ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

২০১৭ ॥ লাল রক্ত না ভালবাসা -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

২০১৭ ॥ লাল রক্ত না ভালবাসা -স্বদেশ রায়

নতুন বছর আসার চারদিন আগেই গুগল তার স্ক্রীনের ছবি বদলে ভালবাসার লাল হার্টের ছবি দিয়েছে। রবিবার থেকে যে নতুন বছর শুরু হবে তা কি আসলে ভালবাসার লাল হার্টের ছবি হবে না যে ২০১৬ পার হতে যাচ্ছি রক্তভেজা লালে সেই লাল হবে? আসলে এই প্রশ্ন নিয়েই কিন্তু পৃথিবী প্রবেশ করতে যাচ্ছে নতুন একটি বছরে, ২০১৭তে। ২০১৬তে বাংলাদেশসহ পৃথিবী ফেলে এসেছে অনেক ভাল ও মন্দ ঘটনা মিশিয়ে। তবে মন্দগুলো এত ভয়ঙ্কর যে ভালগুলোকে ঢেকে দিয়েছে। মানুষকে আশাবাদী হতে হয়। মানুষ হিসেবে জন্মে কখনও নিরাশ হতে নেই। কখনও ভাবতে নেই ওই সুন্দরে আমি পৌঁছাতে পারব না। ব্যক্তি জীবনেও কোন মুহূর্তেই ভাবতে নেই এ কাজ আমার দিয়ে সম্ভব নয়। বরং প্রতিদিন সকালে উঠেই ভাবতে হয়, আজ যেন একটি নতুন কাজ আমি করতে পারি, যে কাজ আগে কখনও আমার সামনে আসেনি। আজ যেন এমন একটা কিছু জানতে পারি- যা আগে কখনও জানিনি। নিজের মনের ভেতর ঠিক এই আশাবাদ নিয়ে পার হয়ে আসছি পৃথিবীতে একটির পর একটি বছর। তার পরেও সত্যকে স্বীকার করে বলতে হয়, ২০১৬তে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় যে ঘটনাটি ছিল তার গাণিতিক রং হবে নিকষ কালো আর মানুষ দেখেছে রক্তাক্ত লাল। সে ঘটনা হোলি আর্টিজান। ২০১৭ এর দরজায় ঢোকার আগ মুহূর্তে তাই হিসাব করা প্রয়োজন, আসলে কি বাংলাদেশ হোলি আর্টিজান থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছে? হোলি আর্টিজানের পরে বাংলাদেশ একের পর এক সন্ত্রাসবিরোধী সফল অভিযান করেছে। এই লেখা লিখছি ২৭ তারিখ। তার মাত্র তিনদিন আগেও একটি সফল অভিযান করেছে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু তার পরেও কি বাংলাদেশ বের হয়ে আসতে পেরেছে হোলি আর্টিজান থেকে? বাংলাদেশে ২৪ তারিখে একটি সফল জঙ্গীবিরোধী অভিযান হয়। তার মাত্র কয়েকদিন আগে সিরিয়া আইএসএ’র কাছ থেকে আলেপ্পো মুক্ত করে। কিন্তু সত্য হলো, আলেপ্পো মুক্ত হওয়ার এক সপ্তাহ না যেতেই জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেটে বর্বর ট্রাক হামলা চালায় জার্মান আইএস। ২০১৬-এর এই শেষে, ১৭-এর প্রবেশ দুয়ারে দাঁড়িয়ে পৃথিবীকে এই সত্য স্বীকার করতে হবে যে, আল কায়েদার থেকে আইএস আরও বেশি সফল হয়েছে। তারা ইউটোপীয় ইসলামিক স্টেটের কথা বলে হতাশ তরুণ-তরুণীদের শুধু জড়ো করতে সফল হচ্ছে তা নয়, জঙ্গীবাদের স্বাভাবিক চরিত্র অর্থাৎ কর্পোরেট চরিত্রের অনুসরণে গোটা পৃথিবীতে তারা সফল হচ্ছে। বাস্তবে কর্পোরেট বাণিজ্য যেমন একে অপরের সঙ্গে সর্বক্ষণিক আলোচনা করে যে করছে তা কিন্তু নয়, দেশ কাল পাত্র অনুযায়ী নিজ নিজ অবস্থানে বসে সবাই এ বাণিজ্য করে। আন্তর্জাতিক এই জঙ্গীবাদের চরিত্র ঠিক একই। নানা দেশে- ওই দেশের প্রেক্ষাপটে তারা কাজ করে কিন্তু গোটা পৃথিবীতে তাদের যে কাজ হয় তার সঙ্গে একটা ন্যাচারাল মিল থাকে। আর এর ভেতর থেকে সফল হতে হতে