ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁও সীমান্তে আলো হাতে বিজিবি

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

ঠাকুরগাঁও সীমান্তে আলো হাতে  বিজিবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২৮ ডিসেম্বর ॥ ‘বিদ্যুতের আলো কি সেটা আমরা কখনও দেখিনি। বিকেল হলেই আমাদের সীমান্ত এলাকায় অন্ধকার নেমে আসে। বাবা-মা সারাদিন ক্ষেতে কাজ করার পর সন্ধ্যায় কিছু খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে আমিও ঘুমিয়ে পড়ি। এখন আমাদের এলাকায় রাতে অন্ধকার হয় না। সবার বাড়িতে মিট মিট করে আলো জ্বলে। সেই আলোতে আমি এখন পড়া লেখা করি। এখন নিয়মিত স্কুলে যাই।’ কথাগুলো বলছিল ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলা বেতনা সীমান্তের চ-িপুর মানিকখাড়ি গ্রামের ফাহিম। ফাহিমের মতো অনেক শিশু এখন বিদ্যুতের আলোতে পড়ালেখা করার সুযোগ পাচ্ছে। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হচ্ছে সীমান্ত এলাকায় হাজারো শিশু। আর সেই আলো সীমান্ত এলাকার বাড়িতে বাড়িতে পৌছে দিয়েছে ৩০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন। সরেজমিনে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও সীমান্ত এলাকায় তেমন কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। এলাকার মানুষ নানারকম সীমান্ত চোরাচালানের সাথে জড়িত ছিল। সীমান্ত এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় বিকেল হলেই অন্ধকার নেমে আসে। আর সেই অন্ধকারকে কাজে লাগাত কতিপয় চোরাচালানি। তারা রাতের বেলায় সীমান্তের ওপারে যেত। ভোর বেলা গরু, মাদকসহ বিভিন্ন পণ্য চোরাই পথে এই দেশে নিয়ে আসত। এর ফলে অনেক সময় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিতে অনেকের হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে শিশু থেকে শুরু করে সকল বয়সের মানুষ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল। ৩০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন সীমান্ত এলাকায় মানুষকে সচেতন ও অপরাধ দমনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়। যাতে সহজেই মানুষ সকল অপকর্ম ছেড়ে ভাল পথে উপার্জন করে। শশুরা যেন নিয়মিত স্কুলে যেতে পারে। সেই লক্ষ্যে হরিপুর উপজেলার বেতনা সীমান্তে মানিকখড়ি গ্রামে সীমান্ত অপরাধ থেকে সরিয়ে ভাল পথে উপার্জন করার জন্য ৩০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যেমন: সোলার প্ল্যান প্রকল্প, নদীতে মাছের পোনা চাষ, মধু চাষ, সবজি চাষ এবং গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগির খামার।
×