ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাট ও পাটপণ্য রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

পাট ও পাটপণ্য রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-নবেম্বর মেয়াদে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৩৮ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৩ হাজার ৪৫ কোটি টাকা। যা এ সময়ের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪ দশমিক ০৩ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় এবার এ খাতের পণ্য রফতানি আয় ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়েছে। চলতি ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রথম ৫ মাসে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছে ৮ কোটি ৬৭ লাখ মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কু-লী রফতানিতে আয় হয়েছে ২২ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছে ৬ কোটি ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। এতে আরও জানানো হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৯১ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৭ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৮ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ০৩ শতাংশ বেশি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসের তুলনায়ও এ খাতের রফতানি আয় ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের এ সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৩৫ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছিল ১৭ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কু-লী রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কাঁচা পাট রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কু-লী রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নবেম্বর মেয়াদে কাঁচা পাট রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭ কোটি ২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এ সময়ে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছে ৮ কোটি ৬৭ লাখ ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ১৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছিল ৭ কোটি ৩৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে পাটের সুতা ও কু-লী রফতানিতে ২২ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ সময়ে আয় হয়েছে ২২ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ১১ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে পাটের সুতা ও কু-লী রফতানিতে ২০ কোটি ৬১ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছিল। চলতি বছরের জুলাই-নবেম্বর মেয়াদে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছে ৬ কোটি ৯ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় ১৯ দশমিক ৪২ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫ কোটি ৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। ইপিবির প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে পাটের অন্যান্য দ্রব্য রফতানিতে ১ কোটি ৯৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছে; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের রফতানি আয় ৩০ দশমিক ৮২ শতাংশ কমেছে।
×