তাদের কিছু নেতা দাঁড়িয়ে যায়- তারা এক সময়ে এক হয়। আলেপ্পোতে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গীরা পরাজিত হওয়ার পরে তারা কিন্তু জার্মানিতে খবর পাঠায়নি যে তোমরা একটা কিছু কর। জার্মানির জঙ্গীরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে এ কাজ করেছে। বাংলাদেশে হোলি আর্টিজান নিয়ে যতই বলা হোক না কেন, সিরিয়া থেকে এটা নিয়ন্ত্রণ করা হয় আসলে মনে হয় তা নয়। বাংলাদেশেই এটা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। আর সারা দুনিয়ার ইসলামিক সন্ত্রাসীর ক্ষেত্রে যা ঘটে তাই অর্থাৎ পাকিস্তানী আইএসআই-এর কাছ থেকে অর্থ ও ট্রেনিং পেয়েছে। সরকার অবশ্য এ কারণেই বলছে- এরা আইএস নয়, হোম গ্রোন টেররিস্ট। সরকার আসলে যতটুকু তথ্য পাচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে বলছে। তারা তথ্যের সঙ্গে জঙ্গীর লিটারেচার মেলাচ্ছে না। কিন্তু জঙ্গীর লিটরেচার যাদের পড়া আছে তারা কিন্তু বলবে- এটাই আন্তর্জাতিক জঙ্গীর কালচার। অনেকটা কর্পোরেট বাণিজ্যর মতো। যাহোক, সরকারের ভাষার সেই ‘হোম গ্রোনদের’ সরকার একের পর এক সফলভাবে পরাজিত করে আসছে। কিন্তু ২০১৬ এর শেষ প্রান্তে এসে যেভাবে দেখা যাচ্ছে নারী ও শিশুদের ভেতর জঙ্গীবাদ এক অদ্ভুত বিশ্বাস হিসেবে স্থান নিয়েছে- তাতে ২০১৭ বাংলাদেশের জন্য কীভাবে অপেক্ষা করছে জঙ্গীবাদের ক্ষেত্রে তা নিয়ে বছরের শুরুতে ভেবে দেখা দরকার। তবে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বেশকিছু পরিবর্তন হয়েছে। যার ভেতর বড় পরিবর্তন আমেরিকায় কট্টরপন্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়। আমেরিকার স্টেট মেশিনারিজকে এই ব্যক্তি কতটা পরিবর্তন করতে পারবেন তা এখনও বলার সময় আসেনি। তবে ইতোমধ্যে তিনি যে কথা বলেছেন, আমেরিকার দায় নেই বাইরের রাষ্ট্রকে শক্তিশালী বা গণতান্ত্রিক করা। আমেরিকা নিজেই গ্রেট হবে। যদি এর কিছু অংশও বাস্তবায়ন হয় তার একটা সুফল হয়ত পৃথিবী পেতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে একজন উদার গণতন্ত্রের সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও বলব, ২০১৬তে হিলারির পরাজয় বাংলাদেশের জন্য ভাল হয়েছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকারের জন্য। কারণ, হিলারিকে বিশ্বাস করার কোন কারণ ছিল না। যে ভদ্র মহিলা বাংলাদেশের কয়েক ব্যক্তির কথামতো ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে দিয়ে পদ্মা সেতুর বরাদ্দ বাতিল করাতে পারেন, তিনি যে ওই গোষ্ঠীর কথামতো শেখ হাসিনার ক্ষতি করার জন্য যে কোন সিদ্ধান্ত নিতেন না- এমনটি না ভাবার কোন কারণ নেই। তিনি অবশ্যই ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত নিতেন। শেখ হাসিনা বাস্তবে ভাগ্যের সন্তান। ২০১৬তে আসাগাবাদে তাঁর সঙ্গে থেকেও দেখেছি ভাগ্য তাঁকে কীভাবে রক্ষা করে। আমার মতো যারা ভাগ্যবাদে বিশ্বাস করি না তাদের জন্যও এছাড়া আর কোন উদাহরণ নেই। যদিও এবার বহু ডেমোক্র্যাটের মধ্যেও ছিল হিলারি অপছন্দ নীতি। তাই পরাজয় তার জন্য নিশ্চিত ছিল। তবে যদি তিনি জিততেন, অবশ্যই ক্ষতি হতো বাংলাদেশের, ক্ষতি হতো ব্যক্তি শেখ হাসিনার। আর শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের অস্তিত্ব এখন সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ২০১৬ এর শেষ মুহূর্তে একটি পুরনো স্মৃতি উল্লেখ করতে চাই। ১৯৯১ সাল; তখন দৈনিক রূপালীর সহকারী সম্পাদক, এছাড়া তখন নামে বেনামে অনেক সাপ্তাহিকে লিখি। একদিন দুপুরে বেবী মওদুদ আপা এসে বললেন, স্বদেশ, এখন থেকে তোমার লেখায় শেখ হাসিনার নামের আগে গণতন্ত্রের মানসকন্যা লেখ। আমি স্পষ্ট বলি, আপা এটা ঠিক নয়। বঙ্গবন্ধুর নেতা, আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী গণতন্ত্রের মানসপুত্র। আওয়ামী লীগের এক নেতা যা অর্জন করেছেন তা আরেক নেতাকে দেয়া সম্ভব নয়। শেখ হাসিনাকে জাতিই অবস্থান ঠিক করে দেবে। ২০১৬-এর শেষ প্রান্তে এসে বলা যায়, শেখ হাসিনার অবস্থান ইতোমধ্যেই ইতিহাস নির্ধারণ করে দিয়েছে। সত্তর বছর বয়সী শেখ হাসিনা এখন সত্যি বাঙালী মায়ের মতো নিজ হাতে এই দেশকে তরুণ প্রজন্মের জন্য তৈরি করছেন। তাই বাস্তবে তিনি এখন ‘দেশমাতা’। আজ বেবী আপার কথা মনে পড়ে খারাপ লাগছে। সত্যি ভদ্র মহিলা শেখ হাসিনাকে ভালবাসতেন। আজ তিনি বেঁচে থাকলে শেখ হাসিনার এই দেশমাতা রূপ দেখে যেতে পারতেন। তাই ২০১৬-এর শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আমার দৃঢ় বিশ্বাস নতুন প্রজন্ম শেখ হাসিনাকে ইতোমধ্যেই ‘দেশমাতা’ হিসেবে গ্রহণ করেছে। যাহোক, হিলারির পরাজয়ের ভেতর দিয়ে শেখ হাসিনার ও বাংলাদেশের একটি বড় বিপদ কেটে গেছে। এখন প্রশ্ন ট্রাম্প প্রশাসন কীভাবে এই বিশ্ব জঙ্গীবাদ মোকাবিলা করবে? ট্রাম্প বিজয়ী হয়েই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে ফোন করেছেন। ট্রাম্প যদি পাকিস্তানের রাজনৈতিক শক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য এই ফোন করে থাকেন তাহলে সেটা বিশ্বের সৌভাগ্য ও জঙ্গীবাদ দমনের জন্য ইতিবাচক। কারণ, সারা বিশ্বে যেখানে যত জঙ্গী হামলা হয়, দেখা যায় সবখানের একটি অংশ পাকিস্তানে ট্রেনিং নিয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এ ট্রেনিং হয়। তারা প্রয়োজন মতো আর্থিক সহায়তা দেয়। রাজনৈতিক শক্তি এখানে অসহায়। ট্রাম্প প্রশাসন যদি পাকিস্তানের রাজনৈতিক শক্তির দিকে নজর দেয় তাহলে সফলতা আসবে। ট্রাম্প প্রশাসন ও ইউরোপকে পাকিস্তানের এ বিষয়টি গভীরভাবে নিতে হবে। কারণ, ইউরোপ ও আমেরিকা যে জঙ্গী হামলা ও রিফিউজি সমস্যায় ভুগছে তার একটি বড় কারণ পাকিস্তান। তাই পাকিস্তানের হয় ভৌগোলিক পরিবর্তন না হয় রাজনৈতিক পরিবর্তন- একটা কিছু পশ্চিমা বিশ্বকে উদ্যোগ নিয়ে করতে হবে। তবে ভৌগোলিক পরিবর্তন সে দেশের মানুষের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিত। রাজনৈতিক পরিবর্তনে তারা সহায়তা করতে পারে। যাহোক, ২০১৬ সালের শুরু থেকে শেষ অবধি ’১৫ এর মতো ইউরোপমুখী শরণার্থীর স্রোত পৃথিবী দেখেছে। মাইগ্রেশন মানুষের বিবর্তনের সঙ্গী। কিন্তু আধুনিক পৃথিবীতে এসে জোর করে মানুষকে দেশচ্যুত, বাস্তুচ্যুত করা নির্মম। আর তার সঙ্গে যে কত নর-নারীর মৃত্যু- কত ফুলের মতো নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যু আর বোনের শ্লীলতাহানি জড়িত তা কল্পনা করলে শিউরে উঠতে হয়। কারণ এই শরণার্থী জীবন আমাদের পরিচিত। ২০১৬-এর শেষ প্রান্তে এসে বাংলাদেশকে আবার ভুগতে হচ্ছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যায়। মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্থী সমস্যায় যেমন পাকিস্তান দায়ী তেমনি মিয়ানমারের এই শরণার্থী সমস্যায়ও পাকিস্তান দায়ী। যাহোক, ইতোমধ্যে সরকারীভাবে ত্রিশ হাজারের বেশি শরণার্থী মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছে। বাস্তবে হয়ত এটা কোন ক্রমেই পঞ্চাশ হাজারের কম নয়। অন্যদিকে ভারতীয় শরণার্থী বিষয়ক এক লেখকের লেখায় দেখা যাচ্ছে দিল্লী ও তার আশপাশে মিলে ৯ হাজারের বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে বিবিসির সংবাদ অনুযায়ী মিয়ানমার থেকে বেশ সংখ্যক শরণার্থী চীনে অবস্থান নিয়েছে। তাই ২০১৬ এর এই শেষ প্রান্তে এসে আঞ্চলিক দুই বড় শক্তি ভারত ও চীন আর তার সঙ্গে সব থেকে বেশি ভুক্তভোগী অর্থাৎ যাকে প্রায় ছয় লাখ শরণার্থীর দায়ভার গ্রহণ করতে হচ্ছে এই বাংলাদেশ মিলে এখন মিয়ানমারের সঙ্গে বসা উচিত। এ ছাড়া এই তিন দেশ ও আসিয়ানের চীনসহ অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো দরকার, যাতে ২০১৭তে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার সমাধান হয়। সমাধান হয় এই রক্তপাত, শ্লীলতাহানি ও শিশু মৃত্যুর। ২০১৬তে এসব শরণার্থী সমস্যা, জঙ্গী সমস্যার পাশাপাশি আমেরিকায় যেমন কালো ও শাদার কিছু বিচ্ছিন্ন দ্বন্দ্ব দেখা গেছে তেমনি ভারতে ও বাংলাদেশে ঘটেছে ধর্ম সাম্প্রদায়িকতার কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ভারতে গরুর মাংস ঘরে আছে এই মিথ্যে গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে মুসলিম কৃষককে। বাংলাদেশে নাসিরনগরে ফেসবুকে ফটোশপে তৈরি মিথ্যা ছবির গুজব ছড়িয়ে ভাঙ্গা হয়েছে দেবতার মন্দির। অর্থাৎ একশ্রেণীর মানুষের বিশ্বাসের মন্দির। দুই জায়গাতেই দেখেছি পেছনে রাজনীতি কাজ করছে। মানুষ সাম্প্রদায়িক নয়। নাসিরনগরে প্রতিবেশী মুসলিমরাই প্রতিহত করেছে হামলাকারীকে। আশ্রয় দিয়েছে হিন্দুদের। তারা ঘৃণা করেছে ক্ষমতা লোভী রাজনীতিককে। ভারতেও তেমনি সাধারণ মানুষ ঘৃণা করেছে মানুষের জীবনের থেকে গরুর জীবন মূল্যবান হওয়ার জন্য। মানুষ ছেড়ে গরু নিয়ে রাজনীতি করার ওই সব গোমাতার সন্তানকে ধিক্কার দিয়েছে সাধারণ মানুষ। আশায় বুক বাধি এই ভেবে ২০১৭ এসব রক্তাক্ত ও লজ্জার কালো অধ্যায় থেকে বের হয়ে আসুক। ২০১৭ এর প্রথম দিনে যে লাল সূর্য উঠবে তা গুগলের ভালবাসার ওই লাল হার্টটির মতো যেন ভালবাসার ওপর আলো ছড়াতে পারে প্রতিটি দিন। মানুষের জন্ম আশায় বুক বাধার জন্য, মানুষের সব থেকে বড় শক্তি আশা। তাই ২০১৭তে ভালবাসার এক পৃথিবীর আশা নিয়ে আসুন সবাই প্রবেশ করি নতুন বছরে। [email protected]
×