতে পারছেন যে, ভেতরে যত রকমের দুনিয়ার ষড়যন্ত্র আর বাইরে থেকে সব ফিটফাট দেখায়। এটা বাংলাদেশের মানুষ, যে কোন ধর্মের মানুষই এত বোকা নয়, আজকাল ছোট বাচ্চারাও এগুলো বোঝে। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে উল্লেখ করে সব রাজনৈতিক দলকে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বেগম জিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, এবার এটা দিয়ে তিনারা খুব বাহাদুরি নিতে চাইছেন যে, আমাদের আমলে নিরপেক্ষ একটা ফেয়ার ইলেকশন হয়েছে। কিন্তু ফেয়ার হয়নি। ভোটের পারসেন্টেজে ইয়ে টিয়ে, বোঝা যায় সব কিছু।
অন্ধকারে ঢিল
স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাসিক নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বিষয়টি বোঝাতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ভোটের পারসেন্টেজে ইয়ে টিয়ে, বোঝা যায় সব কিছু। কিন্তু আসলেই যে ভোটে কোন তালগোল পাকিয়েছে সরকারী দল তা ওই বিশেষ উক্তিতে বোঝার কি কোন কায়দা আছে! রাজনীতিতে বিরোধিতা থাকবেই। গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বলা হয় পক্ষ আর বিপক্ষের যৌক্তিক মতামত উপস্থাপনকে। কিন্তু এই রাজনৈতিক দলটি যা বলতে চায় তাতে যুক্তি তো নেই, তার সঙ্গে বোঝাও গেল না কি বলতে চাইছে। তাহলে তাকে কি বলা যায় অন্ধকারে ঢিল ছোড়া। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন ‘নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন নিয়ে যেখানে সমগ্র বিশ্ব বলছে Ñনির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে, সেখানে বিএনপি ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে বেড়ায়। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী বলেছেন বাংলাদেশ নাকি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। আমি বলব, বাংলাদেশ নয়, বিএনপি ব্যর্থ দলে পরিণত হয়েছে।
স্বৈরাচার?
স্টাফ রিপোর্টার ॥ কেন স্বৈরাচার বলা হয় এতকাল পরে এসেও তা বুঝতে পারছেন না জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরশাদের মতো করে ভাবলে আসলেও তাকে আজ থেকে স্বৈরাচার বলা ছেড়েই দিতে হয়। তবে শহীদ নূর হোসেন, শহীদ ডাঃ মিলনের কথা মনে করলে যে কেউ বলবেন
তুমি স্বৈরাচার ছাড়া আর কী? এরশাদ বলছেন, সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় নিজে থেকে ক্ষমতা দখল করেননি। পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়েছিলেন ক্ষমতা নিতে। এরশাদ বলেন, ‘আমি ক্ষমতা গ্রহণ করিনি, ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল আমাকে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ। এরশাদ বলছেন ‘জাতির এক দুর্যোগময় মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি সাত্তার সাহেব আমাকে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। উনি সামরিক আইন জারি করেছিলেন, আমি করিনি। যেহেতু আমি সামরিক বাহিনীর সর্বজ্যেষ্ঠ ছিলাম এবং সর্বোচ্চ পদে ছিলাম সেজন্য আমাকে এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়েছিল। আমার জায়গায় যে কেউ থাকত, তখন তাকে দায়িত্ব গ্রহণ করতে হতো। এরশাদ দাবি করেন, ক্ষমতার প্রতি তার কখনও মোহ ছিল না। আমি বলেছিলাম, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এলে আমি ব্যারাকে ফিরে যাব। আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছিলাম। আমার কোন দল ছিল না। ১৯৮৪ সালে আমি নির্বাচন দিয়েছিলাম। ইচ্ছা ছিল, নির্বাচনে যারা জয়ী হবে তাদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আমি ব্যারাকে ফিরে যাব। কিন্তু কোন দল নির্বাচনে না আসার কারণে ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি আমাকে জাতীয় পার্টি সৃষ্টি করতে হলো। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়তে এত রক্ত ঝরল কেন, এত আন্দোলন হলো কেন, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। এসব বিষয় চিন্তার জগতে ঘুরপাক খেলে বুঝতে পারতেন কেন তিনি স্বৈরাচার।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: