নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৮ ডিসেম্বর ॥ মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর বাজারে শ্মশানের জমি দখলে ও সংখ্যালঘু তরুণী অপহরণে বাধা দেয়ায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর, মারপিট ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশ ঘটনার মূল হোতা মহিদুল হক বাদশাসহ ৩ সস্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার আদালতে তাদের জামিনের আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মহিদুল হক বাদশার বাবা মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খ্যাত এমদাদুল হক মোল্লা ও তার ক্যাডার বাহিনী। গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে হিন্দুদের বাড়িতে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা, নারীসহ যুবকদের মারপিট ও তরুণী অপহরণ চেষ্টার মামলা দুটি জামিনযোগ্য ধারায় রেকর্ড করায় হিন্দুরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, বাদশার সন্ত্রাসী কর্মকা-ের ইন্ধনদাতা তার বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমদাদুল হক মোল্লা। তার কার্যক্রমে সরকারের বা দলের ভাবমূর্তি থাকল কি গেল, এতে তার কিছুই যায়-আসে না। তার নিজের অবৈধ সম্পদের পাহাড় কিভাবে গড়ে উঠবে সেটিই যেন তার মূল লক্ষ্য। তথ্য অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী ঘরানার সন্তান এমদাদুল হক মোল্লা পরবর্তীতে বিএনপি গঠনের সময় মান্দা উপজেলা ‘ইয়ুথ কমপ্লেক্সের’ নেতা ছিলেন। একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা এমদাদ মোল্লার আপন চাচা রাজাকার আব্বাস মোল্লাকে হত্যা করে। ২০০৪ সালের দিকে আওয়ামী লীগে যোগদানের আগে মাত্র ৫ লাখ টাকা ঋণের দায়ে বাড়িঘর নিলামে উঠে দেউলিয়া হয়ে যান তিনি। সেসময় প্রতিবেশীর কাছে ৩ বিঘা জমি বিক্রি করে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেন। ২০০৫ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পর তার বিত্ত-বৈভব বাড়তে থাকে। গত ১০ বছরে মান্দায় এমদাদ মোল্লার ৭টি বিলাস বহুল প্রাসাদসম বহুতল বাড়ি, রাজশাহীতে দুটি বাড়ি, ঢাকায় ফ্ল্যাটবাড়ি, দুটি বিলাস বহুল মাইক্রোবাস ও দুটি কার কিনেছেন। এছাড়া নামে-বেনামে রাজশাহী ও মান্দর বিভিন্ন ব্যাংকে কয়েক কোটি টাকা জমিয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে ৫০ বিঘা জমি কিনেছেন। যা তার বৈধ আয়ের সঙ্গে কোনভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: