স্টাফ রিপোর্টার ॥ জনপ্রিয় প্রযোজনা ‘শেষ সংলাপ’ নাটকের পর আরও একটি নাটকের আন্তর্জাতিক উদ্বোধনী মঞ্চায়ন করতে যাচ্ছে ঢাকার অন্যতম নাট্যদল ‘সময়’। অনীক আয়োজিত ১৮তম গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসবে এবার সময় পরিবেশন করবে তাদের ৩০তম প্রযোজনা নতুন নাটক ‘যযাতি’। আজ ২৯ ডিসেম্বর একাডেমি অব ফাইন আর্টস মঞ্চে ‘যযাতি’ নাটকটির প্রদর্শনী হবে। প্রখ্যাত নাট্যকার গিরিশ কারনাডের ‘যযাতি’ নাটকটির ভাষান্তর করেছেন সলিল চৌধুরী। নির্দেশনা দিয়েছেন সময় নাট্যদলের প্রধান ও দেশের মেধাবী নিদের্শক আকতারুজ্জামান। পঙ্কজ নিনাদের মঞ্চ পরিকল্পনায় ‘যযাতি’ নাটকটির আবহসঙ্গীত পরিকল্পনা করেছেন ইউসুফ হাসান অর্ক। নাটকের পোশাক পরিকল্পনা করেছেন মানসুরা আক্তার লাভলী এবং আলোক পরিকল্পনা করেছেন আলমগীর হোসেন। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন ফকরুল ইসলাম, রুমা, মানসুরা আক্তার লাভলী, আব্দুল্লাহেল বারী, সুনিতা বড়–য়া এবং ইশরাত নিগার লাজ। নাটক প্রসঙ্গে সময় দলপ্রধান আকতারুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেনÑ আমাদের নতুন প্রযোজনা ‘যযাতি’ নাটকের প্রথম ও আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী হচ্ছে কলকাতায়। নতুন বছরে ঢাকার মঞ্চে ‘যযাতি’র উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে। এর আগে ঢাকায় গত ২১ ও ২৪ ডিসেম্বর শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে ‘যযাতি’ নাটকের দুটি কারিগরি মঞ্চায়ন হয়েছে। সেই অর্থে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের বাইরেই নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন করছি আমরা। আকতারুজ্জামান আরও বলেন নাটকের গল্প মহাভারতের। বিষয়বস্ত ভোগবিলাসী মানুষ সব সময় নিজের জন্য মত্ত থাকে, জগতের সবকিছু ভুলে নিজের মধ্যে বুদ হয়ে থাকা মানুষের এক সময় তার ভুল বুঝতে পেরে সংশোধনের চেষ্টা করে। তিনি বলেন ‘যযাতি’ আমাদের অজ্ঞাত অতীতের একটি খ- কাহিনী। অতীতের দর্শনেচ্ছু সেই পর্যটক, যিনি পথ ভুলে এক অজ্ঞাত সংস্কৃতির সমাধি ক্ষেত্রে এসে পড়েছেন। বর্তমানের শ্রবণ ইন্দ্রীয়র সাহায্যে বিগতকালের প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। আমরা যেন স্বপ্নজীবী নদীর কিনারায় বসে নদীর জলে বিচিত্র লীলা নিরীক্ষণ করছি। নদী প্রবাহের এই অপবর্তন ও পরাবর্তন দৃষ্টিরই পরিণাম। এই সবকিছুকেই সত্যরূপে স্বীকার করার মধ্যেই রয়েছে আনন্দ, রসানুভূতি। তারপরও নদীর তলদেশকে যথাযথভাবে দেখতে চাইলে প্রয়োজন আপন করার প্রতিবিম্বন। সেই সত্যের প্রকাশই জীবন। যে জীবন এখানে দেখা যায় তা পৌরাণিক তথা নাটক। এদিকে নাট্য উৎসবে যোগ দিতে সময়ের ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার কলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে বলে জানা গেছে।
